জাতিসংঘের একটি সংস্থা কিভাবে তাদের প্রযুক্তি সবার জন্য উন্মুক্ত করলো: চার ধাপে এক অসাধারণ যাত্রা!,GitHub


জাতিসংঘের একটি সংস্থা কিভাবে তাদের প্রযুক্তি সবার জন্য উন্মুক্ত করলো: চার ধাপে এক অসাধারণ যাত্রা!

আজ, আমরা এক দারুণ খবর নিয়ে এসেছি, যা তোমাদের সবার মন জয় করে নেবে! ভাবো তো, জাতিসংঘের মতো একটি বড় সংস্থা, যারা সারা পৃথিবীর মানুষের ভালোর জন্য কাজ করে, তারা তাদের নিজেদের তৈরি করা গোপন প্রযুক্তি সবার জন্য, অর্থাৎ ওপেন সোর্স (Open Source) করে দিয়েছে! এটা অনেকটা তোমার প্রিয় খেলনা বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মতো, যাতে সবাই একসাথে খেলতে পারে এবং আরও নতুন কিছু তৈরি করতে পারে।

এই ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ই আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, বিকাল ৪টায়, যখন GitHub (যারা পৃথিবীর অনেক প্রোগ্রামারদের কাজের জায়গা) এই চমৎকার গল্পটি সবার সামনে তুলে ধরেছে। তারা একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে যার নাম, “From private to public: How a United Nations organization open sourced its tech in four steps” – অর্থাৎ, “গোপন থেকে সবার জন্য: কিভাবে জাতিসংঘের একটি সংস্থা চার ধাপে তাদের প্রযুক্তি উন্মুক্ত করেছে”।

কেন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ?

তোমরা হয়তো ভাবছো, “প্রযুক্তি উন্মুক্ত করা মানে কি? আর এটা কেন এত মজার?”

প্রযুক্তি উন্মুক্ত করা মানে হলো, কোনো একটি সংস্থা তাদের তৈরি করা সফটওয়্যার বা কোড (যেটা দিয়ে কম্পিউটার চলে) আর গোপন রাখে না। তারা এটি সবার জন্য উপলব্ধ করে দেয়। এর মানে হলো:

  • অন্যরাও ব্যবহার করতে পারবে: পৃথিবীর অন্য দেশের বিজ্ঞানীরা, ছাত্রছাত্রীরা, এমনকি অন্যরাও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন কিছু তৈরি করতে পারবে।
  • ভুল শুধরে নেওয়া যাবে: যখন অনেক মানুষ একটি জিনিস দেখে, তখন যদি কোনো ভুল থাকে, তা সহজে ধরা পড়ে এবং সবাই মিলে তা ঠিক করে দিতে পারে।
  • আরও ভালো করে তৈরি করা যাবে: সবাই তাদের নিজেদের ধারণা যোগ করে প্রযুক্তিটিকে আরও উন্নত করতে পারে।

ভাবো তো, যদি তুমি একটি দারুণ ছবি আঁকো, আর তোমার বন্ধুরা সেই ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও সুন্দর ছবি আঁকে, তাহলে কেমন লাগবে? ওপেন সোর্স ঠিক তেমনই, কিন্তু এটা প্রযুক্তির দুনিয়ায়!

জাতিসংঘের এই সংস্থাটি কি কাজ করে?

এই প্রবন্ধটি বলেছে যে, জাতিসংঘের এই সংস্থাটি মানবিক সাহায্য (Humanitarian Aid) এবং দুর্যোগ মোকাবিলা (Disaster Response) এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রযুক্তি ব্যবহার করত। যখন কোথাও বন্যা, ভূমিকম্প বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, তখন মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া খুব জরুরি হয়ে পড়ে। এই সংস্থাটি এমন প্রযুক্তি তৈরি করেছিল যা এই কাজগুলোকে আরও সহজ এবং দ্রুত করতে সাহায্য করত।

কিভাবে তারা এই কাজটি চার ধাপে করলো?

এই গল্পটি আমাদের শেখায় যে, বড় কোনো পরিবর্তন আনতে হলে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হয়। এই সংস্থাটিও ঠিক তাই করেছে। চলো আমরা সেই চার ধাপ সহজভাবে জেনে নিই:

প্রথম ধাপ: নিজেদের প্রস্তুত করা (Preparation)

প্রথমে, সংস্থাটি ঠিক করেছিল যে তারা তাদের প্রযুক্তি সবার জন্য খুলে দেবে। এটা একটা বড় সিদ্ধান্ত ছিল। তাই তারা নিজেদের ভেতরে আলোচনা করেছে, কে কি দায়িত্ব নেবে, কিভাবে এটি করা হবে – এই সবকিছুর পরিকল্পনা করেছে। অনেকটা যেমন তোমরা পিকনিকে যাওয়ার আগে ঠিক করো কে কি আনবে, তাই না?

