
CSIR-এর বিশেষ “ম্যাজিক প্লেটিং” পরিষেবা: যা ধাতুকে নতুন জীবন দেয়!
কলকাতার বন্ধুরা, তোমরা কি জানো CSIR (Council for Scientific and Industrial Research) কী? এটা হলো এমন একটা জায়গা যেখানে বিজ্ঞানীরা দারুণ সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করেন! সম্প্রতি, CSIR একটি নতুন এবং খুবই মজার কাজের জন্য প্রস্তাব চেয়েছে। কী সেই কাজ? চলো আমরা সহজ ভাষায় জেনে নিই, যাতে তোমরাও বিজ্ঞানের এই মজার দিকটা বুঝতে পারো।
“ম্যাজিক প্লেটিং” কী?
ধরো, তোমার একটা প্রিয় খেলনা আছে, যেটা লোহার তৈরি। সময়ের সাথে সাথে হয়তো সেটায় মরিচা ধরে গেছে, বা দেখতে সুন্দর লাগছে না। CSIR-এর বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরণের “ম্যাজিক প্লেটিং” এর কথা বলছেন, যা এই খেলনাটিকে আবার নতুন করে তুলবে!
এই “ম্যাজিক প্লেটিং” এর আসল নাম হলো “ব্রাশ/সিলেক্টিভ নিকেল ইলেক্ট্রোপ্লেটিং”। নামটা একটু কঠিন মনে হলেও, এর কাজটা কিন্তু খুবই সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ।
কীভাবে কাজ করে এই “ম্যাজিক প্লেটিং”?
আমরা যখন কোনো কিছুতে রং করি, তখন সেটা দেখতে সুন্দর লাগে। ইলেক্ট্রোপ্লেটিংও অনেকটা সেরকমই, তবে এটা রং নয়, বরং এক ধরণের ধাতুর প্রলেপ।
- ইলেক্ট্রোপ্লেটিং: এটা হলো বিদ্যুৎ ব্যবহার করে একটি ধাতুর উপর অন্য ধাতুর পাতলা স্তর লাগানোর একটি পদ্ধতি। ভাবো তো, যেমন আমরা কোনো ছবির উপর স্বচ্ছ কাঁচ বসিয়ে দিই, সেরকমই!
- নিকেল: নিকেল হলো একটি বিশেষ ধরণের ধাতু, যেটা লোহা বা স্টিলের মতো জিনিসকে মরিচা পড়তে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে আরও শক্ত ও চকচকে করে তোলে।
- ব্রাশ/সিলেক্টিভ: “সিলেক্টিভ” মানে হলো বেছে বেছে। অর্থাৎ, এই “ম্যাজিক প্লেটিং” এমনভাবে করা হবে যাতে ঠিক যে অংশটায় প্রলেপ দরকার, ঠিক সেই অংশটাতেই লাগবে। অনেকটা আমাদের আঁকার সময় যেমন আমরা রং করি, শুধু নির্দিষ্ট জায়গাটায়, সেরকম। ব্রাশ দিয়ে যেমন রং করা যায়, তেমনই এই পদ্ধতিটিও কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
CSIR কেন এই পরিষেবা চাইছে?
CSIR-এর বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রাংশ তৈরি করেন, যা অনেক জটিল গবেষণার কাজে লাগে। এই যন্ত্রাংশগুলো খুব সাবধানে তৈরি করতে হয় এবং সেগুলোকে মরিচা বা ক্ষয় থেকে রক্ষা করাটা খুব জরুরি। তাই, তারা এমন একটি কোম্পানির সন্ধান করছেন যারা এই “ম্যাজিক প্লেটিং” পরিষেবাটি দিতে পারবে।
এই পরিষেবাটি তিন বছরের জন্য ব্যবহার করা হবে। এর মানে হলো, আগামী তিন বছর ধরে CSIR-এর বিজ্ঞানীরা তাদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশগুলোকে এই বিশেষ “ম্যাজিক প্লেটিং” এর মাধ্যমে আরও উন্নত করে তুলবেন।
এটা কেন বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে?
- প্রয়োগিক বিজ্ঞান: এটা হলো বিজ্ঞানের এক চমৎকার উদাহরণ যেখানে আমরা যা শিখি, তা সরাসরি কাজে লাগানো হয়। এই প্লেটিং-এর ফলে যন্ত্রাংশগুলো যেমন ভালো থাকে, তেমনি অনেক নতুন জিনিস তৈরি করাও সম্ভব হয়।
- নতুনত্ব: ভাবো তো, তোমার পুরনো খেলনা যদি আবার নতুনের মতো চকচকে হয়ে যায়, বা তোমার সাইকেলের কোনো অংশ যদি সহজে নষ্ট না হয়, তাহলে কেমন লাগবে! এই প্লেটিং-এর মাধ্যমে অনেক পুরনো জিনিসকেও আবার ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায়।
- ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি: CSIR-এর মতো সংস্থাগুলো ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে। এই ধরণের উন্নত প্রযুক্তি তাদের গবেষণা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
তোমরা যা করতে পারো:
বন্ধুরা, তোমরা যখন বড় হবে, তখন তোমারও হয়তো এমন কোনো কাজে যুক্ত হওয়ার সুযোগ আসতে পারে। বিজ্ঞানের প্রতি এইভাবেই উৎসাহী হও। ছোট ছোট জিনিসকে প্রশ্ন করো, সেগুলোর পেছনের কারণ জানার চেষ্টা করো। কে জানে, হয়তো আগামী দিনে তোমরাও CSIR-এর মতো বড় কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এমন “ম্যাজিক প্লেটিং” বা আরও অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর কাজ করবে!
CSIR-এর এই নতুন উদ্যোগটি বিজ্ঞানের এক নতুন দিক উন্মোচন করেছে, যা আমাদের চারপাশের জিনিসগুলোকে আরও উন্নত ও টেকসই করে তুলবে।
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-08-14 10:47 এ, Council for Scientific and Industrial Research ‘Request for Proposals (RFP) for The provision of Brush/Selective Nickel Electroplating services for a period of three years to the CSIR’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।