
নতুন ম্যাজিক! বরফ স্প্রে দিয়ে জোড়া লাগবে ভাঙা সেতু!
বন্ধুরা, তোমরা তো সবাই সেতু দেখেছো, তাই না? গাড়ি, বাস, সাইকেল, সবাই এর উপর দিয়ে চলে যায়। কিন্তু কখনো যদি সেতুর কোনো অংশ ভেঙে যায়, তখন কী হবে? সারাই করতে অনেক সময় লাগে, অনেক ঝামেলা হয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এমন এক নতুন জাদু শিখেছেন, যা দিয়ে খুব সহজেই, আর খুব তাড়াতাড়ি ভাঙা সেতু ঠিক করা যাবে! ভাবছো, এটা কী জাদু? এটা হলো “কোল্ড স্প্রে” (Cold Spray) বা “ঠান্ডা স্প্রে” পদ্ধতি।
কী এই কোল্ড স্প্রে?
এটা কোনো সাধারণ স্প্রে নয়, যা আমরা ছবিতে রং করার জন্য ব্যবহার করি। এটা হলো এক বিশেষ ধরনের স্প্রে, যা দিয়ে ধাতুর গুঁড়ো (metal powder) খুব জোরে, এক ধরণের গ্যাসের সাথে মিশিয়ে ছুড়ে মারা হয়। এই গুঁড়োগুলো এতটাই জোরে ছোটে যে, যখন তারা সেতুর ভাঙা জায়গাতে লাগে, তখন তারা গলে যাওয়ার বদলে একসাথে মিশে যায় এবং একটা শক্ত স্তর তৈরি করে। অনেকটা সুপার গ্লু-এর মতো, কিন্তু এটা ধাতু দিয়ে তৈরি!
এই জাদু কোথায় ব্যবহার হবে?
এই বিশেষ জাদুটা সবচেয়ে বেশি কাজে আসবে সেতুর ভাঙা অংশগুলো ঠিক করতে। ভাবো তো, সেতুর কোনো একটা জায়গায় একটু ফাটল দেখা দিল। আগে কী করতে হতো? হয়তো পুরো সেতু বন্ধ করে দিতে হতো, অথবা ভারী যন্ত্রপাতি এনে কাজ করতে হতো। কিন্তু এই কোল্ড স্প্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তারা সরাসরি সেতুর উপরে গিয়েই এই কাজটি করতে পারবে।
কীভাবে কাজ করে এই ম্যাজিক?
একটা বিশেষ মেশিনের সাহায্যে, বিজ্ঞানীরা ধাতুর খুব ছোট ছোট গুঁড়ো (যেমন লোহা বা অ্যালুমিনিয়ামের গুঁড়ো) খুব জোরে গ্যাস (যেমন নাইট্রোজেন বা হিলিয়াম) দিয়ে মেশিনের মুখ থেকে বের করে দেন। যখন এই গুঁড়োগুলো সেতুর ভাঙা অংশে লাগে, তখন এদের গতি এত বেশি থাকে যে, এরা নিজেদের মধ্যে লেগে গিয়ে একটা নতুন, শক্ত ধাতুর স্তর তৈরি করে ফেলে। আর অবাক করার বিষয় হলো, এই পুরো প্রক্রিয়াটা হয় অনেক ঠান্ডা তাপমাত্রায়, অর্থাৎ “কোল্ড স্প্রে” নামটা এখান থেকেই এসেছে। এতে গরম করার কোনো ঝামেলা নেই, তাই সেতুর আশেপাশে থাকা অন্য জিনিসগুলোর কোনো ক্ষতি হয় না।
এটা কেন এত ভালো?
- তাড়াতাড়ি সারাই: আগে যেখানে সারাই করতে অনেক দিন লাগতো, এখন সেটা অনেক কম সময়ে হয়ে যাবে।
- সহজে ব্যবহার: সেতুর উপরে গিয়েই এটা করা যাবে, তাই সেতু বন্ধ করার প্রয়োজন হবে না।
- শক্তিশালী: এই স্প্রে করা ধাতুর স্তর অনেক মজবুত হয়, যা সেতুকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
- পরিবেশবান্ধব: এতে বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না এবং কম বর্জ্য তৈরি হয়।
যারা এই জাদুটা তৈরি করেছে:
আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT)-এর বিজ্ঞানীরা এই অসাধারণ জাদুটা আবিষ্কার করেছেন। তারা দেখিয়েছেন যে, এই কোল্ড স্প্রে পদ্ধতি ব্যবহার করে সেতুর ছোট ছোট ফাটল বা ভাঙা অংশ খুব ভালোভাবে জোড়া লাগানো সম্ভব।
ভবিষ্যতে কী হবে?
ভাবো তো, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু সেতুই নয়, আরও অনেক কিছু যেমন airplanes-এর যন্ত্রাংশ, বা এমনকি মহাকাশযানের যন্ত্রাংশও ঠিক করা যাবে। বিজ্ঞানীদের এই ছোট্ট জাদুটা আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দেবে আর আমাদের চারপাশের জিনিসগুলোকে আরও মজবুত করে তুলবে।
বিজ্ঞান শুধু কঠিন কিছু নয়, এটা আমাদের চারপাশের সবকিছুকে আরও সুন্দর আর সহজ করে তোলার একটা উপায়। এই কোল্ড স্প্রে প্রযুক্তি তেমনই এক উদাহরণ, যা আমাদের দেখিয়ে দেয় বিজ্ঞান কীভাবে আমাদের বিশ্বকে বদলাতে পারে! তাহলে বন্ধুরা, তোমরাও কি এমন কোনো নতুন জাদুর কথা ভাবতে পারো?
“Cold spray” 3D printing technique proves effective for on-site bridge repair
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-06-20 04:00 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘“Cold spray” 3D printing technique proves effective for on-site bridge repair’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।