দ্বিতীয় ধাপ: কোড তৈরি করা এবং পরীক্ষা করা (Developing and Testing the Code)

এরপর, তারা তাদের প্রযুক্তির মূল অংশ, অর্থাৎ যে কোডগুলো তারা তৈরি করেছিল, সেগুলোকে ভালো করে পরীক্ষা করেছে। নিশ্চিত করেছে যেন সবকিছু ঠিকঠাক কাজ করে এবং কারো কোনো ক্ষতি না হয়। এটা অনেকটা পরীক্ষা দেওয়ার আগে নিজের পড়া ভালো করে দেখে নেওয়ার মতো।

তৃতীয় ধাপ: সবার জন্য উন্মুক্ত করা (Making it Publicly Available)

এবার আসল কাজ! তারা তাদের তৈরি করা প্রযুক্তি, অর্থাৎ কোডগুলো GitHub-এর মতো প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করে দিয়েছে। এর মানে হলো, পৃথিবীর যে কেউ এখন এই কোডগুলো দেখতে পারবে, ডাউনলোড করতে পারবে এবং ব্যবহার করতে পারবে। তারা আসলে একটি “ওপেন সোর্স লাইসেন্স” ব্যবহার করেছে, যা বলে দেয় কিভাবে অন্যরা এটি ব্যবহার করতে পারবে।

চতুর্থ ধাপ: অন্যদের যুক্ত করা এবং সাহায্য করা (Engaging and Supporting the Community)

প্রযুক্তি উন্মুক্ত করে দিলেই সব শেষ নয়। এরপর, যারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, তাদের সাহায্য করা, তাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া এবং তাদের নতুন ধারণাগুলোকে গ্রহণ করা – এটাও খুব জরুরি। তারা একটি কমিউনিটি বা গোষ্ঠী তৈরি করেছে যেখানে সবাই মিলে কাজ করতে পারে। এটা অনেকটা বন্ধুদের সাথে মিলে একটি দল করে নতুন কিছু শেখার মতো।

কেন এই ঘটনাটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

এই ঘটনাটি শুধু জাতিসংঘের জন্যই নয়, বরং সারা পৃথিবীর জন্যই একটি দারুণ উদাহরণ।

  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আগ্রহ বাড়াতে: এই গল্পটি আমাদের দেখায় যে, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে আমরা পৃথিবীর অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পারি।
  • সহযোগিতার গুরুত্ব: যখন আমরা নিজেদের জ্ঞান এবং প্রযুক্তি অন্যদের সাথে ভাগ করে নিই, তখন আমরা আরও শক্তিশালী হই এবং আরও ভালো কিছু তৈরি করতে পারি।
  • নতুন উদ্ভাবনের দরজা খোলা: এই উন্মুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে হয়তো অন্য কেউ এমন কিছু তৈরি করবে যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি! হয়তো আগামী দিনে কোনো তরুণ বিজ্ঞানী এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই কোনো নতুন রোগ নিরাময়ের উপায় খুঁজে বের করবে।

তোমাদের জন্য কি আছে?

তোমরা যারা এই লেখাটি পড়ছো, তোমরা প্রত্যেকেই এক একজন ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানী বা উদ্ভাবক। এই গল্পটি তোমাদের অনুপ্রাণিত করুক। তোমরা নিজেদের চারপাশে দেখো, কি কি সমস্যা আছে? তোমরা কি এমন কোনো প্রযুক্তি বা ধারণার কথা ভাবতে পারো যা সেই সমস্যাগুলোর সমাধানে সাহায্য করতে পারে?

ভুলে যেও না, বিজ্ঞান মানে শুধু বইয়ের পড়া নয়, এটা হলো জানার আগ্রহ, নতুন কিছু তৈরি করার সাহস এবং অন্যদের সাথে মিলেমিশে কাজ করা। জাতিসংঘের এই সংস্থাটি আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছে। চলো আমরা সবাই মিলে বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হই এবং এই পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তুলি!


From private to public: How a United Nations organization open sourced its tech in four steps


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-08-13 16:00 এ, GitHub ‘From private to public: How a United Nations organization open sourced its tech in four steps’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন