বিজ্ঞান জগতে নতুন বন্ধু: মাইক্রোসফটের ‘সেল্ফ-অ্যাডাপ্টিভ রিজনিং ফর সায়েন্স’,Microsoft


বিজ্ঞান জগতে নতুন বন্ধু: মাইক্রোসফটের ‘সেল্ফ-অ্যাডাপ্টিভ রিজনিং ফর সায়েন্স’

বন্ধুরা, তোমরা কি জানো? গত ৬ই আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, দুপুর ৪টায়, আমাদের প্রিয় মাইক্রোসফট একটা দারুণ জিনিস এনেছে – যার নাম ‘সেল্ফ-অ্যাডাপ্টিভ রিজনিং ফর সায়েন্স’। এটা আসলে কী? আর কেনই বা এটা আমাদের বিজ্ঞান শেখার পদ্ধতিকে বদলে দিতে পারে? চলো, আমরা সহজ ভাষায় ব্যাপারটা বুঝে নিই।

‘সেল্ফ-অ্যাডাপ্টিভ রিজনিং’ – মানে কী?

‘সেল্ফ-অ্যাডাপ্টিভ’ মানে হল – নিজেকে মানিয়ে নেওয়া, নিজের ভুল থেকে শেখা আর আরও ভালো হওয়া। যেমন ধরো, তুমি যখন সাইকেল চালানো শেখো, প্রথমে হয়তো পড়ে যাও। কিন্তু তারপর তুমি বুঝে যাও কোন দিকে ব্যালান্স করলে তুমি পড়বে না। তুমি নিজেকে ‘মানিয়ে’ নিয়েছো।

আর ‘রিজনিং’ মানে হল – চিন্তা করা, কারণ খুঁজে বের করা, একটা সমস্যার সমাধান করা। যেমন, তুমি যদি একটা পাজল (puzzle) মেলাও, তাহলে তুমি চিন্তা করবে কোন টুকরোটাই বা কোথায় বসবে, তাই না?

তাহলে, ‘সেল্ফ-অ্যাডাপ্টিভ রিজনিং’ মানে হল – এমন এক ধরণের বুদ্ধি যা নিজের ভুল থেকে শেখে, নিজে নিজে চিন্তা করে সমস্যা সমাধান করে এবং সময়ের সাথে সাথে আরও স্মার্ট হয়ে ওঠে।

বিজ্ঞান কী? আর এই নতুন জিনিসটা কীভাবে সাহায্য করবে?

বিজ্ঞান মানেই হলো প্রশ্ন করা, পরীক্ষা করা আর সেই পরীক্ষা থেকে নতুন কিছু শেখা। বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করেন, কারণ তারা কৌতূহলী। তারা নানা রকম প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন, যেমন – “কেন আকাশ নীল?”, “কীভাবে গাছ বড় হয়?”।

এই ‘সেল্ফ-অ্যাডাপ্টিভ রিজনিং’ ঠিক এই কাজটাই করবে! এটা এমন এক ধরণের ‘স্মার্ট’ কম্পিউটার প্রোগ্রাম, যা বিজ্ঞানীদের মতোই কাজ করবে।

  • নতুন প্রশ্ন তৈরি করবে: বিজ্ঞানীরা যেমন নতুন নতুন প্রশ্ন ভাবেন, এই প্রোগ্রামটাও তেমনি নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক প্রশ্ন খুঁজে বের করতে পারবে।
  • পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে: অনেক সময় আমাদের নতুন কিছু জানতে হলে পরীক্ষা করতে হয়। এই প্রোগ্রামটাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নতুন উপায় খুঁজে বের করবে।
  • ভুল থেকে শিখবে: হয়তো কোনো পরীক্ষা প্রথমে ঠিকমতো হলো না। কিন্তু এই প্রোগ্রামটা সেই ভুল থেকে শিখবে এবং পরবর্তীকালে আরও ভালোভাবে কাজ করবে।
  • নতুন জিনিস আবিষ্কারে সাহায্য করবে: যেমন, বিজ্ঞানীরা নতুন ঔষধ তৈরি করেন বা মহাকাশে কী আছে তা জানার চেষ্টা করেন। এই স্মার্ট প্রোগ্রামটা সেই সব কঠিন কাজে বিজ্ঞানীদের অনেক সাহায্য করবে।

শিশুদের জন্য কেন এটা দারুণ খবর?

