
যখন পৃথিবী বরফের চাদরে ঢাকা ছিল: ছোট ছোট ডোবায় লুকিয়ে ছিল জীবনের শুরু!
ভাবো তো, আমাদের সুন্দর পৃথিবীটা যদি হঠাৎ করে বিরাট এক বরফের গোল্লায় পরিণত হত! চারদিকে শুধু বরফ আর বরফ, আর তার নিচে সবকিছু জমে গেছে। এটা শুনতে একটু ভয়ের লাগলেও, বিজ্ঞানীরা এমনই এক সময়ের কথা বলছেন যখন আমাদের পৃথিবী প্রায় পুরোটা সময়ই বরফে ঢাকা থাকত। এই সময়টাকে বলা হয় “হুকসন গ্লেসিয়াল ইভেন্ট” বা “তুষার যুগ”।
তখন পৃথিবী কেমন ছিল?
এই সময়টা আজ থেকে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন বছর আগের কথা। তখন আজকের মতো সবুজ গাছপালা, সুন্দর নদী বা নীল সমুদ্র ছিল না। পুরো পৃথিবীটা, এমনকি নিরক্ষীয় অঞ্চলও, পুরু বরফের স্তরে ঢেকে গিয়েছিল। ভাবা যায়! মনে হবে যেন এই বিশাল বরফের নিচে জীবনের কোনও জায়গাই নেই।
কিন্তু জীবন কি থেমে গিয়েছিল?
এই প্রশ্নটাই বিজ্ঞানীরা ভাবাচ্ছেন। যদি পুরো পৃথিবীই বরফে ঢাকা থাকে, তাহলে জীবন কীভাবে টিকে ছিল? এখানেই আসে এক নতুন এবং দারুণ ধারণা!
ছোট্ট ডোবার জাদু!
MIT-এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই জমাট বরফের চাদরের নিচেও জীবনের কিছু অংশ লুকিয়ে থাকতে পারত। কীভাবে?
ভাবো তো, যখন সূর্য একটু তেজ দেখাত, বা কোনও আগ্নেয়গিরি থেকে গরম লাভা বেরিয়ে আসত, তখন বড় বড় বরফের চাদরের উপর বা নিচে কিছু ছোট ছোট জায়গায় বরফ গলে গিয়ে ডোবার মতো তৈরি হতে পারত। এই ডোবাগুলো ছিল ছোট ছোট জলের ভাণ্ডার, যেখানে বরফ গলা মিষ্টি জল থাকত।
আর এই মিষ্টি জলের ডোবাগুলোই হয়ে উঠেছিল জীবনের জন্য এক নিরাপদ আশ্রয়!
জীবনের সেই আশ্রয়:
এই ডোবাগুলোর জল হয়তো খুব ঠান্ডা থাকত, কিন্তু সেখানে হয়তো অল্প পরিমাণে সূর্যালোকও পৌঁছাত। এই সূর্যালোক এবং জলের সাহায্যে কিছু অণুজীব, যেমন – ব্যাকটেরিয়া বা সায়ানোব্যাকটেরিয়া, বেঁচে থাকতে পারত। এই অণুজীবগুলোই ছিল পৃথিবীর প্রথম জীবনের অংশ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ডোবাগুলো অনেকটা “জীবন বাঁচানোর নৌকার” মতো কাজ করত। যখন সারা পৃথিবী বরফে জমে যেত, তখন এই ছোট্ট জলের ডোবাগুলোয় এই অণুজীবগুলো টিকে থাকত। আর যখন পৃথিবী আবার একটু উষ্ণ হতে শুরু করত, তখন এই ডোবাগুলো থেকে জীবন আবার ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পেত।
এটা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
এটা আমাদের বুঝতে সাহায্য করে যে, আমাদের গ্রহ কতবার বড় বড় বিপদের মুখোমুখি হয়েছে এবং তা সত্ত্বেও জীবন কীভাবে টিকে থাকার নতুন পথ খুঁজে নিয়েছে। এই গবেষণা আমাদের শেখায় যে, প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকার জন্য ছোট ছোট জায়গাও কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
তোমারও হতে পারো বিজ্ঞানী!
বিজ্ঞানীরা শুধু পুরনো দিনের কথা বলেন না, তারা আমাদের গ্রহের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তা করেন। হয়তো তোমার মতো কোনও শিশু বা কিশোর একদিন এমন কোনও নতুন আবিষ্কার করবে যা আমাদের পৃথিবীকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
তুমি যদি একটু খেয়াল করে দেখো, তাহলে দেখবে – প্রকৃতির মাঝে কত রহস্য লুকিয়ে আছে! একটুখানি কৌতূহল এবং অনেক পড়াশোনা তোমাকেও নিয়ে যেতে পারে নতুন নতুন আবিষ্কারের পথে।
তাহলে, পরের বার যখন বরফ পড়বে, বা কোথাও একটু জল জমবে, তখন মনে কোরো – এই ছোট ছোট জায়গাতেই হয়তো লুকিয়ে আছে জীবনের অনেক বড় রহস্য!
When Earth iced over, early life may have sheltered in meltwater ponds
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-06-19 09:00 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘When Earth iced over, early life may have sheltered in meltwater ponds’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।