
বাংলাদেশ সরকার পোশাক শিল্পের জন্য একটি বড় স্বস্তি: আমদানি করা কাঁচামালের উপর অগ্রিম কর্পোরেট কর বাতিল
জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (JETRO) এর সূত্র অনুযায়ী, আগামী ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশ সরকার তার দেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই সিদ্ধান্তে, আমদানি করা কাঁচামালের উপর পূর্বে আরোপিত অগ্রিম কর্পোরেট কর (advance corporate tax) সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশি পোশাক শিল্প, যা দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি, সেটিকে নতুনভাবে শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রেক্ষাপট:
বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে তৈরি পোশাকের অন্যতম বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। এই শিল্প দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, দেশের বেশিরভাগ পোশাক তৈরির উপাদান, যেমন – সুতো, কাপড় এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র – বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এই আমদানিকৃত কাঁচামালের উপর পূর্বে অগ্রিম কর্পোরেট কর আরোপ করা হত, যা আমদানিকারকদের জন্য একটি অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা সৃষ্টি করত।
এই করের প্রভাব:
- ব্যবসায়িক খরচ বৃদ্ধি: অগ্রিম কর্পোরেট কর আমদানিকারকদের তাদের পণ্যের উপর অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে বাধ্য করত, যা সরাসরি উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিত।
- প্রতিযোগিতা হ্রাস: বর্ধিত উৎপাদন খরচের কারণে বাংলাদেশি পোশাক শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের প্রতিযোগিতামূলকতা হারাচ্ছিল। অন্য দেশগুলো, যেখানে কাঁচামাল আমদানির উপর এই ধরনের কর নেই, তারা তুলনামূলকভাবে কম দামে পোশাক সরবরাহ করতে সক্ষম হচ্ছিল।
- বিনিয়োগে বাধা: এই করের বোঝা নতুন বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করতে পারত এবং বিদ্যমান ব্যবসায়ীদের সম্প্রসারণে বাধা সৃষ্টি করত।
- তরলতার সমস্যা: আমদানিকারকদের অগ্রিম কর পরিশোধ করতে হত, যা তাদের হাতে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ কমিয়ে দিত এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমে তরলতার সমস্যা তৈরি করত।
নতুন সিদ্ধান্তের তাৎপর্য:
বাংলাদেশ সরকারের এই নতুন সিদ্ধান্তটি একাধিক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে:
- ব্যবসায়িক খরচ হ্রাস: কাঁচামাল আমদানির উপর কর মওকুফের ফলে উৎপাদন খরচ সরাসরি কমে আসবে।
- প্রতিযোগিতামূলকতা বৃদ্ধি: খরচ কমে যাওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশি পোশাক শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে। এটি রপ্তানি বাড়াতে এবং নতুন বাজার খুঁজে পেতে সহায়ক হবে।
- বিনিয়োগ আকর্ষণ: এই উদার নীতি বিদেশি এবং দেশীয় বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে, যা শিল্পকে আরও সম্প্রসারিত করতে এবং নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে উৎসাহিত করবে।
- ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা: বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো, যাদের মূলধনের অভাব থাকে, তারা এই সিদ্ধান্ত থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। তাদের উপর করের বোঝা কমবে এবং তারা আরও সহজে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে।
- কর্মসংস্থান সৃষ্টি: শিল্পের সম্প্রসারণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনাও অনেক বেশি।
- রপ্তানি আয় বৃদ্ধি: প্রতিযোগিতামূলকতা বাড়লে রপ্তানি আয় বাড়বে, যা দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
JETRO এর ভূমিকা:
জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (JETRO) নিয়মিতভাবে জাপানের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করতে বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার করে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উপর আরোপিত কর সংক্রান্ত তাদের প্রতিবেদনটি এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরোক্ষভাবে হলেও সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলে অনুমান করা যায়। JETRO-র মতো সংস্থার তথ্য সরবরাহ বিশ্ব অর্থনীতিতে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করতে এবং দেশগুলোকে সঠিক নীতি গ্রহণে সহায়তা করে।
উপসংহার:
বাংলাদেশ সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তটি দেশের পোশাক শিল্পের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। কাঁচামাল আমদানির উপর অগ্রিম কর্পোরেট কর বাতিল করার মাধ্যমে সরকার তার শিল্পখাতকে শক্তিশালী করার এবং বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখার জন্য তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। এটি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং রপ্তানি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।
バングラデシュ政府、繊維原料の輸入に対する前払い法人税を撤廃
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-22 07:00 এ, ‘バングラデシュ政府、繊維原料の輸入に対する前払い法人税を撤廃’ 日本貿易振興機構 অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।