যুদ্ধ আর বিমানের পথ: কেন উড়তে সময় বেশি লাগে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যায়?,Sorbonne University


যুদ্ধ আর বিমানের পথ: কেন উড়তে সময় বেশি লাগে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যায়?

বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই প্লেন বা বিমান দেখেছো? আকাশে উড়ন্ত এই বড় বড় পাখিগুলো আমাদের অনেক দূরে, অনেক তাড়াতাড়ি পৌঁছে দেয়। কিন্তু তোমরা কি জানো, ইউক্রেনের যুদ্ধ শুধু মানুষের জীবনকেই প্রভাবিত করেনি, এই যুদ্ধ বিমানের ওড়ার পথকেও বদলে দিয়েছে? আর এর ফলে উড়তে একটু বেশি সময় লাগছে এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কার্বন ডাই অক্সাইডও বেশি তৈরি হচ্ছে।

কেন বিমানের পথ বদলে গেল?

ভাবো তো, তুমি যখন স্কুলে যাও, তখন কি সবসময় একই রাস্তা ব্যবহার করো? যদি তোমার পরিচিত রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়, যেমন রাস্তা ভাঙা বা অন্য কোনো বাধা, তখন তুমি কি অন্য রাস্তা নাও না? ঠিক তেমনই, ইউক্রেনে যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন বিমানগুলো সেই দেশের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে পারত না। এটা খুবই বিপজ্জনক ছিল। তাই বিমানগুলোকে অন্য পথ ধরে যেতে হচ্ছে।

লম্বা পথ মানে বেশি জ্বালানি, বেশি ধোঁয়া!

যখন বিমানকে অন্য পথ ধরে যেতে হয়, তখন তাকে অনেক বেশি পথ ঘুরতে হয়। ধরো, তোমার বাড়ি থেকে স্কুল যদি ১০ কিলোমিটার দূরে হয়, কিন্তু তোমাকে ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে হয়, তাহলে সেটা হয়তো ১৫ কিলোমিটার হয়ে গেল। তাহলে বেশি পথ যেতে তোমার বেশি সময় লাগবে এবং নিশ্চয়ই বেশি শক্তিও খরচ হবে, তাই না?

বিমানের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়। বেশি পথ ঘুরতে হলে বিমানকে বেশি জ্বালানি (কেরোসিন) পোড়াতে হয়। আর এই জ্বালানি পোড়ানোর ফলেই কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) তৈরি হয়। কার্বন ডাই অক্সাইড হলো একটি গ্যাস যা আমাদের পৃথিবীর পরিবেশের জন্য ভালো নয়। এটা আমাদের পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যাকে আমরা ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ বা বিশ্ব উষ্ণায়ন বলি।

সোর্বোন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কী বলছে?

ফ্রান্সের সোর্বোন বিশ্ববিদ্যালয় (Sorbonne University) এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছে। তারা দেখেছে যে, ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে অনেক বিমানকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক লম্বা পথ ঘুরতে হচ্ছে। এর ফলে, এই বিমানগুলো আগের চেয়ে বেশি জ্বালানি পোড়াচ্ছে এবং বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে ছাড়ছে।

এই গবেষণা থেকে আমরা যা শিখতে পারি:

  • যুদ্ধ শুধু ধ্বংসই ডেকে আনে না, পরিবেশকেও ক্ষতি করে: আমরা প্রায়ই দেখি যে যুদ্ধে বাড়িঘর ভেঙে যায়, মানুষ কষ্ট পায়। কিন্তু এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে যুদ্ধ আমাদের পৃথিবীর পরিবেশের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে।
  • পথ পরিবর্তন মানেই পরিবেশের উপর চাপ: যখন আমাদের কোনো কাজ করতে গিয়ে পরিবেশের উপর বেশি চাপ দিতে হয়, তখন আমাদের ভাবা উচিত কেন এমন হচ্ছে এবং কীভাবে আমরা এই চাপ কমাতে পারি।
  • বিজ্ঞান আমাদের সাহায্য করে: সোর্বোন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই সমস্যাটি খুঁজে বের করেছেন এবং এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। বিজ্ঞান আমাদের চারপাশের জগতকে বুঝতে এবং সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে।

আমরা কি করতে পারি?

ছোট বন্ধুরা, তোমরা হয়তো সরাসরি এই বড় সমস্যাগুলোতে কিছু করতে পারবে না। কিন্তু তোমরা যা করতে পারো তা হলো:

  • পরিবেশ সম্পর্কে জানা: এই ধরনের ঘটনাগুলো থেকে আমরা শিখতে পারি এবং পরিবেশকে রক্ষা করার গুরুত্ব বুঝতে পারি।
  • বিদ্যুৎ ও জল বাঁচানো: বাড়িতে বিদ্যুৎ কম ব্যবহার করলে, বা জল অপচয় না করলে, পরোক্ষভাবে পরিবেশের উপর চাপ কমে।
  • গাছ লাগানো: গাছ আমাদের পরিবেশের জন্য অনেক উপকারী। এরা কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে আমাদের বাতাসকে পরিষ্কার রাখে।
  • বিজ্ঞানীদের অনুসরণ করা: বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা। কারণ, বিজ্ঞানীরাই আমাদের এই ধরনের সমস্যা বুঝতে এবং সমাধান করতে সাহায্য করেন।

তাই, যখনই তোমরা আকাশে কোনো বিমান দেখবে, তখন মনে রেখো – এই যুদ্ধের কারণে অনেক বিমানকেই আজ লম্বা পথ পেরোতে হচ্ছে, আর সেই অতিরিক্ত পথচলার ফলে আমাদের পৃথিবীর উপর কার্বন ডাই অক্সাইডের বোঝা বাড়ছে। বিজ্ঞান আমাদের এই সত্যগুলো জানতে সাহায্য করে, এবং এই জ্ঞানই আমাদের সুন্দর পৃথিবীকে বাঁচানোর প্রথম ধাপ।


Guerre en Ukraine : les avions obligés d’emprunter des itinéraires plus longs, augmentant les émissions de CO2


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-02-13 09:22 এ, Sorbonne University ‘Guerre en Ukraine : les avions obligés d’emprunter des itinéraires plus longs, augmentant les émissions de CO2’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন