কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সুপারহিরোদের দুর্বলতা: একটি নতুন আবিষ্কার!,Fermi National Accelerator Laboratory


কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সুপারহিরোদের দুর্বলতা: একটি নতুন আবিষ্কার!

আজ, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ফার্মি ন্যাশনাল অ্যাক্সিলারেটর ল্যাবরেটরি একটি দারুণ খবর দিয়েছে যা কোয়ান্টাম কম্পিউটার নামক ভবিষ্যতের সুপার কম্পিউটারদের আরও শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করবে। তারা আবিষ্কার করেছে যে ‘ট্রান্সমন’ নামক এক ধরণের বিশেষ কোয়ান্টাম চিপে কিছু “ক্ষয়” বা “লস” থাকে, যা তাদের কার্যক্ষমতাকে সীমিত করে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটার কী?

সাধারণ কম্পিউটারগুলো 0 অথবা 1 ব্যবহার করে কাজ করে। কিন্তু কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলো ‘কিউবিট’ ব্যবহার করে, যা একই সাথে 0 এবং 1 হতে পারে! কল্পনা করুন, আপনার একটি লাইট বাল্ব আছে যা একই সাথে অন এবং অফ – এটা কি অদ্ভুত নয়? এই কিউবিটগুলোই কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে এত শক্তিশালী করে তোলে। এগুলো ব্যবহার করে আমরা এমন সব সমস্যার সমাধান করতে পারি যা আজকের সুপার কম্পিউটারগুলোর পক্ষেও অসম্ভব। যেমন, নতুন ঔষধ তৈরি করা, নতুন ধরণের পদার্থ আবিষ্কার করা, বা অত্যন্ত জটিল আর্থিক মডেল তৈরি করা।

ট্রান্সমন: কোয়ান্টাম কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ

ট্রান্সমন হলো এক ধরণের সুপারকন্ডাক্টিং কিউবিট। এরা খুব ঠান্ডা তাপমাত্রায় কাজ করে, প্রায় মহাকাশের তাপমাত্রার সমান! এই ট্রান্সমনগুলোই কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বা মূল অংশ।

কি সেই “ক্ষয়” বা “লস”?

যখন আমরা ট্রান্সমনদের সাথে কথা বলতে চাই বা তাদের কাজ করাতে চাই, তখন আমরা মাইক্রোওয়েভ নামক এক ধরণের রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করি। এই মাইক্রোওয়েভগুলো ট্রান্সমনদের উত্তেজিত করে বা তাদের “অন” এবং “অফ” অবস্থা পরিবর্তন করতে সাহায্য করে। কিন্তু ফার্মি ল্যাবের বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, এই মাইক্রোওয়েভগুলো যখন ট্রান্সমন চিপের মধ্যে দিয়ে যায়, তখন কিছু শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। অনেকটা যেমন আপনার খেলনা গাড়ির ব্যাটারি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যায়।

এই শক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণেই ট্রান্সমনগুলো বেশিক্ষণ তাদের বিশেষ কোয়ান্টাম অবস্থা ধরে রাখতে পারে না। এর ফলে, কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কাজগুলোও সীমিত হয়ে যায়। এই “বেশি সময় ধরে কোয়ান্টাম অবস্থা ধরে রাখা”-কেই বলা হয় ‘কোয়ান্টাম কোহেরেন্স টাইম’।

কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?

ভাবুন তো, একজন সুপারহিরো যদি কিছুক্ষণ পরেই তার সুপার পাওয়ার হারিয়ে ফেলে, তাহলে সে কি খুব বেশি বিপদ আটকাতে পারবে? তেমনি, ট্রান্সমন যদি বেশিক্ষণ তার কোয়ান্টাম অবস্থা ধরে না রাখতে পারে, তাহলে কোয়ান্টাম কম্পিউটারও জটিল গণনাগুলো ঠিকঠাক করতে পারবে না।

ফার্মি ল্যাবের এই আবিষ্কারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আমাদেরকে বলছে যে, কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির সময় এই “মাইক্রোওয়েভ লস” বা ক্ষয়গুলোর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা করছেন কিভাবে এই ক্ষয়গুলো কমানো যায়। যদি তারা এটি করতে পারে, তাহলে কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলো আরও দ্রুত এবং আরও শক্তিশালী হবে।

শিশুদের জন্য একটি বার্তা:

বিজ্ঞানে অনেক মজার জিনিস লুকিয়ে আছে! এই কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মতো বিষয়গুলো হয়তো এখন আপনাদের কাছে একটু জটিল মনে হতে পারে, কিন্তু যখন আপনারা বড় হবেন, তখন হয়তো এই কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলোই আমাদের নতুন পৃথিবী গড়তে সাহায্য করবে। তাই, সবকিছুতেই প্রশ্ন করুন, জানতে চান এবং বিজ্ঞানকে ভালোবাসুন! কে জানে, হয়তো আপনারাই একদিন এই কোয়ান্টাম কম্পিউটারের আরও নতুন কিছু আবিষ্কার করে ফেলবেন!


Microwave losses in transmon designs limit quantum coherence times, study finds


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-29 14:37 এ, Fermi National Accelerator Laboratory ‘Microwave losses in transmon designs limit quantum coherence times, study finds’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন