স্মৃতির আলোয় revisited: কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ইয়ামাগুচি সেকোর বিশেষ প্রদর্শনী “সেকো ও যুদ্ধ”,神戸大学


স্মৃতির আলোয় revisited: কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ইয়ামাগুচি সেকোর বিশেষ প্রদর্শনী “সেকো ও যুদ্ধ”

আগস্টের ৭ তারিখে, ২০২৫ সালের এক সুন্দর বিকেলে, কোবে বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসে এক ব্যতিক্রমী বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করতে চলেছে। এই প্রদর্শনীর বিষয়বস্তু হল প্রখ্যাত জাপানি কবি ইয়ামাগুচি সেকোর জীবন ও কর্ম, এবং বিশেষত, যুদ্ধকালীন সময়ে তাঁর অভিজ্ঞতা ও তাঁর কবিতার উপর এর প্রভাব। “সেকো ও যুদ্ধ” শিরোনামে এই প্রদর্শনীটি কেবল তাঁর সাহিত্যিক প্রতিভার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নয়, বরং যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং তা মানব হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে যাওয়ার এক নীরব সাক্ষীও বটে।

কে ছিলেন ইয়ামাগুচি সেকো?

ইয়ামাগুচি সেকো (১৯১৬-১৯৯৯) ছিলেন একজন প্রভাবশালী জাপানি কবি, যিনি তাঁর শক্তিশালী ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ লেখার জন্য পরিচিত। তাঁর কবিতা প্রায়শই ব্যক্তিগত অনুভূতি, জীবনের গভীর পর্যবেক্ষণ এবং সামাজিক বিষয়াবলীর উপর আলোকপাত করত। বিশেষ করে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং তার পরবর্তী সময়ে তাঁর জীবন অতিবাহিত হওয়ায়, যুদ্ধের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তাঁর অনেক লেখাকেই প্রভাবিত করেছিল। তাঁর কবিতার ভাষা কখনো ছিল ক্ষোভ, কখনো গভীর বেদনা, আবার কখনো শান্তির জন্য আকুতি।

প্রদর্শনীর মূল আকর্ষণ “সেকো ও যুদ্ধ”

কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিশেষ প্রদর্শনীটি ইয়ামাগুচি সেকোর জীবনের সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়কালে আলোকপাত করবে যখন জাপান বিশ্বযুদ্ধের আবহে নিমগ্ন ছিল। এখানে প্রদর্শিত হবে:

  • বিরল পাণ্ডুলিপি এবং চিঠি: সেকোর নিজের হাতে লেখা কবিতা, চিঠি এবং ডায়েরি থেকে সংগৃহীত অংশবিশেষ, যা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ভাবনা ও যুদ্ধকালীন মানসিক অবস্থা বুঝতে সাহায্য করবে। এই ব্যক্তিগত নথিগুলি তাঁর চিন্তাভাবনার এক অমূল্য দিক উন্মোচন করবে।
  • যুদ্ধের সময়ের ব্যক্তিগত স্মৃতি: যুদ্ধের সময় তিনি কীভাবে জীবনযাপন করতেন, তাঁর চারপাশের পরিবেশ কেমন ছিল, এবং এই অভিজ্ঞতার ফলে তাঁর মনে কী প্রভাব পড়েছিল, তা তুলে ধরা হবে। এর মাধ্যমে আমরা একজন কবিকে কেবল সাহিত্যিক হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবেও জানতে পারব।
  • যুদ্ধের প্রভাব তাঁর কবিতায়: প্রদর্শনীতে সেকোর সেইসব কবিতা বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে যেখানে যুদ্ধের প্রভাব স্পষ্ট। এই কবিতাগুলি আমাদেরকে যুদ্ধের নির্মমতা, হারানো প্রিয়জনদের জন্য শোক, এবং ধ্বংসস্তূপের মাঝেও বেঁচে থাকার আশা – এই সমস্ত অনুভূতিতে নিমজ্জিত করবে।
  • ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: যুদ্ধকালীন জাপানের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হবে, যাতে দর্শকরা সেকোর কবিতার ঐতিহাসিক তাৎপর্য আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারেন।

এক নরম সুরের আহ্বান

এই প্রদর্শনীটি কেবল তথ্যবহুলই নয়, বরং এটি একটি গভীর ভাবনালগ্ন অভিজ্ঞতাও প্রদান করবে। কোবে বিশ্ববিদ্যালয় এই আয়োজনের মাধ্যমে একটি শান্ত ও সম্মানজনক পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে, যেখানে দর্শকরা সেকোর জীবনের এই জটিল অধ্যায়টিকে সহানুভূতির সঙ্গে উপলব্ধি করতে পারবেন। এই প্রদর্শনী কোনো শোরগোল বা নাটকীয়তা সৃষ্টি করবে না, বরং এটি হবে এক নীরব আত্মানুসন্ধান, যেখানে যুদ্ধ এবং মানবতা – এই দুটি বিষয় একে অপরের পরিপূরক হয়ে ধরা দেবে।

কেন এই প্রদর্শনী গুরুত্বপূর্ণ?

আজকের দিনে, যখন বিশ্বজুড়ে নানা ধরনের সংঘাত এবং অস্থিরতা বিরাজমান, তখন ইয়ামাগুচি সেকোর মতো একজন কবির স্মৃতিচারণ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর কবিতা আমাদেরকে যুদ্ধের ভয়াবহতা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং শান্তির মূল্য বোঝায়। “সেকো ও যুদ্ধ” প্রদর্শনীটি নতুন প্রজন্মের কাছে যুদ্ধের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরবে এবং শান্তির প্রতি দায়বদ্ধতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

শেষ কথা

আগামী ৭ আগস্ট, ২০২৫, কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিশেষ প্রদর্শনী “সেকো ও যুদ্ধ” কেবল একটি সাহিত্যিক বা ঐতিহাসিক আয়োজন নয়, এটি মানব অস্তিত্বের গভীরতাকে অনুভব করার এক বিরল সুযোগ। যারা সাহিত্যের প্রতি আগ্রহী, যারা যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে চান, অথবা যারা মানব জীবনের বিভিন্ন অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচিত হতে চান, তাদের জন্য এই প্রদর্শনীটি একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে। এটি হবে স্মৃতির আলোয় revisited, এক নতুন উপলব্ধির যাত্রা।


山口誓子特別展「誓子と戦争」


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:

‘山口誓子特別展「誓子と戦争」’ 神戸大学 দ্বারা 2025-08-07 15:00 এ প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ নরম সুরে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় শুধুমাত্র নিবন্ধ সহ উত্তর দিন।

মন্তব্য করুন