
বিজ্ঞানের নতুন জাদু! এবার কোষের ভেতরের খবর জানা যাবে সহজে!
ভাবো তো, তোমার শরীরের ভেতরের সব কোষগুলো একসঙ্গে গান গাইছে, আর তুমি সেই গান শুনতে পাচ্ছো! যদিও এটা এখন সম্ভব নয়, তবে বিজ্ঞানীরা এমন একটা নতুন উপায় বের করেছেন, যা দিয়ে আমরা কোষের ভেতরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দেখতে এবং বুঝতে পারবো।
MIT-এর বিজ্ঞানীরা যা করেছেন:
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT)-এর একদল বিজ্ঞানী মিলে একটি নতুন এবং দারুণ পদ্ধতি তৈরি করেছেন। এর নাম হল “ইমেজিং ও সিকোয়েন্সিং-এর মেলবন্ধন”। সহজ ভাষায় বললে, এটা অনেকটা দুটো সুপার পাওয়ারকে একসাথে জোড়া লাগানোর মতো।
এটা কেন এত বিশেষ?
আমাদের শরীর অনেক ছোট ছোট অংশ দিয়ে তৈরি, যাদের আমরা বলি কোষ। প্রত্যেকটি কোষে আছে ডিএনএ, যা আমাদের সব তথ্য বহন করে। ডিএনএ-তে অনেক “জিন” থাকে, যারা ঠিক করে দেয় আমাদের চুল কেমন হবে, চোখ কেমন হবে, বা আমরা কেন লম্বা হবো। এই জিনগুলোই আসলে আমাদের শরীরের সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
আগে বিজ্ঞানীরা যখন কোনো জিনের কাজ বুঝতে চাইতেন, তখন তাদের কোষগুলোকে বের করে এনে ল্যাবে পরীক্ষা করতে হতো। কিন্তু এই নতুন পদ্ধতিতে, তারা কোষগুলোকে তাদের আসল জায়গাতেই রেখে, অর্থাৎ শরীরের টিস্যুর (একসাথে অনেক কোষ মিলে তৈরি হয় টিস্যু) মধ্যেই দেখে ফেলতে পারছেন!
কীভাবে কাজ করে এই নতুন পদ্ধতি?
এই পদ্ধতিটা দুটো ভাগে কাজ করে:
-
দেখা (Imaging): বিজ্ঞানীরা বিশেষ কিছু আলো বা রং ব্যবহার করেন, যা কোষের ভেতরের জিনিসগুলোকে বিশেষভাবে উজ্জ্বল করে তোলে। অনেকটা টর্চলাইট দিয়ে অন্ধকারে কিছু খুঁজে বের করার মতো। এর মাধ্যমে তারা বুঝতে পারেন কোন জিন কোন জায়গায় আছে বা কেমনভাবে কাজ করছে।
-
পড়া (Sequencing): তারপর তারা কোষের ভেতরের ডিএনএ-এর তথ্য পড়ে নেন। এটা অনেকটা বইয়ের অক্ষরগুলো পড়ে গল্প বোঝার মতো। এর মাধ্যমে তারা জানতে পারেন কোন জিন সক্রিয় আছে, কোন জিন নিষ্ক্রিয় আছে, বা কোন জিন কী কাজ করছে।
এই পদ্ধতির সুবিধা কী?
- সম্পূর্ণ শরীর দেখা: আগে যেমন আমরা শুধু একটা ঘরের জিনিস দেখতাম, এখন আমরা পুরো বাড়িটাই একবারে দেখতে পাচ্ছি। অর্থাৎ, শরীরের টিস্যুর ভেতরে থাকা হাজার হাজার কোষের মধ্যে কোন জিন কী করছে, তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।
- নতুন তথ্য জানা: এই পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীরা কোষের এমন অনেক গোপন তথ্য জানতে পারছেন, যা আগে জানা সম্ভব ছিল না। যেমন, কোনো রোগে আক্রান্ত হলে কোন কোন জিন তাদের স্বাভাবিক কাজ করছে না, সেটা বোঝা যাচ্ছে।
- দ্রুত কাজ: আগের চেয়ে অনেক কম সময়ে অনেক বেশি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
শিশুরা কেন এতে আগ্রহী হবে?
ভাবো তো, তুমি যদি তোমার খেলনার ভেতরের সব কলকব্জা দেখতে পেতে, তাহলে কেমন মজা হতো! এই পদ্ধতিটা অনেকটা সেরকমই। এটা বিজ্ঞানকে আরও অনেক আকর্ষণীয় করে তোলে।
- রহস্য উদঘাটন: মানুষের শরীর, উদ্ভিদ বা অন্য যেকোনো প্রাণীর শরীর কিভাবে কাজ করে, তার অনেক রহস্য এই পদ্ধতির মাধ্যমে জানা যাবে।
- নতুন ওষুধ তৈরি: এই পদ্ধতি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা অনেক রোগের কারণ খুঁজে বের করতে পারবেন এবং তার জন্য নতুন ও কার্যকরী ওষুধ তৈরি করতে পারবেন।
- ভবিষ্যতের বিজ্ঞানী: যারা এই বিষয়ে আগ্রহী হবে, তারা ভবিষ্যতে হয়তো নতুন নতুন আবিষ্কার করবে, যা আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলবে।
আমাদের করণীয় কী?
বিজ্ঞানের এই সুন্দর জগতে প্রবেশ করার জন্য আমাদের জানতে হবে, শিখতে হবে। বই পড়া, বিজ্ঞান ক্লাবগুলোতে যোগ দেওয়া, বা নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের খবর রাখা — এগুলো আমাদের এই পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
MIT-এর বিজ্ঞানীদের এই নতুন আবিষ্কার আমাদের শরীরের ভেতরের জগতটাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে শিখিয়েছে। আশা করি, এই নতুন পদ্ধতি শুনে তোমারও বিজ্ঞানীর মতো হওয়ার ইচ্ছা জাগবে! কে জানে, হয়তো তুমিই হবে আগামী দিনের সেই বিজ্ঞানী, যে মানবজাতির জন্য আরও বড় কোনো আবিষ্কার নিয়ে আসবে!
New method combines imaging and sequencing to study gene function in intact tissue
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-06-30 18:03 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘New method combines imaging and sequencing to study gene function in intact tissue’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।