
বিপদে পড়লে কী করবে? এক অবাক করা শেখা!
** at 2025-07-23 15:00 **
তোমরা কি জানো, তোমরা যদি একটা ছোট্ট হরিণ ইঁদুর হও আর হঠাৎ করে একটা বড় পাখি তোমার দিকে তেড়ে আসে, তাহলে তোমার কী করা উচিত? অথবা যদি তুমি একটা উটকো হও আর তোমার ওপর আকাশ থেকে কেউ আক্রমণ করে, তখন কী করবে? শুনতে অবাক লাগলেও, এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে তুমি আসলে কে তার উপর!
আমেরিকার বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি এই মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করার জন্য একটি নতুন গবেষণা প্রকাশ করেছে। এই গবেষণা আমাদের শেখায় যে, বিপদের সময় কে কেমন আচরণ করবে তা নির্ভর করে তাদের শরীর, বুদ্ধি এবং সেই পরিবেশের উপর যেখানে তারা আছে।
ছোট্ট হরিণ ইঁদুরের কী হয়?
ধরো তুমি একটা ছোট্ট, নরম লোমওয়ালা হরিণ ইঁদুর। তোমার কাজ হলো মাটি থেকে শস্যদানা খুঁজে বের করা এবং নিরাপদে গর্তে ফিরে যাওয়া। হঠাৎ দেখলে, একটা বাজপাখি বা অন্য কোনো শিকারী পাখি তোমার দিকে তেড়ে আসছে। তোমার কাছে দুটো পথ খোলা:
- দৌড়ে পালানো: তোমার ছোট পা দিয়ে দ্রুত দৌড়াতে পারো। কিন্তু পাখিটা তো উড়ছে, সে কি তোমাকে ধরতে পারবে?
- লুকিয়ে পড়া: আশেপাশে যদি ঝোপঝাড় বা লম্বা ঘাস থাকে, সেখানে লুকিয়ে পড়তে পারো। হয়তো পাখিটা তোমাকে দেখতে পাবে না।
গবেষকরা বলছেন, হরিণ ইঁদুর সাধারণত দুটোর মধ্যে যেকোনো একটা বেছে নেয়। যদি আশেপাশে লুকানোর জায়গা থাকে, তবে তারা সেখানেই লুকিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। আর যদি খোলা মাঠে থাকে, তবে তারা যত দ্রুত সম্ভব দৌড়াতে থাকে। তাদের শরীর তৈরিই হয়েছে এমনভাবে যাতে তারা দ্রুত নড়াচড়া করতে পারে।
এবার ভাবো, তুমি যদি একটা উটকো হও!
উটকোরা হলো ছোট, ডানাওয়ালা প্রাণী যারা বাতাসে উড়তে পারে। যখন তাদের উপর কোনো শিকারী পাখি আক্রমণ করে, তখন তাদের পরিস্থিতি হরিণ ইঁদুরের চেয়ে একটু আলাদা।
- আকাশে উড়ে পালানো: উটকোরা উড়তে পারে, তাই তারা সহজেই আকাশের দিকে উড়ে গিয়ে পাখিটাকে এড়িয়ে যেতে পারে।
- বাঁক নেওয়া: তারা খুবই দ্রুত দিক বদলাতে পারে। পাখিটা যখন তাদের ধরতে আসবে, তখন তারা হঠাৎ করে বাঁক নিয়ে পাখিটাকে ফাঁকি দিতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, উটকোরা তাদের উড়ার ক্ষমতাকে ব্যবহার করে। তারা শুধু সোজা পালানোর চেষ্টা না করে, বুদ্ধি করে ডানার ব্যবহার করে দ্রুত দিক পরিবর্তন করে।
কেন এই গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ?
এই গবেষণা শুধু পশুদের আচরণ নিয়ে নয়, এটি আমাদের কিছু বড় জিনিস শেখায়:
- বিপদের মুখে বুদ্ধি: বিপদের সময় কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা শুধু তোমার শক্তি বা গতির উপর নির্ভর করে না, তোমার বুদ্ধি এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির উপরও নির্ভর করে।
- প্রকৃতির নকশা: প্রত্যেক প্রাণীর শরীর তাদের বেঁচে থাকার জন্য তৈরি। হরিণ ইঁদুরের ছোট পা দ্রুত দৌড়াতে সাহায্য করে, আর উটকোদের ডানা তাদের আকাশে উড়তে এবং দিক পরিবর্তন করতে দেয়।
- গবেষণা আমাদের জ্ঞান বাড়ায়: হার্ভার্ডের মতো বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন এই ধরনের মজার গবেষণা করে, তখন আমরা নতুন জিনিস শিখি এবং বিজ্ঞানকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি।
বিজ্ঞানীদের কী মনে হয়?
গবেষণাটি যারা করেছেন, তারা বলছেন যে এই কাজ আমাদের বুঝতে সাহায্য করে যে, কীভাবে বিভিন্ন প্রাণী তাদের পরিবেশে টিকে থাকে। তারা আরও বলছেন, “আমরা শুধু দেখতে চাইছি যে, যখন কোনো প্রাণী বিপদের সম্মুখীন হয়, তখন সে কী কী উপায় অবলম্বন করতে পারে। এটা তাদের বেঁচে থাকার কৌশলের একটি বড় অংশ।”
ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা কী শিখলে?
আমরা সবাই, এমনকি ছোট পোকামাকড় বা ইঁদুরও, যখন বিপদে পড়ি তখন বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজ করি। বিজ্ঞান আমাদের এই সব বিস্ময়কর জিনিস শেখায়। তোমরা যখন প্রকৃতিতে বিভিন্ন প্রাণী দেখবে, তখন ভেবো না তারা শুধু এমনি এমনি আছে। তারা সবাই নিজেদের মতো করে বেঁচে থাকার জন্য অনেক কিছু শেখে এবং ব্যবহার করে।
বিজ্ঞান এক বিশাল রহস্যের দরজা খুলে দেয়। তোমরা যদি এই ধরনের প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে থাকো, তবে একদিন তোমরাও হয়তো নতুন কিছু আবিষ্কার করে ফেলবে!
You’re a deer mouse, and bird is diving at you. What to do? Depends.
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-23 15:00 এ, Harvard University ‘You’re a deer mouse, and bird is diving at you. What to do? Depends.’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।