
প্রাচীন গ্রীক ট্র্যাজেডি থেকে আধুনিক হরর: হার্ভার্ডের নতুন গবেষণা
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি নতুন গবেষণা প্রকাশ করেছে যা প্রাচীন গ্রীক ট্র্যাজেডি এবং আধুনিক হরর চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় সংযোগ স্থাপন করে। এই গবেষণাটি দেখায় কিভাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানব মনে ভয় এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করার উপাদানগুলো একই রকম রয়ে গেছে।
ট্র্যাজেডি কি?
প্রাচীন গ্রীক ট্র্যাজেডি হলো এক ধরণের নাটক যা সাধারণত দুঃখজনক ঘটনা, যেমন – মৃত্যু, ধ্বংস, বা বিশাল বিপর্যয় নিয়ে রচিত। এই নাটকগুলোতে এমন চরিত্র থাকে যারা তাদের নিয়তি বা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। ইডিটিপাস রেক্স (Oedipus Rex) বা অ্যান্টিগনি (Antigone) এর মতো ট্র্যাজেডিগুলো আমাদের মনে গভীর অনুভূতি জাগিয়ে তোলে এবং জীবনের অনিশ্চয়তা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।
হরর চলচ্চিত্র কেন ভয় দেখায়?
হরর চলচ্চিত্র আমাদের ভয়ের গভীরে নিয়ে যায়। এটি আমাদের মনে অজানা, অপ্রত্যাশিত এবং ভয়ঙ্কর জিনিসগুলির প্রতি প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তোলে। জম্বি, ভুত, বা দানবদের গল্প থেকে শুরু করে মনস্তাত্ত্বিক ভয়, হরর চলচ্চিত্র বিভিন্ন উপায়ে আমাদের স্তম্ভিত করে।
প্রাচীন ও আধুনিক ভয়ের মেলবন্ধন:
হার্ভার্ডের এই গবেষণা অনুসারে, প্রাচীন গ্রীক ট্র্যাজেডি এবং আধুনিক হরর চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। এই দুই ধরণের কাহিনিতেই কিছু সাধারণ উপাদান দেখা যায়:
- অশুভ শক্তি: ট্র্যাজেডিতে দেব-দেবী বা ভাগ্যের অশুভ শক্তি যেমন ভাবে চরিত্রদের জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনে, তেমনি হরর চলচ্চিত্রেও অশুভ আত্মা, দানব বা অলৌকিক শক্তি থাকে যা নায়কদের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে।
- শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা: ট্র্যাজেডির চরিত্ররা প্রায়শই শারীরিক ও মানসিক কষ্টের শিকার হন। হরর চলচ্চিত্রেও আমরা এই ধরণের যন্ত্রণা দেখি, যা দর্শকের মনে ভয় এবং সহানুভূতি জাগায়।
- অনিশ্চয়তা ও বিস্ময়: ট্র্যাজেডি যেভাবে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে, হরর চলচ্চিত্রও তেমনই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ও চমক দিয়ে দর্শকদের হতবাক করে।
- পরিচয় সংকট: অনেক ট্র্যাজেডিতে চরিত্ররা তাদের পরিচয় নিয়ে দ্বন্দ্বে ভোগে, যা হরর চলচ্চিত্রেও বিভিন্ন ভূতের বা ভুতুড়ে গল্পের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
শিশুদের জন্য বিজ্ঞান:
এই গবেষণাটি দেখায় যে, মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে কী ধরণের জিনিস থেকে ভয় পেয়েছে এবং কীভাবে এই ভয়কে কাহিনিতে ব্যবহার করা হয়েছে। বিজ্ঞান আমাদের এই অনুভূতিগুলো বুঝতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে ভয়কে প্রক্রিয়া করে, তা নিয়ে নিউরোসায়েন্স গবেষণা করে। হরর চলচ্চিত্র বা ট্র্যাজেডি দেখে আমাদের যে প্রতিক্রিয়া হয়, তার পিছনেও বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে।
এই গবেষণাটি শিশুদের বিজ্ঞান, বিশেষ করে মনস্তত্ত্ব ও সাহিত্য সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলতে পারে। এটি বোঝায় যে, পুরোনো কাহিনিগুলোও আমাদের বর্তমান জীবনের সাথে সম্পর্কিত এবং বিজ্ঞান কীভাবে এইসব বিষয় বুঝতে সাহায্য করে।
উপসংহার:
হার্ভার্ডের এই গবেষণাটি প্রমাণ করে যে, প্রাচীন গ্রীক ট্র্যাজেডি শুধুমাত্র অতীতের শিল্পকর্ম নয়, বরং এটি আধুনিক হরর চলচ্চিত্রের মূল উৎস। এই দুই ধরণের কাহিনি মানব মনে ভয়ের অনুভূতি জাগানোর ক্ষেত্রে একই রকম ভূমিকা পালন করে। বিজ্ঞান আমাদের এই ভয়ের উপাদানগুলো আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে এবং নতুন কিছু আবিষ্কারের পথ খুলে দিতে পারে।
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-30 15:58 এ, Harvard University ‘From tragedy to ‘Ecstasy’’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।