
আমাদের ভবিষ্যৎ ডাক্তারদের শেখানোর জন্য একজন বিশেষ মানুষের গল্প!
বন্ধুরা, তোমরা কি জানো, যখন আমরা বড় হই, তখন কেউ কেউ ডাক্তার হতে চায়? তারা আমাদের সুস্থ করে তোলে, যখন আমরা অসুস্থ হই। কিন্তু এই ডাক্তাররা কিভাবে এত কিছু শেখে? শুধু বই পড়ে কি সব শেখা যায়? না! তাদের কিছু জিনিস হাতে-কলমে শিখতে হয়। আর এখানেই আসে এক বিশেষ মানুষের নাম – এম্বালমার!
সম্প্রতি, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে (Stanford University) এই এম্বালমারদের নিয়ে একটি খুব সুন্দর গল্প প্রকাশিত হয়েছে। এসো, আমরা সেই গল্পটি সহজ ভাষায় জেনে নিই।
এম্বালমার কে?
সহজ ভাষায় বললে, এম্বালমার হলেন এমন একজন বিশেষ ব্যক্তি যিনি আমাদের পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া প্রিয়জনদের সুন্দরভাবে তৈরি করে দেন, যাতে তাদের শেষ বিদায়টা সুন্দর হয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই এম্বালমাররা ডাক্তারদের শেখাতেও সাহায্য করেন!
কিভাবে এম্বালমাররা ডাক্তারদের শেখান?
বন্ধুরা, তোমরা যখন স্কুলে মানুষ শরীর নিয়ে পড়ো, তখন জানতে পারো মানুষের শরীরটা কত জটিল! আমাদের শরীরের ভেতরে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস আছে, যেমন – হার্ট, ফুসফুস, মস্তিষ্ক। ডাক্তারদের এই সবকিছু খুব ভালো করে জানতে হয়।
কিন্তু শুধু বই দেখে কি আর সব জানা যায়? না! আমাদের শরীরটা কেমন দেখতে, কোথায় কি আছে, সেগুলো ভালো করে বোঝার জন্য কিছু মানুষের শরীরকে খুব যত্ন করে তৈরি করতে হয়। আর এই কাজটি করেন এম্বালমাররা।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে, যারা ভবিষ্যৎ ডাক্তার হতে চায়, তারা আসলে অনেক কিছু শেখে। তারা শুধু বই পড়ে না, তারা মানুষের শরীর খুব কাছ থেকে দেখে এবং বোঝে। আর এই শরীরগুলো একদম ঠিকঠাক রাখার জন্য এম্বালমাররা বিশেষ একটি তরল ব্যবহার করেন। এই তরলের সাহায্যে শরীরটা নষ্ট হয়ে যায় না এবং অনেক দিন পর্যন্ত ঠিক থাকে।
তাহলে এম্বালমাররা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
ভাবো তো, যদি শরীরগুলো নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে ডাক্তাররা কি করে সেগুলো ভালো করে দেখবে? কি করে বুঝবে হার্টটা কোথায় থাকে, বা হাত-পায়ের হাড়গুলো কিভাবে জোড়া লাগানো থাকে?
এই এম্বালমাররা সেই শরীরগুলোকে এমনভাবে তৈরি করেন যাতে ভবিষ্যৎ ডাক্তাররা সেগুলো খুব ভালোভাবে দেখতে পারে, স্পর্শ করতে পারে এবং শিখতে পারে। এটা অনেকটা জীবন্ত মডেলের মতো, যা ডাক্তারদের শেখার জন্য খুবই দরকারি।
এই কাজটা কি খুব সহজ?
না, এই কাজটা কিন্তু খুব সহজ নয়। এম্বালমারদের খুব ধৈর্য ধরে, খুব মনোযোগ দিয়ে এবং অনেক সম্মান দিয়ে কাজ করতে হয়। তারা জানেন যে তারা যে শরীরগুলো নিয়ে কাজ করছেন, সেগুলো একদিন অন্য কারো প্রিয়জন ছিল। তাই তারা খুব যত্ন করে, যাতে নতুন ডাক্তাররা সেই শরীরগুলো থেকে ভালোভাবে শিখতে পারে।
বিজ্ঞান শেখার আনন্দ!
এই গল্পটা আমাদের কী শেখায়? এটা শেখায় যে, আমাদের চারপাশে কত ধরনের কাজ আছে, যা আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তোলে। এম্বালমাররা হয়তো সরাসরি আমাদের চিকিৎসা করেন না, কিন্তু তারা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করেন, যা ছাড়া ডাক্তাররা ভালো করে শিখতে পারবে না।
বিজ্ঞান মানে শুধু বইয়ের পাতা উল্টানো নয়। বিজ্ঞান মানে আমাদের চারপাশের জগতকে বোঝা, কেন এমন হয় তা জানার চেষ্টা করা। আর যখন আমরা এই এম্বালমারদের মতো মানুষদের কথা শুনি, যারা বিজ্ঞানের মাধ্যমে অন্য মানুষকে সাহায্য করছে, তখন আমাদেরও বিজ্ঞান শিখতে আরও ভালো লাগে, তাই না?
তোমরাও যখন বড় হবে, তখন অনেক রকম বিজ্ঞান বিষয়ক কাজ করার সুযোগ পাবে। যেমন – কেউ ডাক্তার হবে, কেউ ইঞ্জিনিয়ার হবে, কেউ বা আবার এই এম্বালমারদের মতো অন্য কোনো বিশেষ কাজ করবে। সব কাজই খুব গুরুত্বপূর্ণ!
এই গল্পটা থেকে আমরা শিখলাম যে, আমাদের প্রিয়জনদের দেওয়া উপহার (শরীর) কিভাবে অন্যদের শেখার জন্য কাজে লাগে। এম্বালমাররা সেই উপহারগুলোকে যত্নে রেখে, নতুন ডাক্তারদের শেখার সুযোগ করে দেন। এ এক অন্যরকম সেবামূলক কাজ, যা বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে।
আশা করি, এই গল্পটা তোমাদের ভালো লেগেছে এবং তোমরাও বিজ্ঞান শিখতে আরও বেশি আগ্রহী হয়েছো! বিজ্ঞান এক চমৎকার জগত, যা অন্বেষণ করার জন্য সবসময়ই অপেক্ষা করছে!
How an embalmer helps train the doctors of tomorrow
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-24 00:00 এ, Stanford University ‘How an embalmer helps train the doctors of tomorrow’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।