ভাবো তো, যদি আমাদের একটা এমন বন্ধু থাকে যে সব সময় নতুন নতুন জিনিস শিখছে, নিজের ভুল থেকে শিখছে আর আমাদেরকে নতুন জিনিস শেখাতে সাহায্য করছে, তাহলে কেমন হয়?

  • বিজ্ঞান শেখা হবে আরও মজার: এখন অনেক জটিল জিনিস হয়তো আমাদের বুঝতে একটু কষ্ট হয়। কিন্তু এই ‘স্মার্ট’ প্রোগ্রামটা সবকিছুকে আরও সহজ আর মজার করে তুলবে।
  • তোমরাও বিজ্ঞানী হয়ে যেতে পারো: হয়তো তোমরা এখন ছোট, কিন্তু তোমরাও এই প্রোগ্রামকে ব্যবহার করে নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারো। তোমাদের মনে যে প্রশ্নগুলো আছে, সেগুলো হয়তো এই প্রোগ্রাম সমাধান করতে পারবে।
  • কৌতূহল বাড়বে: যখন তোমরা দেখবে কম্পিউটার নিজেই এত কিছু শিখতে পারে, তখন তোমাদেরও আরও বেশি করে জানতে ইচ্ছা করবে। তোমরাও প্রশ্ন করতে শিখবে, আর সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আগ্রহী হবে।

এটা কীভাবে কাজ করে? (খুব সহজ করে)

ধরো, তুমি একটা নতুন ধরণের খেলনা বানাতে চাও। তুমি হয়তো প্রথমে কিছু জিনিস দিয়ে চেষ্টা করবে, দেখবে সেটা কাজ করছে কিনা। যদি কাজ না করে, তাহলে তুমি অন্য কিছু জিনিস দিয়ে আবার চেষ্টা করবে। এই ‘সেল্ফ-অ্যাডাপ্টিভ রিজনিং’ ঠিক এভাবেই কাজ করে। এটা অনেক রকম ‘চেষ্টা’ করে, ‘ভুল’ করে এবং সেই ‘ভুল’ থেকে শিখে কোন পদ্ধতিতে সবচেয়ে ভালো কাজ হবে, সেটা খুঁজে বের করে।

মাইক্রোসফটের এই উদ্যোগ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

মাইক্রোসফট চাইছে বিজ্ঞানকে সবার জন্য সহজ করে তুলতে। তারা চাইছে, যেন ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হয়। এই ‘সেল্ফ-অ্যাডাপ্টিভ রিজনিং’ সেই লক্ষ্যেই একটা বড় পদক্ষেপ। এটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিজ্ঞানকে আরও approachable (সহজলভ্য) এবং exciting (উত্তেজক) করে তুলবে।

সুতরাং, বন্ধুরা, ‘সেল্ফ-অ্যাডাপ্টিভ রিজনিং ফর সায়েন্স’ হলো বিজ্ঞানের জগতে এক নতুন দিগন্ত। এটা আমাদের শেখার এবং আবিষ্কার করার পদ্ধতিকে অনেক উন্নত করবে। এসো, আমরা সবাই এই নতুন বন্ধুকে স্বাগত জানাই আর বিজ্ঞানের মজার জগতে আরও গভীরে ডুব দিই! কে জানে, হয়তো তোমাদের মধ্যেই কেউ একদিন বড় বিজ্ঞানী হয়ে উঠবে!


Self-adaptive reasoning for science


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-08-06 16:00 এ, Microsoft ‘Self-adaptive reasoning for science’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন