প্রকৃতির সান্নিধ্যে মন ভালো থাকে: কেন অল্প সময়েও প্রকৃতির কাছে যাওয়া জরুরি,Stanford University


প্রকৃতির সান্নিধ্যে মন ভালো থাকে: কেন অল্প সময়েও প্রকৃতির কাছে যাওয়া জরুরি

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন গবেষণা বলছে, শহুরে জীবনে অভ্যস্ত মানুষেরাও মাত্র ১৫ মিনিট প্রকৃতিতে সময় কাটালে তাদের মন অনেক ভালো হয়ে যায়। আসুন, সহজ ভাষায় জেনে নিই এই মজার গবেষণার কথা এবং কীভাবে আমরা সবাই বিজ্ঞানের এই নতুন আবিষ্কারের সুফল পেতে পারি!

গবেষণাটি কে করেছে? স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণাটি করেছেন। তারা দেখতে চেয়েছেন, প্রকৃতির কাছাকাছি থাকাটা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী।

গবেষণায় কী দেখা গেছে? বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, যারা শহরে থাকেন এবং সবুজের ছোঁয়া খুব বেশি পান না, তারাও যদি মাত্র ১৫ মিনিট কোনো পার্কে বা সবুজের কাছাকাছি থাকেন, তাহলে তাদের মন অনেক শান্ত ও খুশি হয়ে যায়। তাদের মনে জমে থাকা দুশ্চিন্তা ও চাপ কমে যায়।

কেন এমন হয়? প্রকৃতিতে থাকলে আমাদের মস্তিষ্কে কিছু ভালো পরিবর্তন হয়। যেমন:

  • মানসিক চাপ কমে: আমরা যখন সবুজ গাছপালা, ফুল বা শান্ত পরিবেশ দেখি, তখন আমাদের শরীরের ভেতরের ‘স্ট্রেস হরমোন’ কমে যায়। ফলে মনটা হালকা লাগে।
  • মনোযোগ বাড়ে: অনেকক্ষণ ধরে কাজ করলে বা পড়াশোনা করলে আমাদের মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। প্রকৃতির কাছে কিছুক্ষণ থাকলে মন আবার তাজা হয়ে ওঠে এবং মনোযোগ বাড়ানোর ক্ষমতা বাড়ে।
  • মেজাজ ভালো থাকে: প্রকৃতিতে হাঁটাচলা বা বসে থাকলে আমাদের মন ভালো হয়, আমরা খুশি অনুভব করি।
  • শরীর সুস্থ থাকে: প্রকৃতির আলো-বাতাস আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী।

শহরের মানুষ কেন বেশি উপকৃত হয়? শহরের জীবনে আমরা প্রায়শই কংক্রিটের জঙ্গলের মধ্যে থাকি। অনেক কোলাহল, দৌড়াদৌড়ি আর মানসিক চাপের মধ্যে আমাদের জীবন কাটে। তাই, শহরের মানুষেরা যখন একটু সময়ের জন্য হলেও প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে পারে, তখন তাদের এই চারপাশের চাপ থেকে মুক্তি মেলে। এটা তাদের জন্য এক দারুণ স্বস্তির বিষয়।

শিশুদের জন্য এটা কতটা জরুরি? ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয় হওয়া শিশুদের জন্য খুবই ভালো।

  • কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতা বাড়ে: পার্কে বা বাগানে বিভিন্ন গাছপালা, পশুপাখি দেখে শিশুরা নতুন কিছু শেখে এবং তাদের কল্পনাশক্তি বাড়ে।
  • মনোযোগ ও শেখার ক্ষমতা বাড়ে: প্রকৃতির শান্ত পরিবেশে শিশুরা নতুন জিনিস শিখতে বেশি আগ্রহী হয়।
  • শারীরিক ও মানসিক বিকাশ: দৌড়াদৌড়ি, খেলাধুলা করার জন্য প্রকৃতির সবুজ জায়গা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।

শিক্ষার্থীরা কীভাবে এই গবেষণার সুফল পেতে পারে?

  • স্কুলের বিরতিতে: স্কুলের আশেপাশে যদি কোনো পার্ক বা সবুজের জায়গা থাকে, তবে সেখানে ১৫-২০ মিনিট হেঁটে আসলে বা বসে থাকলে পড়াশোনার চাপ কমবে এবং মন তাজা হবে।
  • ছুটির দিনে: ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে কোনো পার্কে বা প্রাকৃতিক জায়গায় বেড়াতে যাওয়া মনকে সতেজ করে।
  • বাড়ির আশেপাশে: বাড়ির আশেপাশে যদি ছোট বাগান থাকে, সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটালেও ভালো ফল পাওয়া যায়।

আমরা কী করতে পারি?

  • প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়ার অভ্যাস করুন: প্রতিদিন বা সপ্তাহে অন্তত কয়েকদিন ১৫-২০ মিনিট সময় বের করে কাছাকাছি কোনো পার্কে যান।
  • বাড়িতে গাছ লাগান: আপনার বাড়ির বারান্দায় বা জানালায় ছোট ছোট গাছ লাগাতে পারেন।
  • প্রকৃতি সম্পর্কে জানুন: বিভিন্ন গাছপালা, ফুল, পাখির নাম জানার চেষ্টা করুন। এটা বিজ্ঞান শেখার এক দারুণ উপায়!

বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে: এই গবেষণাটি আমাদের শেখায় যে, আমরা বিজ্ঞানের সাহায্যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট সমস্যাগুলোকেও সমাধান করতে পারি। প্রকৃতি শুধু সুন্দরই নয়, এটি আমাদের মন ও শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই, আসুন, আমরা সবাই বিজ্ঞান ও প্রকৃতির এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে জানার চেষ্টা করি এবং এর সুফল উপভোগ করি।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, শহরের কোলাহলের মাঝেও প্রকৃতির ছোট ছোট স্পর্শ আমাদের জীবনকে কতটা সুন্দর করে তুলতে পারে। তাই, আজই একটু সময় বের করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে যান এবং দেখুন আপনার মন কেমন আনন্দে ভরে ওঠে!


For city dwellers, even 15 minutes in nature can improve mental health


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-30 00:00 এ, Stanford University ‘For city dwellers, even 15 minutes in nature can improve mental health’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন