
কেনাকাটা এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ: একটি নতুন সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা
বন্ধুরা, তোমরা কি জানো, যে কোনো বড় কাজ করতে গেলে কিছু জিনিসপত্র দরকার হয়? যেমন, স্কুল থেকে যখন পিকনিকে যাও, তখন তোমরা কি কি জিনিস সাথে নাও? হয়তো কিছু শুকনো খাবার, জল, খেলার জিনিস, তাই না? এই জিনিসগুলো জোগাড় করার জন্য কিন্তু একজন বিশেষভাবে তৈরি থাকে। সে ঠিক করে কি লাগবে, কোথা থেকে আনা যাবে, কত দামে পাওয়া যাবে, সবকিছুর হিসাব রাখে। এই যে জিনিসপত্র জোগাড় করার কাজ, একেই বলে কেনাকাটা বা প্রকিউরমেন্ট।
সম্প্রতি, একটি খুব বড় কোম্পানি, যার নাম SAP, তারা একটি নতুন “গবেষণা” প্রকাশ করেছে। এই গবেষণার নাম হলো “ঝুঁকি থেকে স্থিতিশীলতা: কেনাকাটার বৃদ্ধি একটি কৌশলগত অবস্থানে” (From Risk to Resilience: Procurement’s Growth to a Strategic Position)। একটু বড় নাম, তাই না? কিন্তু এর মানেটা খুব সহজ।
কেনাকাটা আসলে কি?
তোমরা যখন খেলনা কিনতে দোকানে যাও, তখন কি কি দেখো? দাম কত, খেলনাটা কি দিয়ে তৈরি, এটা দিয়ে খেলতে মজাই লাগবে কিনা – এই সব বিষয় ভাবো। ঠিক তেমনই, বড় বড় কোম্পানিগুলো যখন কোনো জিনিস বানাতে যায়, বা কোনো কাজ করতে যায়, তখন তাদের অনেক কিছু দরকার হয়। যেমন, কম্পিউটার, কাগজ, কলম, বড় বড় মেশিন, বা হয়তো অন্য কোনো কোম্পানির তৈরি করা বিশেষ যন্ত্রাংশ। এই সব জিনিসপত্র কে ঠিকভাবে, সঠিক দামে, ভালো মানের নিয়ে আসবে, সেই কাজটাই করে কেনাকাটা বিভাগ।
আগে কেনাকাটা কেমন ছিল?
অনেক দিন আগে, কেনাকাটার কাজটা অতটাও গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হতো না। মনে হতো, শুধু জিনিসপত্র কিনে আনলেই হলো। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা তা নয়। যদি ভুল জিনিস কেনা হয়, বা বেশি দামে কেনা হয়, তাহলে পুরো কোম্পানিটারই ক্ষতি হতে পারে।
এখন কেনাকাটা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
SAP-এর নতুন গবেষণা বলছে, এখনকার দিনে কেনাকাটার কাজটা শুধু জিনিসপত্র কেনা নয়, এটা অনেক বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ হয়ে গেছে। কেন জানো?
-
অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে: পৃথিবীটা খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। কখনো হয়তো কোনো জিনিস পাওয়া যাচ্ছে না, কখনো দাম বেড়ে যাচ্ছে, কখনো নতুন নতুন নিয়ম আসছে। এই সবের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে, কেনাকাটা বিভাগকে খুব বুদ্ধিমান হতে হবে। তাদের সবসময় ভাবতে হবে, কি করলে আমরা ঠিক সময়ে, ঠিক জিনিস পাবো।
-
ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি: মনে করো, তুমি একটা গাছ লাগালে। সেই গাছটা বড় হওয়ার জন্য তোমার কি করতে হবে? নিয়মিত জল দিতে হবে, সার দিতে হবে, যাতে ওটা ঠিকমত বেড়ে ওঠে। ঠিক তেমনই, কোম্পানিগুলোও ভবিষ্যতের জন্য তৈরি থাকে। যদি কোনো কারণে জিনিসপত্র আনা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলেও যাতে তাদের কাজ আটকে না যায়, তার জন্য কেনাকাটা বিভাগকে আগে থেকেই অন্যান্য উপায় তৈরি রাখতে হয়। এটা অনেকটা “প্ল্যান বি” তৈরি রাখার মতো।
-
বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি: কেনাকাটা বিভাগ এখন অনেক নতুন নতুন বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তারা কম্পিউটারের সাহায্যে সবকিছুর হিসেব রাখে, কোথায় কি পাওয়া যাচ্ছে, তার খোঁজ রাখে। তারা এমনভাবে পরিকল্পনা করে, যাতে অপচয় কম হয় এবং পরিবেশেরও ক্ষতি না হয়।
এতে বিজ্ঞানীদের কি লাভ?
