সমুদ্রের নিচে কী হচ্ছে? ফাইবার অপটিক তারের জাদু!,University of Washington


সমুদ্রের নিচে কী হচ্ছে? ফাইবার অপটিক তারের জাদু!

তারিখ: ২৪ জুলাই, ২০২৫

খবর: ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন

ধরুন, আপনার বাড়ি থেকে অনেক দূরে, গভীর সমুদ্রের নিচে, কোথাও একটা বড় ঢেউ হচ্ছে, বা একটু ঝাঁকুনি লাগছে। আমরা সাধারণত এটা জানতে পারি না, কারণ আমরা তো অত গভীরে যেতে পারি না! কিন্তু বিজ্ঞানীরা খুব বুদ্ধিমান। তারা এমন কিছু খুঁজে বের করেছেন যা সমুদ্রের নিচের অনেক গোপন কথা আমাদের বলে দিতে পারে। আর এই গোপন কথাগুলো জানার জন্য তারা ব্যবহার করছেন আমাদের ইন্টারনেট আর ফোনের জন্য যে তার ব্যবহার হয়, সেই রকমই এক ধরনের তার— ফাইবার অপটিক তার!

ফাইবার অপটিক তার কী?

আপনি হয়তো জানেন, আমরা যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তখন তথ্যগুলো তারের মধ্যে দিয়ে আলোর দ্রুত গতিতে ছোটাছুটি করে। ফাইবার অপটিক তার অনেকটা কাঁচের তৈরি সরু সুতোর মতো। এর মধ্যে দিয়ে আলো খুব সহজে যেতে পারে। এই তারগুলো অনেক লম্বা হয় এবং সমুদ্রের নিচ দিয়ে আমাদের শহরগুলোকে একে অপরের সাথে জুড়ে রাখে।

সমুদ্রের নিচে কী নিয়ে গবেষণা হচ্ছে?

সমুদ্রের নিচে, পৃথিবীর পৃষ্ঠের অনেক নিচে, অনেক বড় বড় ফাটল আছে। এগুলোকে বলে ফল্ট (fault)। যেমন আপনার খেলনা ভাঙলে যেমন ফাটল ধরে, পৃথিবীর পৃষ্ঠেও ঠিক তেমন ফাটল আছে, কিন্তু সেগুলো অনেক বড়! এই ফাটলগুলো যখন নড়ে ওঠে, তখন আমরা ভূমিকম্প অনুভব করি।

অনেক সময় এই ফাটলগুলো সমুদ্রের নিচে থাকে, তাই সেগুলো খালি চোখে দেখা যায় না বা তাদের সম্পর্কে জানা খুব কঠিন। কিন্তু বিজ্ঞানীরা চান জানতে, এই ফাটলগুলো কেমন, এগুলো কখন নড়ে ওঠে, বা নড়ে উঠলে কী হয়।

ফাইবার অপটিক তার কীভাবে সাহায্য করে?

এইখানেই আসে ফাইবার অপটিক তারের জাদু! বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যখন সমুদ্রের নিচে কোনো ফাটল নড়ে ওঠে বা কোনো কম্পন হয়, তখন সেই কম্পন ফাইবার অপটিক তারের মধ্যে দিয়ে যাওয়া আলোর উপর একটু প্রভাব ফেলে। মনে করুন, আপনি একটি নরম দড়ি ধরে আছেন এবং আপনার বন্ধু দড়িটির অন্য প্রান্তে একটু ঝাঁকি দিল। আপনার হাতেও সেই ঝাঁকি অনুভব হবে। ঠিক তেমনই, সমুদ্রের নিচের কম্পনগুলো তারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় আলোর গতি বা ফাইবার অপটিক তারের ভেতরের ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে ধরা পড়ে।

বিজ্ঞানীরা এই ফাইবার অপটিক তারের সাথে কিছু বিশেষ যন্ত্র লাগিয়েছেন, যা এই আলোর ছোট ছোট পরিবর্তনগুলোকে ধরতে পারে। এই যন্ত্রগুলো খুব সংবেদনশীল, তারা এতটাই ছোট কম্পনও ধরতে পারে যা আমরা অনুভব করতে পারি না।

এই গবেষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

এই গবেষণা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি:

  • ভূমিকম্পের পূর্বাভাস: বিজ্ঞানীরা যদি বুঝতে পারেন কোন ফাটলগুলো কখন নড়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে, তাহলে তারা হয়তো ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিতে পারবেন। তাহলে আমরা আগে থেকে সতর্ক থাকতে পারব।
  • সমুদ্রের নিচের পরিবেশ বোঝা: শুধু ভূমিকম্পই নয়, সমুদ্রের নিচে আরো অনেক ঘটনা ঘটে। যেমন, জলের স্রোত, বা আগ্নেয়গিরির লাভা বের হওয়া— এই সবকিছুই অনেক সময় কম্পনের সৃষ্টি করে। ফাইবার অপটিক তার ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের নিচের পরিবেশ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন।
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা: সমুদ্রের নিচের ফাটলগুলো নড়ে উঠলে সুনামিও হতে পারে। এই গবেষণা আমাদের সুনামি সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা দেবে এবং আমরা কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে পারি, সেই পথও খুলে দেবে।

সহজ কথায়:

বিজ্ঞানীরা এখন সমুদ্রের নিচে থাকা ইন্টারনেট আর ফোনের তারগুলোকে ব্যবহার করে সমুদ্রের নিচের কম্পন শুনছেন! এই তারগুলো যেন এখন সমুদ্রের কান হয়ে গেছে, যা সমুদ্রের অনেক গোপন কথা বলে দিচ্ছে। এই নতুন প্রযুক্তি আমাদের পৃথিবীর অনেক রহস্য উন্মোচন করতে এবং আমাদের পৃথিবীকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।

ভাবুন তো, আমাদের চারপাশের সাধারণ জিনিসগুলোও বিজ্ঞানের সাহায্যে কত অসাধারণ কাজ করতে পারে! ফাইবার অপটিক তারের মতো জিনিসগুলো, যা আমরা রোজ ব্যবহার করি, সেগুলোই এখন বিজ্ঞানীদের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রহস্যগুলো জানার পথে সাহায্য করছে। বিজ্ঞান সত্যিই খুব মজার, তাই না?


Seismologists tapped into the fiber optic cable network to study offshore faults


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-24 22:12 এ, University of Washington ‘Seismologists tapped into the fiber optic cable network to study offshore faults’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন