মহাকাশের জাদুকরী সালফার: XRISM স্যাটেলাইট যা দেখালো,University of Michigan


মহাকাশের জাদুকরী সালফার: XRISM স্যাটেলাইট যা দেখালো

বন্ধুরা, তোমরা কি জানো আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে (যা আমাদের সৌরজগৎ সহ সব গ্রহ, নক্ষত্র, ধূলিকণা, গ্যাস – সবকিছুকে ধারণ করে) কী কী আছে? আমরা চাঁদ, সূর্য, গ্রহদের দেখতে পাই, কিন্তু মহাকাশে আরও অনেক অজানা জিনিস আছে যা সাধারণ চোখে দেখা যায় না। আজ আমরা এমন এক বিশেষ মহাকাশযান নিয়ে কথা বলব, যার নাম XRISM (এক্সআরআইএসএম)। এটি আমাদের মহাকাশের এক বিশেষ উপাদান, সালফার-এর ছবি তুলেছে!

XRISM কী?

XRISM হলো একটি বিশেষ মহাকাশ টেলিস্কোপ। একে তোমরা মহাকাশের এক চোখ বলতে পারো। এর কাজ হলো সাধারণ আলোর বদলে এক্স-রে (X-ray) দেখা। এক্স-রে হলো এমন এক ধরনের আলো যা আমরা দেখতে পাই না, কিন্তু এটি অনেক শক্তিশালী। যেমন, ডাক্তাররা যখন আমাদের হাড় ভাঙলে ছবি তোলেন, তখন এক্স-রে ব্যবহার করেন। XRISM মহাকাশের অনেক দূরের এবং অনেক উত্তপ্ত জিনিস থেকে আসা এক্স-রে-কে ধরে আমাদের কাছে পাঠায়।

মহাকাশের সালফার কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

এবার আসি সালফারে। সালফার হলো একটি মৌলিক উপাদান, অনেকটা লোহা বা অক্সিজেনের মতো। তোমরা হয়তো ডিমের দুর্গন্ধের সাথে সালফারের নাম শুনে থাকবে, কারণ ডিম পচে গেলে সালফার তৈরি হয়। কিন্তু মহাকাশে সালফার আরও অনেক মজার কাজ করে!

  • মহাজাগতিক চুল্লির জ্বালানী: অনেক বড় বড় নক্ষত্র যখন তাদের জীবন শেষ করে, তখন তারা এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায়, যাকে বলে সুপারনোভা (Supernova)। এই সুপারনোভা বিস্ফোরণের সময় বিভিন্ন ধরণের উপাদান তৈরি হয়, যার মধ্যে সালফার অন্যতম। এই সালফার মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং নতুন নক্ষত্র ও গ্রহ তৈরি হতে সাহায্য করে।
  • গ্যালাক্সির ইতিহাস: XRISM স্যাটেলাইট আমাদের গ্যালাক্সির বিভিন্ন অংশের সালফার থেকে আসা এক্স-রে-এর ছবি তুলেছে। এই ছবিগুলো আমাদের গ্যালাক্সির কোথায় কোন সুপারনোভা বিস্ফোরণ হয়েছে, বা কোথায় কোথায় নতুন নক্ষত্র তৈরি হচ্ছে – এই সব তথ্য জানতে সাহায্য করে। অনেকটা গোয়েন্দার মতো, সালফারের ছবি দেখে বিজ্ঞানীরা মহাকাশের অনেক রহস্যের সমাধান করতে পারছেন।

XRISM কী দেখলো?

XRISM আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা এক বিশাল ব্ল্যাক হোল (Black Hole)-এর আশেপাশের সালফারের ছবি তুলেছে। ব্ল্যাক হোল হলো মহাকাশের এমন এক জায়গা যার আকর্ষণ এত বেশি যে আলোও সেখান থেকে পালাতে পারে না! এই ব্ল্যাক হোলটির চারপাশে থাকা গরম গ্যাস ও ধূলিকণা থেকে সালফার বিশেষ ধরণের এক্স-রে বিকিরণ করে। XRISM সেই এক্স-রে-এর ছবি তুলে আমাদের দেখিয়েছে যে, ব্ল্যাক হোলটি কীভাবে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা জিনিসগুলোকে প্রভাবিত করছে।

এই গবেষণা কেন জরুরি?

  • মহাবিশ্বকে বোঝা: XRISM-এর এই নতুন তথ্যগুলো আমাদের গ্যালাক্সি কীভাবে কাজ করে, নক্ষত্ররা কীভাবে জন্মায় ও মারা যায়, এবং মহাবিশ্বের অন্যান্য জিনিসগুলো কীভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত – এইসব বিষয়ে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
  • নতুন আবিষ্কারের পথ: এই গবেষণা নতুন নতুন মহাকাশযান এবং প্রযুক্তির জন্ম দিতে পারে, যা ভবিষ্যতে মহাকাশের আরও অনেক অজানা তথ্য আমাদের সামনে নিয়ে আসবে।

ছোট বিজ্ঞানী বন্ধুরা,

মহাকাশ হলো এক বিশাল রহস্যের ভাণ্ডার। XRISM-এর মতো মহাকাশযানগুলো আমাদের সেই রহস্যের গভীরে যেতে সাহায্য করে। সালফার, সুপারনোভা, ব্ল্যাক হোল – এই সব নামগুলো হয়তো প্রথমে একটু কঠিন মনে হতে পারে, কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই তোমরাও এই সব মজার বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারবে। তোমরা যারা ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হতে চাও, তাদের জন্য মহাকাশ গবেষণার এই দরজা সবসময় খোলা! তোমরাও একদিন মহাকাশের এমন সব নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে পারো যা আজও আমাদের অজানা। তাই বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হও, প্রশ্ন করো এবং নতুন কিছু শেখার চেষ্টা চালিয়ে যাও!


XRISM satellite takes X-rays of Milky Way’s sulfur


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-24 19:15 এ, University of Michigan ‘XRISM satellite takes X-rays of Milky Way’s sulfur’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন