আমাদের মস্তিষ্ক কিভাবে ভালোবাসতে শেখে: একটি বিশেষ আবিষ্কার!,University of Southern California


আমাদের মস্তিষ্ক কিভাবে ভালোবাসতে শেখে: একটি বিশেষ আবিষ্কার!

ইউএসসি (University of Southern California) থেকে একটি দারুণ খবর এসেছে! তারা আবিষ্কার করেছে যে আমাদের মস্তিষ্ক কিভাবে অন্যের প্রতি যত্নশীল হতে শেখে। এই আবিষ্কারটি আমাদের আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে কেন আমরা একে অপরের প্রতি এত দয়ালু হই এবং কিভাবে আমরা এই গুণটি আরও বাড়াতে পারি।

ভালোবাসা কি কেবল মনের ব্যাপার? নাকি মস্তিষ্কেরও কিছু আছে?

ছোটবেলা থেকেই আমরা “ভালোবাসা” এবং “যত্ন” শব্দগুলোর সাথে পরিচিত। যখন মা-বাবা আমাদের খাওয়ায়, যখন শিক্ষক আমাদের পড়ায়, বা যখন বন্ধুরা আমাদের সাথে খেলে, তখন আমরা এক ধরনের উষ্ণ অনুভূতি পাই। কিন্তু এই অনুভূতিগুলো আসলে আমাদের মস্তিষ্কে কিভাবে তৈরি হয়?

ইউএসসির বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করে দেখেছেন যে, আমাদের মস্তিষ্কের কিছু বিশেষ অংশ আছে যা এই “যত্ন” করার ক্ষমতা তৈরি করে। তারা দেখেছেন যে, যখন আমরা অন্য কারো প্রতি মনোযোগ দেই, তাদের কথা শুনি, বা তাদের সাহায্য করি, তখন আমাদের মস্তিষ্কের নিউরনগুলো (মস্তিষ্কের ছোট ছোট কোষ) একসাথে কাজ করে। এই নিউরনগুলো একে অপরের সাথে “যোগাযোগ” করে এবং এক ধরনের সংকেত পাঠায়, যা আমাদের ভালো লাগার অনুভূতি দেয়।

কীভাবে এই “যত্ন” শেখা হয়?

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, ছোটবেলা থেকেই আমরা অন্যের কাছ থেকে শিখি কিভাবে যত্ন করতে হয়। যেমন:

  • মায়ার স্পর্শ: যখন মা বা বাবা আমাদের আদর করে, তখন আমাদের মস্তিষ্কে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যা আমাদের নিরাপদ এবং সুখী অনুভব করায়। এটি আমাদের মস্তিষ্কের “যত্ন” করার অংশটিকে শক্তিশালী করে।
  • অন্যের কষ্ট বোঝা: যখন আমরা দেখি কেউ কাঁদছে বা কষ্ট পাচ্ছে, তখন আমাদেরও খারাপ লাগে। আমাদের মস্তিষ্ক তাদের কষ্ট অনুভব করতে পারে এবং তখন আমরা তাদের সাহায্য করতে চাই। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, মস্তিষ্কের কিছু নির্দিষ্ট অংশ এই “সহানুভূতি” তৈরি করতে সাহায্য করে।
  • শেয়ার করা: যখন আমরা আমাদের খেলনা বা খাবার বন্ধুর সাথে ভাগ করে নিই, তখন আমাদের আনন্দ হয়। এটি মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা আমাদের একে অপরের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে।

এই আবিষ্কার কেন গুরুত্বপূর্ণ?

এই আবিষ্কারটি আমাদের অনেক কিছু শেখাতে পারে:

  • ভালো মানুষ হওয়া: আমরা যদি বুঝতে পারি কিভাবে আমাদের মস্তিষ্ক যত্ন করতে শেখে, তাহলে আমরা নিজেরাই আরও যত্নশীল হতে শিখতে পারি।
  • শিশুদের বড় করা: মা-বাবা এবং শিক্ষকরা এই তথ্য ব্যবহার করে শিশুদের আরও ভালো পরিবেশে বড় করতে পারেন, যেখানে তারা বেশি যত্নশীল এবং সহানুভূতিশীল হবে।
  • সমাজকে উন্নত করা: যখন সমাজের সবাই একে অপরের প্রতি যত্নশীল হবে, তখন আমাদের সমাজ আরও সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ হবে।

কিভাবে আমরা আমাদের “যত্ন” করার ক্ষমতা বাড়াতে পারি?

  • অন্যের প্রতি মনোযোগ দাও: যখন তোমার বন্ধু বা পরিবারের কেউ কিছু বলছে, মন দিয়ে শোনো।
  • সাহায্য করো: যখন কেউ বিপদে পড়ে বা কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তখন এগিয়ে এসো।
  • দয়ালু হও: ছোট ছোট দয়ার কাজও অনেক বড় পার্থক্য তৈরি করতে পারে।
  • নতুন কিছু শেখো: নতুন জিনিস শেখা আমাদের মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে এবং নতুন সংযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে।

এই আবিষ্কারটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ভালোবাসা এবং যত্ন কেবল একটি অনুভূতি নয়, এটি আমাদের মস্তিষ্কের একটি শক্তিশালী ক্ষমতা যা আমরা চর্চার মাধ্যমে আরও বাড়াতে পারি। চলো, আমরা সবাই মিলে আমাদের মস্তিষ্ককে আরও ভালোবাসতে এবং যত্ন করতে শেখাই, যাতে আমাদের পৃথিবী আরও সুন্দর হয়ে ওঠে!


How the brain learns to care


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-29 15:10 এ, University of Southern California ‘How the brain learns to care’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন