
কি, এটা কি সেই জাদুর বাক্স যা ভুল বলে না? মাইক্রোসফটের নতুন আবিষ্কার “ভেরিট্রেল”!
ভেবে দেখো তো, তুমি একটা প্রশ্ন করলে, আর কম্পিউটার বা রোবট তোমাকে একদম সঠিক উত্তর দিল, কোনো ভুল তথ্য দিল না! এটা কি দারুণ না? ঠিক এইরকম একটা মজার জিনিসই আবিষ্কার করেছে মাইক্রোসফট! তাদের নতুন আবিষ্কারের নাম হলো ভেরিট্রেল (VeriTrail)।
ভেরিট্রেল আসলে কি?
ভেরিট্রেল হলো একটা খুব বুদ্ধিমান সিস্টেম, যা বড় বড় কম্পিউটারের কাজকে অনেক সহজ করে দেয়। আমরা যখন কোনো প্রশ্ন করি, তখন কম্পিউটার অনেকগুলো ধাপে ধাপে কাজ করে সেই উত্তরটা খুঁজে বের করে। ভাবো তো, তোমার একটা বড় প্রজেক্ট বানাতে হবে, সেখানে অনেকগুলো ছোট ছোট কাজ আছে। ভেরিট্রেল ঠিক তেমনই, কম্পিউটারের করা এই ছোট ছোট কাজগুলোকে খুব ভালোভাবে নজরে রাখে।
কেন ভেরিট্রেল এত দরকারি?
আজকাল কম্পিউটার বা রোবটরা অনেক নতুন নতুন জিনিস শিখছে। তারা ছবি আঁকতে পারে, গান বানাতে পারে, এমনকি আমাদের সাথে গল্পও করতে পারে! কিন্তু মাঝে মাঝে তারা একটু ভুলও করে ফেলে। ধরো, তুমি কম্পিউটারকে বললে একটা রাজকন্যার ছবি আঁকতে, কিন্তু সে হয়তো একটা ড্রাগনের ছবি এঁকে ফেলল! একেই বলে “হ্যালুসিনেশন” (Hallucination) বা মনের ভুল।
ভেরিট্রেল এই ভুলগুলো ধরতে সাহায্য করে। এটা দেখে নেয় যে কম্পিউটার ধাপে ধাপে ঠিক কাজ করছে কিনা। যদি কোথাও কোনো ভুল হয়ে যায়, তাহলে ভেরিট্রেল বলে দেয়, “এইখানে একটু গন্ডগোল হয়েছে!”
প্রমাণ খুঁজে বের করা – সবকিছুরই তো একটা শুরু থাকে!
শুধু ভুল ধরাই নয়, ভেরিট্রেল আরেকটা খুব জরুরি কাজ করে। সেটা হলো, কোনো তথ্য বা উত্তর কোথা থেকে এসেছে, তার প্রমাণ খুঁজে বের করা। ধরো, তুমি একটা মজার তথ্য পেলে। তুমি জানতে চাও, এই তথ্যটা কে প্রথম বলেছে বা কোথা থেকে এটা এসেছে। ভেরিট্রেলও ঠিক তাই করে! সে প্রত্যেকটা তথ্যের একটা “পরিচয়পত্র” (Provenance) তৈরি করে রাখে, যাতে আমরা জানতে পারি সবকিছু কোথা থেকে শুরু হয়েছিল।
ভাবো তো, তুমি একটা সুন্দর গল্পের বই পড়ছো। তুমি যদি জানতে পারো, কে এই গল্পটা লিখেছে, কোথায় এই গল্পটা তৈরি হয়েছে, তাহলে ব্যাপারটা আরও ইন্টারেস্টিং না? ভেরিট্রেলও কম্পিউটারের তৈরি করা সব তথ্যের জন্য এরকম একটা “পরিচয়পত্র” তৈরি করে রাখে।
ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরাও বিজ্ঞানী হতে পারো!
ভেরিট্রেলের মতো আবিষ্কারগুলো আমাদের বুঝিয়ে দেয় যে বিজ্ঞান কতটা মজার হতে পারে। কম্পিউটার আর রোবটরা কিভাবে কাজ করে, কিভাবে তারা শেখে, কিভাবে তারা ভুল করে এবং সেই ভুলগুলো কিভাবে ঠিক করা যায় – এই সব কিছুই খুব ইন্টারেস্টিং।
তোমরা যদি জানতে চাও, কম্পিউটার কিভাবে ছবি আঁকে, কিভাবে কথা বলে, বা কিভাবে নতুন জিনিস শেখে, তাহলে বিজ্ঞান তোমাদের জন্য! আজই একটা সাধারণ প্রশ্ন দিয়ে শুরু করো, আর দেখবে বিজ্ঞানের জগতটা তোমার জন্য কত বড় আর সুন্দর!
মাইক্রোসফট কেন এই কাজটা করছে?
মাইক্রোসফট চায় যেন আমরা কম্পিউটার বা রোবটদের বিশ্বাস করতে পারি। যখন আমরা জানি যে তারা সঠিক তথ্য দিচ্ছে এবং তাদের কাজের একটা স্পষ্ট প্রমাণ আছে, তখন আমরা তাদের উপর নির্ভর করতে পারি। ভেরিট্রেল এই বিশ্বাস তৈরি করতেই সাহায্য করে।
ভবিষ্যতে কি হবে?
ভবিষ্যতে ভেরিট্রেলের মতো আরও অনেক বুদ্ধিমান আবিষ্কার আসবে। রোবটরা হয়তো আরও ভালো ছবি আঁকবে, আরও সুন্দর গান বানাবে, আর আমাদের সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেবে। আর আমরা, অর্থাৎ তোমরা, নতুন নতুন জিনিস শিখে এই পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তুলবে।
তাই, তোমরা যারা ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হতে চাও, তারা আজ থেকেই কৌতূহলী হও, প্রশ্ন করো আর নতুন জিনিস শেখো। ভেরিট্রেলের মতো আবিষ্কারগুলো তোমাদের জন্য একটা দারুণ উদাহরণ!
VeriTrail: Detecting hallucination and tracing provenance in multi-step AI workflows
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-08-05 16:00 এ, Microsoft ‘VeriTrail: Detecting hallucination and tracing provenance in multi-step AI workflows’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।