
জঙ্গলের কার্বন শোষণ: কেন পশুরাও খুব জরুরি!
MIT-এর এক নতুন গবেষণা বলছে, জঙ্গলের গাছেরা শুধু নিজেদের মতো করেই কার্বন শোষণ করে না, তাদের সাথে থাকা পশুরাও এই কাজে দারুণভাবে সাহায্য করে!
চলো, আজ আমরা জানবো কিভাবে এই সুন্দর সম্পর্কটি গড়ে ওঠে এবং কেন আমাদের জঙ্গলের পশুদের রক্ষা করা এত জরুরি।
কার্বন কী? কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
আমরা যখন শ্বাস নিই, তখন বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) ছেড়ে দিই। কার্বন ডাই অক্সাইড হল একটি গ্যাস যা আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকে। এই গ্যাস যদি বেশি পরিমাণে বায়ুমণ্ডলে জমা হয়, তবে পৃথিবী অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে। এটি আমাদের জলবায়ুকে পরিবর্তন করে, যার ফলে আমরা অনেক সমস্যা দেখতে পাই, যেমন – গরমকালে আরও বেশি গরম, বা কখনও কখনও অতিরিক্ত বৃষ্টি বা খরা।
গাছেরা কিভাবে কার্বন শোষণ করে?
গাছেরাও আমাদের মতোই শ্বাস নেয়, তবে তাদের শ্বাসপ্রশ্বাস একটু অন্যরকম। গাছেরা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং সেই কার্বন ব্যবহার করে বড় হয়, নতুন পাতা তৈরি করে, ডালপালা বাড়ায়। এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis)। গাছেরা তাদের কাণ্ড, ডালপালা এবং পাতায় এই কার্বন জমা করে রাখে। তাই, জঙ্গল হল পৃথিবীর জন্য একটি বিশাল “কার্বন স্পঞ্জ”।
এবার আসি পশুদের কথায়!
MIT-এর এই নতুন গবেষণা বলছে, জঙ্গলের পশুরা এই কার্বন শোষণের কাজটি আরও সহজ করে তোলে। কিভাবে?
- পশুরা যখন ঘুরে বেড়ায়: জঙ্গলের ভেতরে পশুরা যখন হাঁটাচলা করে, তখন তারা মাটিকে উল্টে পাল্টে দেয়। এর ফলে মাটির নিচে থাকা কার্বন মাটির উপরে চলে আসে এবং সেখানে থাকা অণুজীবরা (ক্ষুদ্র জীব) সেই কার্বনকে ভেঙে ফেলে। এই ভাঙার প্রক্রিয়ায় কিছু কার্বন বাতাসে ফিরে গেলেও, বেশিরভাগ কার্বন মাটিতেই থেকে যায়।
- পশুদের বর্জ্য: পশুরা যখন মলত্যাগ করে, তখন তাদের মলের মধ্যে কার্বন থাকে। এই বর্জ্যগুলো মাটির উর্বরতা বাড়ায় এবং সেখানে থাকা অণুজীবদের খাবার যোগায়। এই অণুজীবরা কার্বনকে ভেঙে মাটিতে আটকে রাখতে সাহায্য করে।
- পশুরা যখন খাবার খায়: কিছু পশু যখন গাছের পাতা বা ফল খায়, তখন তারা গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যখন পশুরা একটি গাছের পাতা খায়, তখন গাছটি আরও নতুন পাতা তৈরি করার জন্য উৎসাহিত হয়, যা নতুন করে কার্বন শোষণ করতে পারে।
- পশুরা তাদের খাদ্যের মাধ্যমে কার্বন পরিবহন করে: কিছু পশু যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খাবার খোঁজে, তখন তারা তাদের সাথে কিছু কার্বন বহন করে নিয়ে যায়। এটি বিভিন্ন গাছের মধ্যে কার্বন বিতরণে সাহায্য করে।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে:
পশুরা জঙ্গলের “সবুজ কর্মী”। তারা যেমন জঙ্গলের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি জঙ্গলের কার্বন শোষণ প্রক্রিয়াকেও আরও শক্তিশালী করে। তারা মাটি, গাছপালা এবং অণুজীবদের মধ্যে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করে, যা আমাদের পৃথিবীর জন্য খুব দরকারি।
কেন এই গবেষণাটি আমাদের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই গবেষণা আমাদের শেখায় যে, প্রকৃতির প্রতিটি অংশই একে অপরের সাথে যুক্ত। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, আমাদের জঙ্গলের পশুদেরও রক্ষা করতে হবে। যদি পশুরা না থাকে, তাহলে জঙ্গলের কার্বন শোষণ ক্ষমতাও কমে যাবে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বনের পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং আমাদের পৃথিবী আরও বেশি গরম হয়ে যাবে।
শিশুরা ও শিক্ষার্থীরা, তোমাদের জন্য বার্তা:
তোমরা যারা বিজ্ঞান ভালোবাসো, তাদের জন্য এটা একটা দারুণ খবর! প্রকৃতিতে কত রহস্য লুকিয়ে আছে, তাই না? এই গবেষণা আমাদের শেখালো যে, জঙ্গলের প্রতিটি প্রাণী – বড় বা ছোট – সকলেরই আমাদের পৃথিবীর জন্য কিছু না কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে।
পরবর্তী যখন তোমরা জঙ্গলে বা পার্কে যাবে, তখন একটু খেয়াল করে দেখবে। হয়তো কোনো কাঠবিড়ালিকে দেখবে, অথবা শুনবে পাখির ডাক। মনে রাখবে, তারাও এই পৃথিবীর কার্বন শোষণের কাজে সাহায্য করছে!
চলো, আমরা সবাই মিলে আমাদের জঙ্গল এবং সেখানকার পশুদের রক্ষা করার চেষ্টা করি। কারণ, আমাদের সুন্দর পৃথিবী বাঁচিয়ে রাখার জন্য এদের প্রত্যেকেরই প্রয়োজন আছে!
Why animals are a critical part of forest carbon absorption
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-28 18:30 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘Why animals are a critical part of forest carbon absorption’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।