আমাদের শরীরের নাচ-গানের বিস্ময়: পারকিনসন রোগের নতুন আশা!,Harvard University


আমাদের শরীরের নাচ-গানের বিস্ময়: পারকিনসন রোগের নতুন আশা!

শিরোনাম: আমাদের হাত-পা কেন ঠিকঠাক নড়ে? পারকিনসন রোগের রহস্যের নতুন চাবিকাঠি!

প্রকাশের তারিখ: ১১ই আগস্ট, ২০২৫

প্রকাশক: হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি (Harvard University)

আচ্ছা, তোমরা কি কখনো খেয়াল করেছো যে আমরা কীভাবে হাঁটি, দৌড়াই, জিনিসপত্র ধরি বা নাচি? আমাদের মস্তিষ্ক আর শরীরের বিভিন্ন অংশ যেন এক অদ্ভূত নাচের তালে কাজ করে। কিন্তু কখনো কখনো এই নাচের তালে গোলমাল দেখা দেয়, যার ফলে আমাদের হাত-পা কাঁপতে শুরু করে, হাঁটতে অসুবিধা হয় বা কথা বলতে সমস্যা হয়। এই রকম একটি রোগের নাম হলো ‘পারকিনসন রোগ’।

এবার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা পারকিনসন রোগের মতো কিছু সমস্যাকে বোঝার জন্য একটি নতুন এবং দারুণ আবিষ্কার করেছেন। ভাবো তো, আমাদের শরীরের ভেতরের ছোট্ট ছোট্ট জিনিসগুলো কীভাবে এই নাচের তালে সাহায্য করে?

আমাদের শরীরের ছোট বিজ্ঞানী: প্রোটিন

আমাদের শরীর লক্ষ লক্ষ ছোট্ট ছোট্ট “প্রোটিন” (proteins) দিয়ে তৈরি। এদেরকে আমাদের শরীরের ছোট বিজ্ঞানীও বলতে পারো। এরা আমাদের শরীরের প্রায় সব কাজেই সাহায্য করে, ঠিক যেমন কারখানার শ্রমিকরা একসাথে কাজ করে জিনিস বানায়।

এক বিশেষ প্রোটিনের গোলমাল

হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা পারকিনসন রোগের সাথে জড়িত একটি বিশেষ প্রোটিনকে নিয়ে গবেষণা করেছেন। এই প্রোটিনটির নাম হলো “আলফা-সিনুক্লেইন” (alpha-synuclein)। সাধারণ অবস্থায় এই প্রোটিনটি আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলোতে (brain cells) খুব সুন্দরভাবে কাজ করে। কিন্তু পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হলে, এই প্রোটিনটি এলোমেলো হয়ে যায় এবং এক জায়গায় জমাট বাঁধতে শুরু করে।

ভাবো তো, যদি কারখানার সব শ্রমিক এলোমেলো হয়ে যায় এবং কাজ না করে এক জায়গায় বসে থাকে, তাহলে কী হবে? কারখানায় জিনিস তৈরি হবে না। ঠিক তেমনই, যখন আলফা-সিনুক্লেইন প্রোটিন এলোমেলো হয়ে জমাট বাঁধে, তখন মস্তিষ্কের কোষগুলো ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না। এর ফলে হাত-পা কাঁপা, ধীরে চলাফেরা করা, বা কথা বলতে সমস্যা হওয়ার মতো উপসর্গগুলো দেখা দেয়।

নতুন আবিষ্কার কী?

হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন যে, এই আলফা-সিনুক্লেইন প্রোটিনটি আসলে কীভাবে এলোমেলো হওয়া শুরু করে। তারা দেখেছেন যে, যখন এই প্রোটিনটি আমাদের কোষের একটি বিশেষ অংশের (যাকে বলে “মাইক্রোটিউবিউল” – microtubule) সাথে সঠিকভাবে যুক্ত হতে পারে না, তখনই গোলমাল শুরু হয়।

মাইক্রোটিউবিউলগুলো আমাদের কোষের ভেতর রাস্তা বা লাইনের মতো কাজ করে, যার ওপর দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চলাচল করে। যদি এই রাস্তাগুলো ঠিক না থাকে, তাহলে জিনিসপত্র সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারে না। আলফা-সিনুক্লেইন প্রোটিনের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়। যখন এই প্রোটিনটি মাইক্রোটিউবিউলের সাথে ঠিকমতো যুক্ত হতে পারে না, তখন এটি নিজেই খারাপ হয়ে যেতে শুরু করে এবং জমাট বাঁধতে থাকে।

কেন এই আবিষ্কার এত গুরুত্বপূর্ণ?

এই আবিষ্কারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ:

  • রোগ বোঝার নতুন পথ: এখন বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবেন যে পারকিনসন রোগ আসলে কোথা থেকে শুরু হচ্ছে।
  • নতুন ওষুধ তৈরির আশা: যেহেতু তারা রোগটির একটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন, তাই বিজ্ঞানীরা এমন ওষুধ তৈরি করতে পারবেন যা এই প্রোটিনটিকে ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।
  • অন্যান্য রোগের জন্য আশার আলো: শুধু পারকিনসন রোগই নয়, এই একই ধরনের প্রোটিনের সমস্যা অন্যান্য অনেক স্নায়বিক রোগেও (neurological disorders) দেখা যায়। তাই এই আবিষ্কার অন্যান্য রোগকেও বুঝতে সাহায্য করবে।

শিশুদের জন্য বিজ্ঞান কেন মজার?

তোমরা ছোট ছোট বিজ্ঞানীরা! তোমাদের চারপাশের সবকিছুই বিজ্ঞানের অংশ। কীভাবে একটি বীজ গাছ হয়, কেন আকাশ নীল, বা আমরা কেন হাঁচি দিই – এই সবকিছুর পেছনেই আছে বিজ্ঞান।

পারকিনসন রোগের মতো জটিল জিনিসগুলো বোঝাটাও বিজ্ঞানের মাধ্যমে সম্ভব। যখন বিজ্ঞানীরা এই ধরনের নতুন জিনিস আবিষ্কার করেন, তখন মনে হয় যেন আমরা একটি ধাঁধার সমাধান করছি। আর প্রতিটি নতুন আবিষ্কার আমাদের আরও বেশি জানতে উৎসাহ দেয়।

ভবিষ্যতে তোমরাও হয়তো অনেক বড় বিজ্ঞানী হয়ে উঠবে। তোমরা এমন নতুন জিনিস আবিষ্কার করবে যা মানুষের জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলবে। তাই চারপাশের সবকিছু মন দিয়ে দেখো, প্রশ্ন করো আর বিজ্ঞানের এই মজার জগতে সবসময় যুক্ত থাকো!

এই নতুন আবিষ্কার পারকিনসন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অনেক বড় আশা নিয়ে এসেছে। বিজ্ঞানীরা এখন এই তথ্য ব্যবহার করে এমন সব উপায় খুঁজছেন যাতে এই রোগ আর মানুষকে কষ্ট না দেয়।


Possible clue into movement disorders like Parkinson’s, others


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-08-11 18:22 এ, Harvard University ‘Possible clue into movement disorders like Parkinson’s, others’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন