জীবনের এক বড় রহস্যের জট খুলল!,Harvard University


জীবনের এক বড় রহস্যের জট খুলল!

খবর: হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, ২২শে জুলাই, ২০২৫

বন্ধুরা, তোমরা কি কখনো ভেবে দেখেছো, এই যে আমরা সবাই, এই যে গাছপালা, পশু-পাখি, এই সবকিছু—এগুলো কী দিয়ে তৈরি? কী এদের বাঁচিয়ে রাখে? আজ আমরা এমন এক মজার খবর জানব, যা এই সবকিছুর পেছনের এক বিশাল রহস্যের জট খুলতে সাহায্য করবে!

হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা কী খুঁজে পেয়েছেন?

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির কিছু খুব বুদ্ধিমান বিজ্ঞানী একটি বিশেষ জিনিস খুঁজে বের করেছেন। এই জিনিসটি হলো “RNA” (আর.এন.এ.)। তোমরা হয়তো “DNA” (ডি.এন.এ.)-এর নাম শুনেছ, যা আমাদের শরীরের সব তথ্য লুকিয়ে রাখে, ঠিক যেন একটা গোপন কোডবুক। RNA হলো DNA-এরই একটি ছোট ভাই।

RNA কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

ভাবো তো, আমাদের শরীরটা একটা বিশাল ফ্যাক্টরির মতো। এই ফ্যাক্টরিতে নানা রকম কাজ করার জন্য নানা রকম যন্ত্রপাতির দরকার হয়। DNA হলো সেই ফ্যাক্টরির নকশা (blueprint), যেখানে সবকিছুর নিয়ম লেখা আছে। আর RNA হলো সেই ফ্যাক্টরির একজন কর্মী, যে DNA-এর নকশা পড়ে, সেখান থেকে দরকারি তথ্য নিয়ে কারখানায় পৌঁছে দেয় এবং সেই তথ্য অনুযায়ী জিনিস তৈরি করতে সাহায্য করে।

কিন্তু এখানে একটা মজার ব্যাপার আছে! বিজ্ঞানীরা এতদিন ধরে ভাবতেন, RNA শুধু এই তথ্য আনার কাজটাই করে। কিন্তু এখন তারা আবিষ্কার করেছেন, RNA আসলে আরও অনেক বেশি শক্তিশালী! এটা শুধু তথ্য আনাই নয়, এটা নিজেও কিছু কিছু কাজ করতে পারে, যা আগে আমরা ভাবতেই পারিনি।

কী সেই নতুন আবিষ্কার?

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, RNA আসলে নিজের শরীরের কিছু অংশকে (যাকে “রাইবোসাইম” বলা হয়) ঠিকঠাকভাবে কাজ করতে সাহায্য করতে পারে। এটা অনেকটা এমন যে, একজন কর্মী শুধু নকশা দেখে জিনিস তৈরিই করছে না, বরং তার নিজের হাত-পাগুলোকেও ঠিকঠাকভাবে নড়াচড়া করতে এবং কাজ করতে শেখাচ্ছে!

এটা কেন জীবনের রহস্যের সমাধান?

তোমরা কি জানো, অনেক অনেক বছর আগে, যখন পৃথিবীতে প্রথম জীবন শুরু হয়েছিল, তখন হয়তো DNA-ও ছিল না, আর আজকের মতো জটিল যন্ত্রও ছিল না। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সেই সময় হয়তো RNA-ই ছিল সবকিছু। RNA একদিকে তথ্য ধরে রাখত, আবার অন্যদিকে নিজের কাজও করত। এটা ছিল জীবনের প্রথম দিকের সবকিছুর মূল উৎস।

হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা এখন সেই আদিম RNA-এর মতো কিছু কাজকে আবার তৈরি করতে পারছেন। এর মানে হলো, আমরা এখন বুঝতে পারছি, কীভাবে এই জগতটা একদিন শুরু হয়েছিল। এটা অনেকটা গুপ্তধন খোঁজার মতো, যেখানে আমরা জীবনের সবচেয়ে পুরনো এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশের খোঁজ পাচ্ছি।

এটা আমাদের কী শেখায়?

এই আবিষ্কার আমাদের শেখায় যে, বিজ্ঞান কত বড় একটি ক্ষেত্র। ছোট ছোট জিনিস থেকেও কত বড় রহস্যের সমাধান হতে পারে! এই RNA-এর মতো ছোট জিনিসই হয়তো একদিন এই পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর জন্ম দিয়েছিল।

বন্ধুরা, তোমরাও কি এমন কোনো কিছু আবিষ্কার করতে চাও?

বিজ্ঞান হলো প্রশ্ন করা এবং উত্তর খোঁজা। তোমরাও তোমাদের চারপাশের জিনিসগুলো নিয়ে প্রশ্ন করতে পারো। কেন আকাশ নীল? পাখি কেন উড়তে পারে? কেন আমরা ঘুমাই? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে খুঁজতে তোমরাও একদিন বড় বিজ্ঞানী হয়ে যেতে পারো এবং জীবনের আরও অনেক নতুন রহস্যের সমাধান করতে পারো।

এই আবিষ্কারটি প্রমাণ করে যে, আমরা যত বেশি শিখব, তত বেশি নতুন নতুন জিনিস জানতে পারব। আর বিজ্ঞানের এই পথচলা কখনো শেষ হয় না, চলতেই থাকে! তাই সবাই প্রশ্ন করো, জানো এবং নিজেরা কিছু তৈরি করার চেষ্টা করো। কে জানে, হয়তো তোমার আবিষ্কারও একদিন পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা থাকবে!


A step toward solving central mystery of life on Earth


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-22 19:45 এ, Harvard University ‘A step toward solving central mystery of life on Earth’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন