
কৈশোরের চিহ্ন লুকিয়ে রাখে জনপ্রিয় টিনএজ সিনেমা? ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির নতুন গবেষণা যা জানাচ্ছে!
ভাবো তো, আমরা যখন সিনেমা দেখি, বিশেষ করে যেখানে আমাদের বয়সী ছেলেমেয়েদের গল্প বলা হয়, তখন তাদের দেখতে কেমন লাগে? তাদের কি আমাদের মতো পরিবর্তন হচ্ছে? নাকি তারা সব সময় একই রকম থাকে? ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সম্প্রতি একটি মজার গবেষণা করেছেন, যা আমাদের এই প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবতে সাহায্য করবে। তারা দেখেছেন, যে সিনেমাগুলো টিনএজারদের নিয়ে তৈরি হয়, সেগুলোতে অনেক সময় কৈশোরের স্পষ্ট লক্ষণগুলো, যেমন— শারীরিক পরিবর্তন, বয়ঃসন্ধির চিহ্নগুলো— এগুলোকে নাকি কিছুটা আড়ালে রাখা হয়!
গবেষণাটি কী নিয়ে?
গবেষকরা ২০০০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মুক্তি পাওয়া জনপ্রিয় কিছু টিনএজ সিনেমার ওপর নজর রেখেছেন। এই সিনেমাগুলোতে প্রধান চরিত্রে থাকা অভিনেতাদের বয়স এবং তাদের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা হয়েছে। তারা দেখেছেন, এই সিনেমাগুলোতে চরিত্রগুলো যখন কৈশোরে প্রবেশ করে, তখনও তাদের মধ্যে বয়ঃসন্ধির অনেক সাধারণ লক্ষণ, যেমন— গলার স্বর পরিবর্তন (ছেলেদের ক্ষেত্রে), ত্বকে ব্রণ, বা উচ্চতায় হঠাৎ বৃদ্ধি, এই জিনিসগুলো খুব কমই দেখানো হয়।
কেন এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন গবেষকরা?
গবেষকদের মতে, এর কিছু কারণ থাকতে পারে:
- দর্শকদের আকর্ষণ: সিনেমা নির্মাতারা হয়তো চান যে সিনেমার প্রধান চরিত্ররা সব সময় আকর্ষণীয় ও “নিখুঁত” থাকুক। বয়ঃসন্ধির সময়কার অনেক শারীরিক পরিবর্তন, যা অনেক সময় অস্বস্তিকর হতে পারে, সেগুলো হয়তো দর্শকদের মন থেকে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়।
- বড় অভিনেতা ব্যবহার: অনেক সময়, টিনএজ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বয়সী অভিনেতাদের ব্যবহার করা হয়। এর ফলে, তারা বয়ঃসন্ধির অনেক প্রাকৃতিক পরিবর্তন থেকে ইতিমধ্যেই বেরিয়ে এসেছে, তাই সিনেমার দৃশ্যে সেগুলো দেখানোর প্রশ্নই ওঠে না।
- কৈশোরকে “সাধারণ” দেখানো: নির্মাতারা হয়তো কৈশোরের এই পরিবর্তনগুলোকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চান না, বরং কৈশোরকে একটি স্বাভাবিক, পরিবর্তনহীন সময় হিসেবে তুলে ধরতে চান।
এর মানে কী?
এর মানে হলো, আমরা যখন সিনেমা দেখি, তখন আমরা কৈশোরের একটি “পরিষ্কার” বা “সহজ” সংস্করণ দেখতে পাই। কিন্তু বাস্তবে, কৈশোর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিবর্তনশীল সময়। এই সময়টায় আমাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে, যা আমাদের বড় হয়ে উঠতে সাহায্য করে। সিনেমাগুলো হয়তো এই “বাস্তবতা” থেকে একটু দূরে থাকে।
এই গবেষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এই গবেষণাটি আমাদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখায়:
- বিজ্ঞান ও বাস্তবতা: বিজ্ঞানের জগতে, বিশেষ করে জীববিজ্ঞানে, কৈশোর একটি দারুণ অধ্যায়। আমাদের শরীর কীভাবে পরিবর্তিত হয়, তা বোঝা খুবই জরুরি। কিন্তু সিনেমা বা মিডিয়ায় দেখানো অনেক কিছুই হয়তো সম্পূর্ণ বাস্তব নয়।
- বিজ্ঞানে আগ্রহ তৈরি: এই ধরনের গবেষণা আমাদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারে। আমরা যখন দেখি যে গবেষকরা সিনেমার মতো বিষয় নিয়েও কত গভীর বিশ্লেষণ করছেন, তখন আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে— “বিজ্ঞানের আরও কত কী জানার আছে!”
- আত্মবিশ্বাস বাড়ানো: কৈশোরের সময়টায় অনেকেই তাদের শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে একটু দ্বিধা বা অস্বস্তিতে ভোগে। সিনেমাগুলোতে যদি এই পরিবর্তনগুলো স্বাভাবিক এবং সুন্দরভাবে দেখানো হতো, তবে অনেক শিশু ও কিশোর-কিশোরীর আত্মবিশ্বাস বাড়তো। তারা বুঝতে পারতো যে এটা জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ।
প্রিয় শিশু ও বন্ধুরা,
তোমরা যখন সিনেমা দেখো, তখন একটা বিষয় মনে রাখতে পারো— সিনেমা হলো বিনোদনের জন্য। আমাদের চারপাশের জগৎ, আমাদের নিজেদের শরীর, তা অনেক বেশি সুন্দর এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ। বিজ্ঞান আমাদের সেই বৈচিত্র্যকে জানতে সাহায্য করে। কৈশোর একটি অসাধারণ সময়, যখন তোমরা নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারো, নিজেদের আবিষ্কার করতে পারো। তাই, সিনেমা দেখার পাশাপাশি, নিজেদের শরীর ও মনকেও জানার চেষ্টা করো, আর বিজ্ঞানের জগতকে আরও বেশি করে আবিষ্কার করো! তোমাদের এই জানার আগ্রহই আগামী দিনের বিজ্ঞানী তৈরি করবে।
Popular teen movies reel back from visible signs of puberty
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-09 15:05 এ, Ohio State University ‘Popular teen movies reel back from visible signs of puberty’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।