
শরীরের ভেতরেই তৈরি হবে ক্যান্সারের যোদ্ধা! এক নতুন আশার আলো
ভাবো তো, তোমার শরীরের ভেতরেই এমন কিছু সৈন্য তৈরি হচ্ছে যারা ক্যান্সার নামের দুষ্টু দৈত্যের সাথে লড়াই করতে পারে! শুনতে ম্যাজিকের মতো লাগছে, তাই না? কিন্তু এটাই সত্যি হতে চলেছে! সম্প্রতি, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক অসাধারণ আবিষ্কার করেছেন যা ক্যান্সার চিকিৎসার জগতে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। তারা এমন এক পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছেন যেখানে আমাদের শরীরের ভেতরের কোষগুলোকেই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রশিক্ষিত করা যায়!
কী এই “CAR-T সেল” ম্যাজিক?
তোমরা যেমন খেলনা রোবট বা সুপারহিরোদের কথা শোনো, তেমনি আমাদের শরীরেরও কিছু বিশেষ “সৈন্য” আছে যাদের নাম “টি-সেল” (T-cell)। এরা আমাদের শরীরের সুরক্ষাব্যবস্থা, মানে শরীরের রক্ষী। এদের কাজ হলো শরীরের ভেতরে ঢুকে পড়া কোনো ভুল জিনিস, যেমন জীবাণু বা ভাইরাস, এদের খুঁজে বের করে ধ্বংস করা।
কিন্তু ক্যান্সার হলো এক ধূর্ত শত্রু। এটা শরীরেরই কিছু কোষকে ভুল পথে চালিত করে। তখন আমাদের স্বাভাবিক টি-সেলগুলো তাদের চিনতে পারে না এবং তাদের সাথে লড়াই করতে পারে না।
এইখানেই আসে “CAR-T সেল” নামক এক বিশেষ ধরনের টি-সেল। বিজ্ঞানীরা এই টি-সেলগুলোর সাথে বিশেষ “রিসিভার” (receiver) বা গ্রাহক লাগিয়ে দেন। এই রিসিভারগুলো অনেকটা অ্যান্টেনার মতো কাজ করে। এদের সাহায্যে টি-সেলগুলো ক্যান্সার কোষগুলোকে ঠিকঠাকভাবে চিনতে পারে এবং তাদের আক্রমণ করে ধ্বংস করতে পারে।
শরীরের ভেতরেই তৈরি করার সুবিধা কী?
আগে যখন CAR-T সেল তৈরি করা হতো, তখন কী করতে হতো জানো? ১. প্রথমে রোগীর শরীর থেকে টি-সেলগুলো বের করে আনা হতো। ২. তারপর ল্যাবে (laboratory) গিয়ে সেই টি-সেলগুলোর সাথে বিশেষ রিসিভারগুলো জুড়ে দেওয়া হতো, অর্থাৎ তাদের “ট্রেনিং” (training) দেওয়া হতো। ৩. সবশেষে, সেই বিশেষ “প্রশিক্ষিত” টি-সেলগুলোকে আবার রোগীর শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হতো।
এটা একটু সময়সাপেক্ষ এবং জটিল প্রক্রিয়া। কিন্তু স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা একটি নতুন এবং সহজ উপায় বের করেছেন। তারা এমন এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যেখানে রোগীর শরীরের ভেতরেই, রক্তনালীর মধ্যেই এই “প্রশিক্ষণ” প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা সম্ভব।
এর মানে হলো, ল্যাবে নিয়ে গিয়ে জটিল কাজগুলো করার দরকার নেই! শরীরের ভেতরের টি-সেলগুলোকেই সরাসরি “আপগ্রেড” (upgrade) করে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী যোদ্ধা বানানো যাবে।
ইঁদুরদের উপর পরীক্ষা: এক দারুণ সাফল্য!
এই নতুন পদ্ধতিটি তারা প্রথমে ইঁদুরদের উপর পরীক্ষা করেছেন। আর ফলাফল ছিল অসাধারণ! যে ইঁদুরদের শরীরে এই বিশেষ পদ্ধতিতে CAR-T সেল তৈরি করা হয়েছিল, তারা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে খুব ভালোভাবে লড়াই করতে পেরেছে এবং তাদের ক্যান্সার কমে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা, এই পদ্ধতিতে কোনো মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি, যা খুবই আশাব্যঞ্জক।
শিশুদের জন্য এর মানে কী?
এই আবিষ্কারটি শিশুদের জন্য খুবই খুশির খবর। কারণ, অনেক শিশুও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। আগে CAR-T সেল থেরাপি অনেক ব্যয়বহুল এবং জটিল ছিল। কিন্তু যদি শরীরের ভেতরেই এই থেরাপি সহজলভ্য হয়ে যায়, তাহলে অনেক বেশি শিশু এই উন্নত চিকিৎসা পাবে।
ভাবো তো, কোনো একটি শিশু যখন ক্যান্সারের সাথে লড়াই করছে, তখন যদি তার শরীরের ভেতরের কোষগুলোকেই শক্তিশালী করে তোলা যায়, তবে সেটা কতটা বড় একটি ব্যাপার! এটা চিকিৎসার পদ্ধতিকে অনেক সহজ, দ্রুত এবং সাশ্রয়ী করে তুলবে।
বিজ্ঞানের জাদু এবং শিশুদের জন্য অনুপ্রেরণা
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আবিষ্কারটি আসলে বিজ্ঞানের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কিভাবে বিজ্ঞানীরা দিনরাত পরিশ্রম করে, নতুন নতুন ধারণা নিয়ে গবেষণা করে মানুষের জীবনের জন্য কাজ করছেন, তারই প্রমাণ এটি।
তোমরাও যদি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করো, এইরকম নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে পারো! হয়তো ভবিষ্যতে তোমরাও এমন কোনো আবিষ্কার করবে যা ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও নতুন পথ দেখাবে।
এই আবিষ্কারটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, বিজ্ঞান শুধু বইয়ের পাতায় বা ল্যাবরেটরিতে সীমাবদ্ধ নয়। বিজ্ঞান আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে পারে এবং আমাদের পৃথিবীকে আরও সুন্দর ও বাসযোগ্য করে তুলতে পারে। তাই, এসো আমরা সবাই বিজ্ঞানকে ভালোবাসি এবং নতুন কিছু জানার আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যাই! কে জানে, হয়তো তোমার হাতেই লেখা হবে ভবিষ্যতের কোনো যুগান্তকারী আবিষ্কারের কাহিনি!
Cancer-fighting CAR-T cells generated in the body prove safe and effective in mice
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-16 00:00 এ, Stanford University ‘Cancer-fighting CAR-T cells generated in the body prove safe and effective in mice’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।