
গাছের রান্নাঘর: সূর্যালোক থেকে খাবার তৈরির এক নতুন জাদু!
MIT-এর বিজ্ঞানীরা যা আবিষ্কার করেছেন, তা জেনে অবাক হয়ে যাবে তোমার বন্ধুরা!
ধরো, গাছেরা হলো এক ধরনের জাদুঘর, যেখানে তারা সূর্যের আলো ব্যবহার করে নিজেদের জন্য খাবার তৈরি করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটাকে বলে সালোকসংশ্লেষ (photosynthesis)। এটা ঠিক যেন গাছের নিজস্ব রান্নাঘর, যেখানে ক্লোরোফিল নামের সবুজ রং ব্যবহার করে গাছের পাতা সূর্যের আলো, জল আর বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিয়ে মিষ্টি খাবার (চিনি) তৈরি করে। আর এই মিষ্টি খাবার খেয়েই গাছেরা বড় হয়, ফুল ফোটায়, ফল ধরে।
কিন্তু কখনো কি ভেবেছ, এই রান্নাটা আরও তাড়াতাড়ি বা আরও ভালোভাবে হতে পারত? MIT-এর কিছু সাহসী বিজ্ঞানী ঠিক এই কাজটিই করেছেন! তারা গাছের এই রান্নাঘরের একটি খুব দরকারি জিনিস – একটি এনজাইম (enzyme) – কে আরও শক্তিশালী করে তুলেছেন।
এনজাইম কী?
সহজ ভাষায়, এনজাইম হলো এক ধরনের ‘কাজের লোক’। এরা শরীরের ভেতরের বা গাছের ভেতরের রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো (chemical reactions) অনেক দ্রুত হতে সাহায্য করে। যেমন, আমরা যখন খাবার খাই, আমাদের হজম হতে এনজাইম লাগে। ঠিক তেমনই, সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় অনেকগুলো ছোট ছোট বিক্রিয়া হয়, আর সেগুলো হওয়ার জন্য এনজাইম দরকার।
MIT-এর বিজ্ঞানীরা কী করেছেন?
MIT-এর বিজ্ঞানীরা গাছের রান্নাঘরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এনজাইমগুলোর মধ্যে একটিকে নিয়ে গবেষণা করেছেন। এই এনজাইমটি বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড ধরে এনে খাবার তৈরির কাজে লাগায়। বিজ্ঞানীরা এমন কিছু করেছেন যাতে এই এনজাইমটি আরও বেশি করে কার্বন ডাই অক্সাইড ধরতে পারে এবং আরও দ্রুত কাজ করতে পারে।
এটা অনেকটা এরকম যে, তোমার খেলনার গাড়িটা যদি ব্যাটারিতে চলত, আর তুমি যদি এমন একটি ব্যাটারি আবিষ্কার করতে পারতে যা আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে গাড়িটাকে চালাতে পারে, তাহলে কেমন হত? MIT-এর বিজ্ঞানীরাও গাছের এই ‘আলো-চালিত গাড়ি’-র জন্য এমন একটি ‘বিশেষ ব্যাটারি’ (এনজাইম) তৈরি করেছেন।
এটা কেন এত জরুরি?
ভাবো তো, যদি গাছেরা আরও দ্রুত এবং বেশি খাবার তৈরি করতে পারে, তাহলে কী হবে?
- আরও বেশি খাবার: পৃথিবী অনেক বেশি খাবার পাবে। মানুষ, পশু-পাখি – সবাই উপকৃত হবে।
- পরিবেশের উন্নতি: গাছেরা বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে, যা পরিবেশের জন্য খুব ভালো। যদি গাছেরা আরও বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করতে পারে, তাহলে পৃথিবীর পরিবেশ আরও পরিষ্কার থাকবে।
- ভবিষ্যতের জন্য আশা: জলবায়ু পরিবর্তন (climate change) নিয়ে আমরা অনেকেই চিন্তিত। এই আবিষ্কার আমাদের ভবিষ্যৎকে আরও সুরক্ষিত করতে সাহায্য করতে পারে।
এটা কিভাবে সম্ভব হল?
MIT-এর বিজ্ঞানীরা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। তারা এনজাইমটির গঠন (structure) নিয়ে অনেক পড়াশোনা করেছেন এবং কোন অংশে পরিবর্তন আনলে এটি আরও ভালো কাজ করবে, তা খুঁজে বের করেছেন। তারপর তারা সেই পরিবর্তনগুলো করেছেন। অনেকটা খেলনা বানানোর সময় যেমন আমরা ভাঙা অংশ ঠিক করি বা নতুন অংশ লাগাই, তেমনি তারা এনজাইমটির ‘ভেতরের নকশা’ বদলে দিয়েছেন।
তোমার জন্য কী মানে রাখে?
এই আবিষ্কার আমাদের শেখায় যে, বিজ্ঞান কত শক্তিশালী! ছোট্ট একটি জিনিস নিয়ে গভীর গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা পুরো পৃথিবীর জন্য দারুণ কিছু করতে পারেন। এই খবরটি যেন তোমাকে মনে করিয়ে দেয় যে, প্রকৃতি কত সুন্দর এবং এর রহস্যগুলো জানতে পারাটা কতটা রোমাঞ্চকর!
তুমি যদি গাছদের নিয়ে, বা সূর্যের আলো নিয়ে, বা ছোট্ট একটি অণুর (molecule) কাজ নিয়ে কৌতুহলী হও, তাহলে তুমিও একদিন এমন কিছু আবিষ্কার করতে পারো যা পৃথিবীর অনেক বড় সমস্যার সমাধান করবে! তাই, বিজ্ঞানের প্রতি তোমার এই আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে তোলো। কে জানে, হয়তো তুমিই হবে পরবর্তী সেরা বিজ্ঞানী!
MIT chemists boost the efficiency of a key enzyme in photosynthesis
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-07 18:00 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘MIT chemists boost the efficiency of a key enzyme in photosynthesis’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।