
নতুন সুপারহিরো! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দিয়ে তৈরি ওষুধ যা দৈত্যাকার ব্যাকটেরিয়াকে হার মানাবে!
MIT-এর বিজ্ঞানীরা এক অবিশ্বাস্য আবিষ্কার করেছেন! তারা এমন এক জাদু তৈরি করেছেন যা সুপার পাওয়ার-এর চেয়ে কম নয়। ভাবুন তো, এমন এক ওষুধ যা আমাদের শরীরের ভেতরে লুকিয়ে থাকা দুষ্টু, রোগ ছড়ানো ব্যাকটেরিয়াদের সাথে লড়াই করে তাদের হারিয়ে দেয়। আর এই জাদুকরী ওষুধটি তৈরি হয়েছে কম্পিউটার নামক এক “জাদু বাক্সের” সাহায্যে, যার নাম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)।
ছোট বন্ধুরা, তোমরা কি জানো, আমাদের চারপাশে অনেক ছোট ছোট জীব থাকে? এদের মধ্যে কিছু জীব আমাদের বন্ধু, যেমন যারা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। কিন্তু কিছু আছে যারা শত্রু, যারা আমাদের অসুস্থ করে তোলে। এদের আমরা সাধারণত “ব্যাকটেরিয়া” বলি।
কিন্তু সমস্যা হলো, এই দুষ্টু ব্যাকটেরিয়াগুলো মাঝে মাঝে খুব চালাক হয়ে যায়। এরা আমাদের দেওয়া সাধারণ ওষুধগুলোকে দেখে শিখে ফেলে কিভাবে তাদের সাথে লড়াই করা যায়। তখন তারা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং আমাদের সাধারণ ওষুধ আর তাদের উপর কাজ করে না। এই ব্যাকটেরিয়াদের আমরা বলি “ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট” বা “ওষুধ-প্রতিরোধী” ব্যাকটেরিয়া। এরা সত্যিই অনেক বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে!
তাহলে MIT-এর বিজ্ঞানীরা কী করেছেন?
MIT-এর বিজ্ঞানীরা এমন এক বিশেষ ধরণের কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করেছেন যার নাম “জেনারেটিভ AI”। এই AI অনেকটা আমাদের মতো, কিন্তু সে অনেক দ্রুত শিখতে পারে এবং নতুন জিনিস তৈরি করতে পারে। বিজ্ঞানীরা এই AI-কে অনেক অনেক তথ্য দিয়েছেন – কিভাবে ব্যাকটেরিয়া কাজ করে, কোন কোন রাসায়নিক জিনিস তাদের ক্ষতি করতে পারে, এরকম অনেক কিছু।
তারপর, এই AI-টি নিজে নিজেই অনেক নতুন নতুন রাসায়নিক যৌগ (chemical compounds) তৈরি করার চেষ্টা করেছে। তোমরা যেমন ছবি আঁকতে পারো, গল্প লিখতে পারো, বা নতুন খেলা তৈরি করতে পারো – AI-ও ঠিক তেমনই নতুন যৌগ তৈরি করেছে। তবে AI-এর তৈরি যৌগগুলো ছিল একদম নতুন, যা আগে কেউ দেখেনি!
এই নতুন যৌগগুলো কেন এত বিশেষ?
এই AI-এর তৈরি যৌগগুলো ছিল খুবই বুদ্ধিমান। এরা বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল যাতে তারা শুধুমাত্র ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াদের খুঁজে বের করে তাদের ধ্বংস করতে পারে। এরা সাধারণ, ভালো ব্যাকটেরিয়াদের কোনো ক্ষতি করে না। এটা অনেকটা এমন যে, একজন সুপারহিরো শুধু খারাপ লোকেদের ধরে, ভালো লোকেদের নয়!
বিজ্ঞানীরা এই নতুন যৌগগুলো পরীক্ষা করে দেখেছেন এবং তারা দেখেছেন যে এই যৌগগুলো সত্যিই ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলতে সক্ষম। এটা আমাদের জন্য এক দারুণ খবর! কারণ এর মানে হলো, ভবিষ্যতে আমরা এই নতুন ওষুধগুলো ব্যবহার করে কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারব।
এই আবিষ্কার কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া এখন সারা বিশ্বে এক বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। প্রতিদিন অনেক মানুষ এদের কারণে অসুস্থ হচ্ছেন। এই নতুন আবিষ্কারের ফলে আমরা সেই সব ব্যাকটেরিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াই করার নতুন অস্ত্র খুঁজে পেয়েছি।
ছোট বন্ধুরা, তোমরা কি ভাবছো?
এই আবিষ্কারটি দেখায় যে, বিজ্ঞান কতটা শক্তিশালী! আমরা যদি মন দিয়ে শিখি এবং নতুন নতুন উপায় খুঁজি, তাহলে আমরা অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পারি। AI-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা এমন অনেক কিছু করতে পারি যা আগে আমরা কল্পনাও করতে পারতাম না।
আজকের বিজ্ঞানীরা যেমন এই নতুন ওষুধ তৈরি করেছেন, তেমনই একদিন তোমরাও হয়তো রোবট তৈরি করবে, বা মঙ্গল গ্রহে শহর বানানোর উপায় বের করবে, অথবা এমন কোনো রোগ সারানোর ওষুধ আবিষ্কার করবে যা এখনো কারো জানা নেই।
বিজ্ঞান শুধু কঠিন অঙ্ক আর বইয়ের পড়া নয়। বিজ্ঞান হলো নতুন কিছু জানার, নতুন কিছু করার এবং পৃথিবীটাকে আরও সুন্দর করে তোলার এক অসাধারণ যাত্রা! তোমরাও এই যাত্রায় যোগ দিতে পারো। শুধু মন দিয়ে শেখো, প্রশ্ন করো এবং নিজের কল্পনাকে উড়তে দাও!
Using generative AI, researchers design compounds that can kill drug-resistant bacteria
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-08-14 15:00 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘Using generative AI, researchers design compounds that can kill drug-resistant bacteria’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।