কিশোরদের বিক্ষিপ্তভাবে গাড়ি চালানোর পেছনের রহস্য: কেন এমন হয় এবং আমরা কী করতে পারি?,Harvard University


কিশোরদের বিক্ষিপ্তভাবে গাড়ি চালানোর পেছনের রহস্য: কেন এমন হয় এবং আমরা কী করতে পারি?

প্রকাশিত তারিখ: ২৯শে জুলাই, ২০২৫ প্রকাশক: হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি

তোমরা কি জানো, অনেক কিশোর-কিশোরী গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো দিকে মন দিয়ে ফেলে? এর ফলে তাদের গাড়ি চালাতে সমস্যা হয় এবং দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টি নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন এবং আমাদের জানিয়েছেন কেন এমন হয়। এসো, আমরা সহজ ভাষায় এই রহস্য উন্মোচন করি এবং দেখি কিভাবে আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।

কেন কিশোররা গাড়ি চালানোর সময় বিক্ষিপ্ত হয়?

কিশোর বয়সে আমাদের মস্তিষ্ক এখনও তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে, মস্তিষ্কের যে অংশটি সিদ্ধান্ত নিতে, ঝুঁকি বুঝতে এবং মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে, সেটি তখনও সম্পূর্ণ বিকশিত হয় না। এর কিছু কারণ হলো:

  • মস্তিষ্কের অপরিপক্কতা: কিশোরদের মস্তিষ্কের সামনের অংশ, যাকে ‘প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স’ (Prefrontal Cortex) বলা হয়, এটি তাদের জন্য নতুন এবং উত্তেজনাপূর্ণ সবকিছুর প্রতি আকৃষ্ট হতে সাহায্য করে, কিন্তু একই সাথে এটি তাদের মনোযোগ ধরে রাখতে এবং বিপদ এড়াতেও সাহায্য করে। এই অংশটি পুরোপুরি বিকশিত হতে প্রায় ২৫ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই, কোনো নতুন মেসেজ আসা বা বন্ধুদের সাথে কথা বলার প্রতি তাদের মন বেশি আকৃষ্ট হতে পারে।
  • ঝুঁকি সম্পর্কে কম ধারণা: কিশোররা প্রায়শই ভালো-মন্দ বিচার করতে বা ঝুঁকির পরিমাণ বুঝতে অন্যদের চেয়ে কম পারদর্শী হয়। তারা মনে করতে পারে, “আমার কিছু হবে না” বা “আমি এটা সহজেই সামলাতে পারব”, যদিও বাস্তবে তা নয়।
  • সামাজিক চাপ: অনেক সময় বন্ধুরা একসাথে থাকলে বা কোনো ট্রেন্ডিং বিষয় নিয়ে কথা বলতে বললে কিশোররা তাদের “না” বলতে পারে না। তারা চায় বন্ধুদের সাথে মিশতে এবং তাদের পছন্দের তালিকায় থাকতে। ফলে, বন্ধুর সাথে কথা বলা বা সোশ্যাল মিডিয়া দেখার জন্য তারা চালকের আসনে বসেও অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে।
  • প্রযুক্তির আকর্ষণ: স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও গেম – এই সবকিছুই কিশোরদের কাছে খুব আকর্ষণীয়। গাড়ির স্টিয়ারিং হুইলের পেছনে বসেও তাদের মনে হয়, “এই মেসেজটার উত্তর দেওয়া দরকার” বা “একটা রিল দেখে ফেলি”।

হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে কী জানা গেল?

হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা এই বিষয়গুলো নিয়ে আরও ভালোভাবে বুঝতে চেয়েছেন। তারা দেখেছেন যে, শুধু ‘না’ বলার জন্য বলাটা যথেষ্ট নয়। আসল ব্যাপার হলো, কিশোরদের মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে এবং তারা কেন কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

  • মনোযোগের ভাগাভাগি: বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, গাড়ি চালানো একটি জটিল কাজ যার জন্য পুরো মনোযোগের প্রয়োজন। কিন্তু কিশোরদের মস্তিষ্ক একই সাথে অনেক কিছুতে মনোযোগ দিতে বা খুব দ্রুত এক কাজ থেকে অন্য কাজে যেতে ততটা পারদর্শী নয়। ফলে, যখন তারা গাড়ি চালানোর সাথে সাথে অন্য কোনো কাজ করে, তখন তাদের মনোযোগ ভাগ হয়ে যায় এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ে।
  • পুরস্কারের প্রতি আকর্ষণ: কিশোরদের মস্তিষ্ক পুরস্কারের প্রতি খুব সংবেদনশীল। যখন তারা কোনো নোটিফিকেশন পায় বা মেসেজের উত্তর দেয়, তখন তাদের মস্তিষ্কে এক ধরনের আনন্দদায়ক অনুভূতি তৈরি হয়। এই আনন্দদায়ক অনুভূতির লোভে তারা গাড়ি চালানোর সময়ও এই কাজগুলো করতে চায়।

আমরা কী করতে পারি?

এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা সবাই মিলে কিছু কাজ করতে পারি:

  • সচেতনতা বৃদ্ধি: আমাদের সবাইকে জানতে হবে যে, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ব্যবহার বা অন্যমনস্ক হওয়া কতটা বিপজ্জনক। বাবা-মা, শিক্ষক এবং বড় ভাই-বোনেরা এই বিষয়ে কিশোরদের সচেতন করতে পারেন।
  • নিয়ম তৈরি: গাড়ি চালানোর সময় ফোন ব্যবহার করা যাবে না, এই ব্যাপারে বাড়িতে এবং স্কুলে স্পষ্ট নিয়ম থাকা উচিত।
  • প্রযুক্তি ব্যবহার: কিছু স্মার্টফোনে এমন অ্যাপ থাকে যা গাড়ি চালানোর সময় ফোন ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • অনুশীলন: কিশোরদের এমন পরিবেশে গাড়ি চালানো অনুশীলন করানো উচিত যেখানে তারা ধীরে ধীরে এবং সাবধানে শিখতে পারে, যাতে তারা গাড়ি চালানোর কাজে পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারে।
  • উদাহরণ তৈরি: বড়দেরও উচিত গাড়ি চালানোর সময় সতর্ক থাকা এবং ফোন ব্যবহার না করা। কিশোররা বড়দের দেখেই শেখে।

বিজ্ঞান ও নতুন আবিষ্কার:

বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছেন কিভাবে এই সমস্যাটি আরও ভালোভাবে মোকাবেলা করা যায়। তারা মস্তিষ্কের কাজ আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করছেন, নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কিশোরদের সাহায্য করার উপায় খুঁজছেন। ভবিষ্যতে হয়তো এমন গাড়ি আসবে যা চালকের মনে অন্যমনস্কতা বুঝতে পারবে এবং সতর্ক করে দেবে।

বন্ধুরা, বিজ্ঞান কেবল স্কুলবইয়ের পাতাতেই নয়, আমাদের চারপাশের জীবনেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিশোরদের গাড়ি চালানোর সময় সতর্ক থাকা একটি বড় উদাহরণ। আমরা যদি বিজ্ঞানকে বুঝি এবং ব্যবহার করি, তাহলে আমরা নিজেদের এবং অন্যদের জীবনকেও আরও নিরাপদ করতে পারি। এসো, আমরা সবাই মিলে এই সুন্দর পৃথিবীটাকে আরও সুন্দর ও নিরাপদ করে তুলি!


Getting to the root of teen distracted driving


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-29 18:50 এ, Harvard University ‘Getting to the root of teen distracted driving’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন