
গরমকালে ঠান্ডা থাকার নতুন উপায়: স্যামসাং-এর নতুন আবিষ্কার!
তোমরা সবাই নিশ্চয়ই গরমকালে ঠান্ডা থাকার জন্য এসি বা ফ্যান ব্যবহার করো, তাই না? এসি কাজ করে বিশেষ এক ধরণের গ্যাসের মাধ্যমে, যাকে বলে রেফ্রিজারেন্ট। এই গ্যাস পরিবেশের জন্য একটু ক্ষতিকর হতে পারে। কিন্তু স্যামসাং কোম্পানি এমন একটি নতুন জিনিস আবিষ্কার করেছে যা এই রেফ্রিজারেন্ট ছাড়াই ঠান্ডা রাখতে পারবে! কী দারুণ ব্যাপার, তাই না?
পেলটিয়ার কুলিং কী?
স্যামসাং যে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে তার নাম হলো “পেলটিয়ার কুলিং”। এটা একটু বড় নাম হলেও এর পেছনের বিজ্ঞান কিন্তু খুব মজার। এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছিলেন একজন ফরাসি বিজ্ঞানী, যার নাম জ্যাঁ চার্লস পেলটিয়ার। তিনি লক্ষ করেছিলেন যে, যখন একটি বিশেষ ধরণের জিনিস (একে বলে সেমিকন্ডাক্টর) দিয়ে বিদ্যুৎ চালনা করা হয়, তখন এর একটি দিক গরম হয়ে যায় এবং অন্য দিকটি ঠান্ডা হয়ে যায়!
ভাবো তো, ঠিক যেন একটা জাদুকরী প্লেট! একপাশে হাত রাখলে গরম লাগবে, আর অন্যপাশে হাত রাখলে ঠান্ডা!
পেলটিয়ার কুলিং কীভাবে কাজ করে?
পেলটিয়ার কুলিং-এর জন্য কয়েকটি বিশেষ সেমিকন্ডাক্টর ব্লক একসাথে লাগানো থাকে। যখন এই ব্লকগুলোর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়, তখন একপাশের ব্লকগুলো থেকে তাপ অন্যপাশের ব্লকগুলোতে চলে যায়। ফলে, যেদিকে তাপ চলে যায় সেই জায়গাটা ঠান্ডা হয়ে যায়। আর যেদিকে তাপ জমা হয়, সেই জায়গাটা গরম হয়ে যায়।
এই প্রযুক্তি অনেকটা আমাদের শরীরের মতো। যখন আমরা দৌড়াই তখন আমাদের শরীর গরম হয়ে যায়, আর সেই গরম বের করে দেওয়ার জন্য আমাদের ঘাম হয়। পেলটিয়ার কুলিং-ও প্রায় একই রকম কাজ করে, তবে গ্যাস ব্যবহার না করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
কেন এটা এত বিশেষ?
- পরিবেশবান্ধব: এই প্রযুক্তিতে কোনো রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ব্যবহার করা হয় না, তাই এটি পরিবেশের জন্য অনেক ভালো। পরিবেশকে সুস্থ রাখতে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।
- ছোট এবং হালকা: এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হওয়া জিনিসপত্র অনেক ছোট ও হালকা হতে পারে। তাই এগুলোকে নানা জায়গায় ব্যবহার করা সহজ হবে।
- স্থায়ী: এই প্রযুক্তিটি অনেক দিন ধরে কাজ করতে পারে এবং এতে কোনো চলমান অংশ (যেমন ফ্যানের ব্লেড) নেই, তাই এটি সহজে নষ্ট হয় না।
- শব্দহীন: যেহেতু এতে কোনো ফ্যান বা কম্প্রেসর নেই, তাই এটি প্রায় শব্দহীনভাবে কাজ করে। ভাবো তো, একদম চুপচাপ ঠান্ডা!
কোথায় ব্যবহার করা যেতে পারে?
স্যামসাং মনে করছে এই পেলটিয়ার কুলিং প্রযুক্তি অনেক জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন:
- ছোট ফ্রিজ: তোমরা নিশ্চয়ই ছোট পোর্টেবল ফ্রিজ দেখেছো, যেখানে পানীয় ঠান্ডা রাখা যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেগুলো আরও উন্নত করা যেতে পারে।
- গাড়ির সিট: গরমকালে গাড়ির সিট খুব গরম হয়ে যায়। এই প্রযুক্তি দিয়ে গাড়ির সিটও ঠান্ডা রাখা যেতে পারে!
- ইলেকট্রনিক গ্যাজেট: কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক জিনিস অনেক সময় গরম হয়ে যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেগুলোকে ঠান্ডা রাখা যাবে।
- নতুন ধরণের রেফ্রিজারেটর: ভবিষ্যতের বাড়ির ফ্রিজগুলো হয়তো এই পেলটিয়ার কুলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হবে, যা আরও বেশি কার্যকর হবে।
শিশুদের জন্য কিছু কথা:
তোমরা যারা নতুন নতুন জিনিস শিখতে ভালোবাসো, তাদের জন্য পেলটিয়ার কুলিং একটি দারুণ উদাহরণ। বিজ্ঞান শুধু বইয়ের পাতায় নয়, আমাদের চারপাশের জিনিসগুলোতেও লুকিয়ে আছে। তোমরা যদি এই ধরণের বিষয়গুলো নিয়ে আরও জানতে আগ্রহী হও, তাহলে বিজ্ঞান তোমাদের জন্য অনেক মজার নতুন দরজা খুলে দেবে।
স্যামসাং-এর এই আবিষ্কার আমাদের শেখায় যে, একটু চেষ্টা করলেই আমরা পরিবেশের জন্য ভালো এবং নতুন কিছু তৈরি করতে পারি। কে জানে, হয়তো তুমিও একদিন বিজ্ঞানের জগতে এমন কোনো অসাধারণ আবিষ্কার করবে যা পুরো পৃথিবীকে বদলে দেবে! তাই সব সময় কৌতূহলী থেকো এবং নতুন কিছু শেখার চেষ্টা চালিয়ে যাও।
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-08 09:00 এ, Samsung ‘[Interview] Staying Cool Without Refrigerants: How Samsung Is Pioneering Next-Generation Peltier Cooling’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।