
দুই চোখে দেখি, কত মজা! আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে শেখে?
** MIT’র বিজ্ঞানীরা এক দারুণ আবিষ্কার করেছেন!**
ভাবো তো, তুমি যখন কোনো জিনিস দেখো, তখন তোমার দুই চোখ কী সুন্দরভাবে একসাথে কাজ করে! এই যে তুমি বই পড়ছো, খেলনা দিয়ে খেলছো, বা দূরের পাহাড় দেখছো – সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে তোমার দুই চোখের সুন্দর সমন্বয়ের জন্য। কিন্তু এই সমন্বয়টি হয় কীভাবে? আমাদের মস্তিষ্ক কি জন্ম থেকেই এটা জানে, নাকি শেখে?
MIT (ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি) এর বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এই রহস্যের সমাধান খুঁজে বের করেছেন। তারা দেখেছেন যে, আমাদের মস্তিষ্ক আসলে এটা শেখে! ঠিক যেমন তোমরা স্কুলে নতুন জিনিস শেখো, তেমনি আমাদের মস্তিষ্কও নতুন নতুন সংযোগ তৈরি করে এই কাজটি করে।
কীভাবে এই শেখা হয়?
এটা অনেকটা খেলনা ব্লক দিয়ে বাড়ি বানানোর মতো। আমাদের মস্তিষ্কে কোটি কোটি নিউরন (ছোট ছোট কোষ) আছে, যারা একে অপরের সাথে কথা বলে। যখন আমরা ছোট থাকি, তখন এই নিউরনগুলোর মধ্যে সংযোগগুলো ঠিক স্পষ্ট থাকে না। কিন্তু যখন আমরা চারপাশের জগত দেখতে শুরু করি, তখন এই নিউরনগুলো একে অপরের সাথে “কথা বলতে” শুরু করে।
MIT-এর বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, এই কথা বলার সময়, কিছু নিউরন একে অপরের সাথে আরও শক্তভাবে জড়িয়ে যায়, আর কিছু নিউরন আস্তে আস্তে আলগা হয়ে যায়। এটা অনেকটা একটা দল তৈরি করার মতো, যেখানে যারা একসাথে ভালো কাজ করে, তারা একসাথে থাকে, আর যারা তেমনটা করে না, তারা নিজেদের পথে চলে যায়।
ধরো, তুমি যখন রং পেন্সিল দিয়ে ছবি আঁকছো। তোমার এক চোখ হয়তো একটু বেশি লাল রং দেখছে, অন্য চোখ হয়তো একটু বেশি নীল। কিন্তু তোমার মস্তিষ্ক এই দুটি ছবিকে একসাথে মিলিয়ে দেয়। আর এই মেলানোর কাজটিই হয় এই নিউরনের সংযোগগুলো আরও শক্তিশালী হওয়ার মাধ্যমে।
একটি বিশেষ “ফ্যাশন শো”
বিজ্ঞানীরা এই প্রক্রিয়াটিকে “ফ্যাশন শো”-এর সাথে তুলনা করেছেন! ভাবো তো, নিউরনগুলো একে অপরের কাছে নিজেদের “স্টাইল” বা “সংকেত” নিয়ে আসে। যে সংকেতগুলো ভালো এবং একসাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারে, সেগুলোকে “নির্বাচন” করা হয় এবং তাদের মধ্যে আরও দৃঢ় সংযোগ তৈরি হয়। আর যে সংকেতগুলো মিলছে না, সেগুলো বাদ পড়ে যায়।
এই “ফ্যাশন শো” বারবার চলতে থাকে, যতক্ষণ না তোমার দুটি চোখ একসাথে নিখুঁতভাবে কাজ করতে শেখে। আর এভাবেই তুমি গভীরতা বুঝতে পারো, দূরত্ব মাপতে পারো, এবং সবকিছু পরিষ্কারভাবে দেখতে পাও।
কেন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই আবিষ্কারটি আমাদের বুঝতে সাহায্য করে যে, আমাদের মস্তিষ্ক কতটা নমনীয় (flexible)। এর মানে হলো, আমরা নতুন জিনিস শিখতে এবং আমাদের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারি। এটি কেবল চোখে দেখাই নয়, আমরা কীভাবে শুনি, কথা বলি, বা কোনো কিছু মনে রাখি – এই সবকিছুর জন্যই আমাদের মস্তিষ্ক এভাবে নতুন সংযোগ তৈরি করে।
তোমরা, ছোট্ট বিজ্ঞানীরা!
বিজ্ঞানীরা এই আবিষ্কারটি করেছেন কারণ তারা প্রশ্ন করতে ভয় পাননি। তোমরাও যখন কিছু নিয়ে অবাক হও, তখনই বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়। কেন আকাশ নীল? কেন বৃষ্টি পড়ে? কেন পাখি উড়ে? এই প্রশ্নগুলোই তোমাদেরকে বড় বিজ্ঞানী হতে সাহায্য করবে।
এই আবিষ্কারটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদের মস্তিষ্ক একটি অবিশ্বাস্য জিনিস। এটি প্রতিনিয়ত শিখছে এবং নিজেকে উন্নত করছে। তাই, নতুন জিনিস শিখতে থাকো, প্রশ্ন করতে থাকো, এবং বিজ্ঞানের এই মজার জগতে হারিয়ে যাও! কে জানে, হয়তো একদিন তোমরাই এমন কোনো দারুণ আবিষ্কার করবে যা পুরো বিশ্বকে অবাক করে দেবে!
Connect or reject: Extensive rewiring builds binocular vision in the brain
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-15 20:25 এ, Massachusetts Institute of Technology ‘Connect or reject: Extensive rewiring builds binocular vision in the brain’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।