স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা তৈরি করছেন সৎ ও বিশ্বস্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!,Stanford University


স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা তৈরি করছেন সৎ ও বিশ্বস্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

বিজ্ঞান কি শুধু বড়দের জন্য? একদমই না! ছোট সোনামণিরাও জেনে নাও, কীভাবে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এমন সব “বুদ্ধিমান” যন্ত্র তৈরি করছেন, যাদের ওপর আমরা ভরসা করতে পারি!

ভাবো তো, তোমার খেলার পুতুল যদি তোমার কথা শুনে কাজ করে, বা তোমার আঁকা ছবি দেখে যদি কম্পিউটার বলে দেয় সেটা কীসের ছবি, তাহলে কেমন হবে? এই যে যন্ত্রগুলো আমাদের কথা বোঝে, আমাদের সাহায্য করে, এগুলোকেই বলে “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” বা সহজ ভাষায় “AI”।

কিন্তু এই AI-দের যদি ভুল শেখানো হয়, তাহলে কিন্তু মুশকিল! ধরো, তোমার AI বন্ধু শুধু ছেলেদের ছবি চেনে, মেয়েদের চেনে না। তাহলে তো এটা ভালো AI হলো না, তাই না? অথবা, AI যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয় যা আমাদের বা অন্য কারো জন্য খারাপ, তাহলে আমরা কি তাকে বিশ্বাস করতে পারব?

ঠিক এই ব্যাপারগুলো নিয়েই কাজ করছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকSmart গবেষক। তারা চান, আমরা যেন এমন AI তৈরি করতে পারি, যারা হবে:

  • ন্যায্য (Fair): মানে, তারা যেন সবার সাথে সমান ব্যবহার করে, কাউকে ছোট না করে। ছেলে-মেয়ে, সব রঙের মানুষ – সবার প্রতি তাদের আচরণ যেন একই রকম হয়।
  • বিশ্বস্ত (Trustworthy): তাদের ওপর যেন আমরা চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারি। তারা যেন সবসময় সঠিক কাজ করে এবং আমাদের কোনো ক্ষতি না করে।
  • দায়িত্বশীল (Responsible): মানে, তারা যেন তাদের কাজের পরিণতির কথা ভাবে। কী করলে ভালো হবে, কী করলে খারাপ হবে, সেটা যেন তারা বুঝতে পারে এবং ভালোটাই বেছে নেয়।

কীভাবে তারা এটা করছেন?

গবেষকরা অনেক মজার মজার উপায়ে AI-দের এই গুণগুলো শেখাচ্ছেন। ভাবো তো, আমরা ছোটবেলায় যেমন বড়দের কাছ থেকে ভালো-মন্দ শিখি, AI-দেরও ঠিক তেমনভাবে শেখানো হচ্ছে।

  • অনেক রকমের তথ্য দিয়ে শেখানো: AI-দের শেখানোর জন্য যে তথ্য ব্যবহার করা হয়, সেখানে যেন কোনো ভুল বা পক্ষপাত না থাকে। যেমন, যদি AI-কে ছবি চেনানো হয়, তাহলে যেন বিভিন্ন ধরণের মানুষের, বিভিন্ন ধরণের পরিবেশের ছবি দেওয়া হয়, যাতে সে পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে যায়।
  • AI-এর চিন্তাভাবনা বোঝা: বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন AI-রা কীভাবে চিন্তা করছে, কীভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেটা বুঝতে। যদি তারা বুঝতে পারে যে AI ভুল পথে যাচ্ছে, তাহলে তারা সাথে সাথে সেটা ঠিক করে দিতে পারেন।
  • নিয়ম তৈরি করা: তারা কিছু নিয়ম তৈরি করছেন, যাতে AI-রা সবসময় সেই নিয়ম মেনে চলে। ঠিক যেমন আমরা রাস্তায় চলার সময় ট্র্যাফিক নিয়ম মানি, AI-দেরও কিছু নিয়ম মানতে হবে।

কেন এটা এত জরুরি?

ভাবো তো, যদি AI আমাদের পড়াশোনা করতে সাহায্য করে, আমাদের রোগ সারাতে সাহায্য করে, বা আমাদের জীবনকে আরও সহজ করে দেয় – তাহলে তো দারুণ হবে! কিন্তু যদি তারা ভুল করে, তাহলে আমাদের জীবন আরও কঠিনও হয়ে যেতে পারে। তাই, এই বিজ্ঞানীরা চান, আমরা যেন AI-দের এমনভাবে তৈরি করি, যা আমাদের সবার জন্য উপকারী হয়।

ছোট বন্ধুরা, তোমরাও হতে পারো ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানী!

আজ তোমরা যে AI-এর কথা শুনছো, কাল তোমরাও এদের আরও উন্নত করার কাজে যুক্ত হতে পারো। বিজ্ঞান কিন্তু খুবই মজার! নতুন কিছু শেখা, নতুন জিনিস তৈরি করা – এগুলোর মধ্যেই লুকিয়ে আছে আনন্দ। তোমরাও বই পড়ো, প্রশ্ন করো, আর বড়দের কাছ থেকে শেখো। কে জানে, হয়তো একদিন তুমিই এমন কোনো AI তৈরি করবে, যা পৃথিবী বদলে দেবে!

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কাজ আমাদের শেখায় যে, প্রযুক্তির সাথে সাথে আমাদের নীতি ও নৈতিকতার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আশা করি, এই বিষয়টি তোমরা বুঝতে পেরেছো এবং বিজ্ঞান নিয়ে তোমাদের আগ্রহ আরও বেড়ে গেছে!


How Stanford researchers are designing fair and trustworthy AI systems


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-29 00:00 এ, Stanford University ‘How Stanford researchers are designing fair and trustworthy AI systems’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন