
মেমে কি কমিকসের একটি রূপ? ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির এক মজার গবেষণা!
বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই মেমে (meme) চেনো? আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় মেমে ছাড়া চলেই না। নানা রকম ছবি, মজার ক্যাপশন – এগুলো দেখেই আমাদের হাসি পায়। কিন্তু তোমরা কি জানো, মেমে আসলে কমিকসের (comics) মতো কিনা, এই নিয়ে বিজ্ঞানীরাও গবেষণা করছেন! সম্প্রতি ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি (Ohio State University) এই মজার বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। চলো, আমরা সবাই মিলে এই বিষয়গুলো সহজ ভাষায় জেনে নিই, আর বিজ্ঞানের মজাটা উপভোগ করি!
মেমে আসলে কী?
মেমে হলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ছোট ছোট ছবি, ভিডিও বা লেখা, যা প্রায়শই মজার বা ব্যঙ্গাত্মক হয়। একটি ছবি বা ভিডিওকে বিভিন্ন ক্যাপশন দিয়ে বার বার ব্যবহার করা হয়, আর এভাবেই সেটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা যেমন কমিকসের মাধ্যমে কোনো গল্প শুনি বা কোনো পরিস্থিতি বুঝি, মেমেও অনেকটা সেরকম। তবে মেমে আরও ছোট এবং তাৎক্ষণিক (instant) হয়।
কমিকস আর মেমের মধ্যে মিল কোথায়?
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মেমে এবং কমিকসের মধ্যে কিছু দারুণ মিল রয়েছে।
- ছবি ও লেখা: কমিকসের মতো মেমেতেও ছবি এবং লেখা একসাথে ব্যবহার করা হয়। ছবি দেখে আমরা যা বুঝি, ক্যাপশনটি সেই অর্থকে আরও স্পষ্ট করে তোলে অথবা নতুন কোনো অর্থ যোগ করে।
- ছোট গল্প বা ধারণা: কমিকসের প্রতিটা প্যানেল যেমন একটা ছোট ধারণা বা গল্পের অংশ, মেমেও তেমনি একটি ছোট ধারণা বা অনুভূতি প্রকাশ করে।
- পুনরাবৃত্তি ও পরিবর্তন: কমিকসে একই চরিত্রকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দেখানো হয়। মেমেও একই ছবি বা ভিডিওকে বিভিন্ন ক্যাপশন দিয়ে বারবার ব্যবহার করা হয়, অর্থাৎ এর একটি ‘পুনরাবৃত্তি’ (repetition) বা পুনরাবৃত্তি করার প্রবণতা দেখা যায়।
- সংস্কৃতি: কমিকস আমাদের সমাজের বা সংস্কৃতির অংশ। মেমেও তাই। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটনা, বা সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে মেমে তৈরি করি।
মেমে কি সত্যিই কমিকসের মতো?
ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে, মেমেগুলো যেভাবে তৈরি হয় এবং আমরা যেভাবে সেগুলো গ্রহণ করি, তাতে কমিকসের অনেক বৈশিষ্ট্যই খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন, মেমেগুলো আমাদের মনকে আনন্দ দেয়, কিছু শেখায় বা কোনো নির্দিষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের ভাবতে সাহায্য করে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মেমেগুলো প্রায়শই আমাদের মধ্যে একটি ‘সাধারণ বোঝাপড়া’ (shared understanding) তৈরি করে। যখন আমরা একটি মেমে দেখি, তখন আমরা বুঝতে পারি এর পেছনের মূল ধারণাটি কী, কারণ আমরা হয়তো একই ধরনের অভিজ্ঞতা লাভ করেছি বা একই বিষয় সম্পর্কে অবগত আছি। কমিকসের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়।
কেন এই গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ?
তোমরা হয়তো ভাবছো, মেমে নিয়ে আবার কীসের গবেষণা! কিন্তু আসলে এই গবেষণাগুলো আমাদের বুঝতে সাহায্য করে যে, মানুষ কীভাবে যোগাযোগ করে, কীভাবে নতুন জিনিস শেখে এবং কীভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে।
- যোগাযোগের নতুন মাধ্যম: মেমে হলো যোগাযোগের একটি আধুনিক মাধ্যম। এটি শুধু আনন্দই দেয় না, এটি আমাদের ভাবনা, অনুভূতি এবং সমাজকে প্রকাশ করার একটি সহজ উপায়ও বটে।
- বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ: যখন আমরা দেখি যে বিজ্ঞানীরা মজার মজার বিষয় নিয়েও গবেষণা করছেন, তখন আমাদের বিজ্ঞানীদের কাজ আরও আকর্ষণীয় মনে হয়। আমরা বুঝতে পারি যে, বিজ্ঞানের জগৎ শুধু বইয়ের পাতায় বা ল্যাবরেটরিতেই সীমাবদ্ধ নয়, আমাদের চারপাশের সবকিছুর মধ্যেই বিজ্ঞান লুকিয়ে আছে।
- সৃজনশীলতা: মেমে তৈরি করাও এক ধরণের সৃজনশীল কাজ। একটি ছবি বা ভিডিওকে নতুন ক্যাপশন দিয়ে মজার করে তোলা আমাদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা প্রকাশের একটি সুযোগ দেয়।
মেমে এবং কমিকস: একটি ভবিষ্যৎ?
এই গবেষণা থেকে আমরা শিখতে পারি যে, প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে আমাদের শেখার এবং আনন্দ পাওয়ার পদ্ধতিও পাল্টাচ্ছে। মেমে হয়তো কমিকসের সরাসরি প্রতিস্থাপন নয়, তবে এটি কমিকসের মতো আমাদের বিনোদন দিতে এবং যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম।
ভবিষ্যতে হয়তো আমরা আরও নতুন নতুন ধরনের কমিকস বা মেমের মতো নতুন জিনিস দেখতে পাব, যা আমাদের বিজ্ঞানের প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলবে। তাই বন্ধুরা, শুধু মেমে দেখেই হেসে উড়িয়ে দিও না, বোঝার চেষ্টা করো এর পেছনের বিজ্ঞানটা কোথায়! কে জানে, হয়তো তোমাদের মধ্যেই কেউ একদিন নতুন কোনো বৈজ্ঞানিক ধারণাকে মেমে বা অন্য কোনো মজাদার উপায়ে সবার সামনে তুলে ধরবে!
Most of us love memes. But are they a form of comics?
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-15 12:06 এ, Ohio State University ‘Most of us love memes. But are they a form of comics?’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।