আচ্ছা, তোমরা কি জানো, বিজ্ঞানীরা যখন নতুন কোনো জিনিস আবিষ্কার করেন, বা নতুন কোনো ওষুধ তৈরি করেন, তখন কি তাদের অনেক কিছু দরকার হয় না? যেমন, বিশেষ ধরনের ল্যাবরেটরির সরঞ্জাম, রাসায়নিক পদার্থ, বা কম্পিউটার যা দিয়ে জটিল হিসেব করা যায়। এই সব জিনিসপত্র জোগাড় করার কাজটিও কিন্তু কেনাকাটা বিভাগের।
যদি কেনাকাটা বিভাগ খুব ভালোভাবে কাজ করে, তাহলে বিজ্ঞানীরা তাদের প্রয়োজনীয় সব জিনিস দ্রুত পেয়ে যান। এতে তাদের গবেষণা আরও তাড়াতাড়ি শেষ হয়, এবং তারা নতুন নতুন আবিষ্কার করতে পারেন। মনে করো, একজন বিজ্ঞানীকে যদি সবসময় দরকারি জিনিস খোঁজার জন্য চিন্তা করতে হয়, তাহলে সে নতুন কিছু কিভাবে ভাববে? তাই, দক্ষ কেনাকাটা বিভাগ বিজ্ঞানীদের গবেষণায় অনেক সাহায্য করে।
তোমরা কিভাবে এই ব্যাপারে আগ্রহী হতে পারো?
- চারপাশের জিনিসগুলো দেখো: তোমরা যে খেলনা দিয়ে খেলছো, যে বই পড়ছো, বা যে খাবার খাচ্ছো – এই সবকিছুর পেছনেও কিন্তু একটা কেনাকাটার গল্প আছে। ভাবো তো, এই জিনিসগুলো কোথা থেকে এসেছে?
- পুরোনো জিনিস নতুন করে ব্যবহার: তোমরা কি রিসাইক্লিং (recycling) বা পুরনো জিনিস নতুন করে ব্যবহার করার কথা শুনেছো? এটাও এক ধরনের বুদ্ধিমান কেনাকাটা। আমরা যখন পুরনো কাগজ দিয়ে নতুন কাগজ বানাই, বা পুরনো বোতল দিয়ে নতুন বোতল বানাই, তখন নতুন জিনিস কেনার দরকার কম হয়। এটাও পরিবেশের জন্য ভালো, আর টাকাও বাঁচে।
- কম্পিউটার ব্যবহার: তোমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করতে ভালোবাসো, তারা দেখতে পারো, কিভাবে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কেনাকাটার জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এটা বিজ্ঞানের একটা বড় অংশ।
SAP-এর এই নতুন গবেষণা আমাদের শেখাচ্ছে যে, কেনাকাটা শুধুমাত্র একটা সাধারণ কাজ নয়, এটা একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কৌশলগত কাজ। এটা কোম্পানিগুলোকে কঠিন সময়ে টিকে থাকতে এবং ভবিষ্যতের জন্য তৈরি থাকতে সাহায্য করে। আর এই কাজে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশই বাড়ছে, যা আমাদের চারপাশের সবকিছুকে আরও উন্নত করে তুলছে।
এই সব জেনে তোমাদেরও কি মনে হচ্ছে না যে, কেনাকাটার পেছনেও কত মজার বিজ্ঞান লুকিয়ে আছে? তোমরাও যদি এই বিষয়গুলো নিয়ে একটু ভাবো, তাহলে বিজ্ঞানের প্রতি তোমাদের আগ্রহ আরও বাড়বে।
From Risk to Resilience: Procurement’s Growth to a Strategic Position
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-06-24 12:15 এ, SAP ‘From Risk to Resilience: Procurement’s Growth to a Strategic Position’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।