
শিরায় রক্ত চলাচলের সমস্যা: কেন এটা হয় এবং কীভাবে এটি ঠিক করা যায়?
বিশ্ববিদ্যালয় অফ মিশিগানের বিশেষজ্ঞরা একটি বিশেষ রোগ সম্পর্কে কথা বলছেন, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের হওয়ার পরে আলোচিত হচ্ছে। এই রোগটির নাম হলো ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ (Chronic Venous Insufficiency)।
ভাবুন তো, আমাদের শরীরের ভেতর দিয়ে রক্ত কীভাবে চলাচল করে? আমাদের হৃৎপিণ্ড একটি পাম্পের মতো, যা রক্তকে শরীরের সব জায়গায় পৌঁছে দেয়। কিন্তু শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত কীভাবে আবার হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে? এর জন্য আমাদের শিরা (Veins) নামের বিশেষ পাইপলাইন আছে। এই শিরাগুলো রক্তকে হৃৎপিণ্ডের দিকে নিয়ে যায়।
কিন্তু মাঝে মাঝে এই শিরাগুলোর কাজ ঠিকঠাক হয় না।
ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি কী?
এটা এমন একটা অবস্থা যখন আমাদের শিরার মধ্যে থাকা ভাল্ভগুলো (Valves) ঠিকভাবে কাজ করে না। এই ভাল্ভগুলো অনেকটা একমুখী দরজার মতো। এরা রক্তকে শুধু এক দিকে, অর্থাৎ হৃৎপিণ্ডের দিকে যেতে দেয়। কিন্তু যখন ভাল্ভগুলো দুর্বল হয়ে যায় বা ভেঙে যায়, তখন রক্ত একদিকে যেতে না পেরে নিচের দিকে, যেমন পায়ে, জমা হতে শুরু করে।
এটা কেন হয়?
- অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা: যারা দিনের বেশিরভাগ সময় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকে, তাদের পায়ের শিরায় চাপ বেশি পড়ে।
- বয়স: আমরা যত বড় হই, আমাদের শরীরের অনেক কিছুর মতো শিরার ভাল্ভগুলোও দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
- স্থূলতা (Obesity): বেশি ওজন হলে শিরার উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
- গর্ভাবস্থা: গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে কিছু হরমোনের পরিবর্তন হয় এবং পেটে চাপ বাড়ে, যা শিরার সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- অন্যান্য কারণ: কখনো কখনো পরিবারের কারও এই রোগ থাকলে অন্যদেরও হতে পারে।
এর লক্ষণগুলো কী কী?
- পায়ে ব্যথা ও ভারি লাগা: বিশেষ করে দিনের শেষে পা ভারী লাগে এবং ব্যথা করে।
- ফোলা: গোড়ালি এবং পায়ের পাতা ফুলে যেতে পারে।
- শিরা ফুলে ওঠা ও দেখা যাওয়া: চামড়ার নিচে নীল বা বেগুনি রঙের মোটা এবং আঁকাবাঁকা শিরা দেখা যেতে পারে, যা ‘ভেরিকোজ ভেইন’ (Varicose Vein) নামে পরিচিত।
- চামড়ার রং পরিবর্তন: পায়ের নিচের দিকের চামড়া গাঢ় হতে পারে বা লালচে-বাদামী রং ধারণ করতে পারে।
- ক্ষত বা ঘা: কখনো কখনো পায়ে সহজে সারতে চায় না এমন ঘা বা আলসার (Ulcer) হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে কী ভাবছেন?
বিশ্ববিদ্যালয় অফ মিশিগানের বিজ্ঞানীরা এই রোগটি নিয়ে গবেষণা করছেন। তারা দেখতে চাইছেন কেন এমন হয় এবং কীভাবে এটিকে আরও ভালোভাবে চিকিৎসা করা যায়। তারা এই রোগের কারণ, লক্ষণ এবং এর চিকিৎসার নতুন উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
আপনারা যা করতে পারেন:
- নিয়মিত ব্যায়াম: হাঁটাচলা করলে পায়ের পেশী সক্রিয় থাকে এবং রক্ত চলাচল ভালো হয়।
- বেশি ওজন থাকলে কমানো: স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
- বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকলে বিরতি: মাঝে মাঝে পায়চারি করুন বা পা একটু উপরে তুলে রাখুন।
- কম্প্রেসন স্টকিংস (Compression Stockings): এই বিশেষ মোজাগুলো পরলে শিরার উপর চাপ কমে এবং রক্ত চলাচল সহজ হয়।
বিজ্ঞান কেন এত জরুরি?
বিজ্ঞানীদের এই গবেষণাগুলো আমাদের শরীরকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে। যখন আমরা রোগ সম্পর্কে জানতে পারি, তখন আমরা নিজেদের আরও ভালোভাবে যত্ন নিতে পারি এবং সুস্থ থাকতে পারি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজন পরিচিত মানুষের এই রোগ হওয়ার ফলে অনেকেই এখন এর সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হচ্ছেন। এটি ভালো খবর, কারণ যত বেশি মানুষ এর সম্পর্কে জানবে, তত বেশি মানুষ সচেতন হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা নিতে পারবে।
ভবিষ্যতে কী হতে পারে?
বিজ্ঞানীরা আরও উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার খোঁজ করছেন। হয়তো ভবিষ্যতে এমন কোনো উপায় বের হবে, যার মাধ্যমে এই রোগটি আর হবেই না, অথবা হলেও তা খুব সহজে ঠিক করা যাবে।
তাহলে বন্ধুরা, তোমরা কি বুঝতে পারছো যে আমাদের শরীরের ভেতরের প্রতিটি জিনিস কতটা গুরুত্বপূর্ণ? বিজ্ঞান আমাদের এই সবকিছু বুঝতে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। তাই বিজ্ঞানকে ভালোবাসো, নতুন কিছু জানার চেষ্টা করো!
U-M experts available to discuss chronic venous insufficiency after Trump diagnosis
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-18 18:26 এ, University of Michigan ‘U-M experts available to discuss chronic venous insufficiency after Trump diagnosis’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।