
দেয়ালের ওপারে কী আছে? এক নতুন জাদুর মতো প্রযুক্তি যা সব লুকিয়ে থাকা জিনিস দেখিয়ে দেয়!
কল্পনা করো তো, তোমার খেলনাগুলো ঘরের অন্য ঘরে লুকিয়ে আছে, আর তুমি শুধু দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছো। তুমি দেখতে পাচ্ছো না কিন্তু তোমার মনে হচ্ছে সেখানে নিশ্চয়ই কিছু আছে! এখন MIT (ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি)-এর একদল দারুণ বিজ্ঞানী এমন এক প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন যা ঠিক এই কাজটিই করতে পারে। তারা একটি নতুন “ক্যামেরা” বানিয়েছেন যা দেয়ালের ওপারে বা অন্য কোনো আড়ালে থাকা জিনিসের আকার তৈরি করতে পারে!
এটা কি জাদু? না, এটা বিজ্ঞান!
এই নতুন প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে “ইমেজিং টেকনিক” বা ছবির মতো করে জিনিসকে চেনার পদ্ধতি। MIT-এর বিজ্ঞানীরা এটি তৈরি করেছেন। তোমরা হয়তো ভাবছো, দেয়াল তো আলো আটকে দেয়, তাহলে কিভাবে দেখা যায়?
সহজভাবে বললে, তারা একটি বিশেষ ধরনের আলো ব্যবহার করেন। এই আলো দেয়ালের ভেতর দিয়ে সরাসরি যেতে পারে না, কিন্তু দেয়ালের অন্য পাশে ধাক্কা খেয়ে একটু এদিক-ওদিক ছড়িয়ে পড়ে। ভাবো তো, তুমি যদি একটি টর্চলাইট দিয়ে দেয়ালের ওপারে আলো ফেলো, তাহলে দেয়ালের ওপাশে নিশ্চয়ই আলোটা পৌঁছাবে, যদিও তুমি সরাসরি দেখতে পাবে না।
MIT-এর এই নতুন ক্যামেরা হলো সেই টর্চলাইট এবং একটি বিশেষ “চোখ” এর সমন্বয়। এই “চোখ” দেয়ালের ওপাশ থেকে আসা ছড়িয়ে পড়া আলোকরশ্মিগুলোকে ধরে ফেলে। এরপর, কম্পিউটার সেই আলোকরশ্মিগুলো নিয়ে কাজ করে। কম্পিউটার এমনভাবে হিসেব করে যেন মনে হয় ওপাশে কী আছে তার একটি ছায়া বা অবয়ব তৈরি হচ্ছে।
এটা কিভাবে কাজ করে?
ভাবো তো, তুমি একটি অন্ধকার ঘরে বসে আছো এবং তোমার কাছে একটি টর্চলাইট আছে। তুমি দেয়ালের ওপাশে কি আছে তা দেখতে চাও। তুমি যদি টর্চলাইট দিয়ে দেয়ালকে আলোকিত করো, তাহলে দেয়ালের ওপাশে থাকা কোনো জিনিস আলোকে ফিরিয়ে দেবে। MIT-এর বিজ্ঞানীরা এই আলোকরশ্মিগুলো ধরতে পারেন।
তাদের এই প্রযুক্তি অনেকটা এরকম:
- আলো ফেলা: তারা একটি বিশেষ ধরনের আলো (যেমন লেজার) ব্যবহার করেন যা দেয়ালের ওপাশে যায়।
- আলোকরশ্মি ধরা: দেয়ালের ওপাশে থাকা কোনো বস্তু থেকে আলোকরশ্মিগুলো ফিরে আসে বা ছড়িয়ে পড়ে। এই নতুন “ক্যামেরা” সেই ছড়িয়ে পড়া আলোকরশ্মিগুলোকে ধরেন।
- কম্পিউটারকে বলা: কম্পিউটার খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে সেই ধরা পড়া আলোকরশ্মিগুলোর হিসেব করে। তারা বুঝতে পারে আলোকরশ্মিগুলো কোথা থেকে এসেছে, কিভাবে ছড়িয়েছে।
- আকৃতি তৈরি: এই হিসেব থেকে কম্পিউটার দেয়ালের ওপাশে থাকা জিনিসটির একটি ত্রিমাত্রিক (3D) নকশা বা আকৃতি তৈরি করতে পারে। ঠিক যেন একটি ছবির মতো!
এটা কেন এত দারুণ?
ভাবো তো, আমাদের চারপাশের কত কিছুই না লুকিয়ে থাকে!
- ডাক্তাররা: শরীরের ভেতরে কী হচ্ছে, তা দেখতে ডাক্তারদের এক্স-রে বা স্ক্যানের মতো প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়। এই নতুন প্রযুক্তি হয়তো ভবিষ্যতে আরও সহজে শরীরের ভেতরের জিনিস দেখতে সাহায্য করবে, যেমন টিউমার বা অন্য কোনো সমস্যা।
- পুলিশ বা উদ্ধারকারী দল: কোনো দুর্ঘটনায় আটকে পড়া মানুষদের খুঁজে বের করতে বা লুকিয়ে থাকা বিপদ শনাক্ত করতে এটা খুব কাজে লাগতে পারে।
- শিল্পীরা: দেয়ালের ওপারে কী আছে তা দেখে নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করতে পারেন।
- আমরা সবাই: হয়তো একদিন আমরা আমাদের খেলনাগুলো খুঁজে বের করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবো!
ভবিষ্যতের স্বপ্ন
MIT-এর বিজ্ঞানীরা এখনও এই প্রযুক্তির উন্নতি ঘটাচ্ছেন। তারা চান এই প্রযুক্তি যেন আরও বেশি স্পষ্ট এবং সহজে ব্যবহার করা যায়। একবার ভাবো তো, যদি এমন একটি ক্যামেরা থাকে যা দেয়াল, মাটি বা বরফের ওপারেও দেখতে পারে! এটি আমাদের পৃথিবী সম্পর্কে জানার এবং সমস্যা সমাধানের নতুন নতুন পথ খুলে দেবে।
বিজ্ঞানীদের এই উদ্ভাবন আমাদের দেখিয়ে দেয় যে, আমরা যদি উৎসুক হই এবং চেষ্টা করি, তবে আমরা অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারি। তাই, এইরকম নতুন নতুন আবিষ্কারের কথা জেনে আমাদের মন আরও বেশি বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে! কে জানে, হয়তো তোমার মধ্যে থেকেই কেউ একদিন এমন আরও দারুণ কিছু আবিষ্কার করবে!
New imaging technique reconstructs the shapes of hidden objects
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-01 04:00 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘New imaging technique reconstructs the shapes of hidden objects’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।