আমাদের চারপাশের জগতকে সুন্দর করার এক জাদুকর!,Lawrence Berkeley National Laboratory


আমাদের চারপাশের জগতকে সুন্দর করার এক জাদুকর!

বিজ্ঞানীদের গল্প, যা আমাদের আরও সাহসী করে তুলবে!

বন্ধুরা, তোমরা কি কখনো ভেবে দেখেছ যে আমাদের চারপাশের জিনিসগুলো, যেমন – ওষুধ, জ্বালানি, এমনকি প্লাস্টিক তৈরির উপাদানগুলো কোথা থেকে আসে? এই সবকিছুই তৈরি হয় বিশেষ কিছু জিনিস দিয়ে, যা আমরা প্রকৃতিতে খুঁজে পাই। কিন্তু অনেক সময় এই জিনিসগুলো পেতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়, অথবা পরিবেশেরও ক্ষতি হয়।

ভাবো তো, যদি এমন কোনো উপায় থাকত যে আমরা খুব সহজেই, কম খরচে এবং পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে এই দরকারি জিনিসগুলো তৈরি করতে পারতাম! হ্যাঁ, বিজ্ঞানীরা ঠিক এটাই করার চেষ্টা করছেন। আর এই চেষ্টাগুলোর মধ্যে একজন বিশেষভাবে সফল হয়েছেন, যা শুনে আমরা সবাই আনন্দিত হতে পারি!

Jay Keasling – এক নতুন যুগের বিজ্ঞানী!

সম্প্রতি, আমাদের একজন মহান বিজ্ঞানী, যার নাম Jay Keasling, একটি খুব বড় পুরস্কার জিতেছেন। এই পুরস্কারটির নাম হলো “২০২৫ ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি/ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ ইনভেন্টরস ইনোভেটর অফ দ্য ইয়ার”। এটা অনেকটা সেরা খেলোয়াড় বা সেরা শিল্পীকে যেমন পুরস্কার দেওয়া হয়, তেমনি বিজ্ঞানীদের তাদের অসাধারণ কাজের জন্য দেওয়া একটি অনেক বড় সম্মান।

Jay Keasling কী করেন?

Jay Keasling হলেন একজন বায়োটেকনোলজিস্ট (Biotechnologist)। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, তিনি জীবন্ত জিনিস, যেমন – ব্যাকটেরিয়া বা ইস্ট (yeast)-এর মতো ছোট ছোট অণুজীবকে ব্যবহার করে আমাদের দরকারি জিনিস তৈরি করার উপায় খুঁজে বের করেন।

ধরো, তোমার শরীরে জ্বর হলে ডাক্তার তোমাকে ওষুধ দেয়। এই ওষুধগুলো সাধারণত বিশেষ গাছ বা অন্য কোনো উৎস থেকে তৈরি হয়। কিন্তু Jay Keasling এবং তার দল এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া বা ইস্ট তৈরি করেছেন, যারা নিজেরাই এই ওষুধ তৈরি করতে পারে! এটা কিAwesome নয়?

কীভাবে করেন তিনি এই জাদু?

তোমরা যেমন ছবি আঁকার সময় রং ব্যবহার করো, বা কেক বানানোর সময় ডিম, ময়দা, চিনি ব্যবহার করো, তেমনি Jay Keasling অণুজীবদের শরীরের ভেতরে থাকা কিছু নির্দেশনা (genes) পরিবর্তন করে দেন। ঠিক যেমন আমরা কোনো খেলার নিয়ম বদলে দিলে খেলাটা অন্যরকম হয়ে যায়, তেমনি এই নির্দেশনাগুলো বদলে দিলে অণুজীবগুলো অন্য কিছু তৈরি করা শুরু করে।

তিনি যে কাজগুলো করেছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো আর্টেমিসিনিন (Artemisinin) নামে একটি ওষুধ তৈরি। এই ওষুধটি ম্যালেরিয়া নামক রোগ সারাতে খুব দরকারি। আগে এই ওষুধটি তৈরি করতে অনেক খরচ হতো এবং গাছ থেকেও এটি পাওয়া কঠিন ছিল। কিন্তু Jay Keasling এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যেখানে ছোট ছোট অণুজীবরাই এই ওষুধ তৈরি করতে পারে। এর ফলে এখন অনেক বেশি মানুষ, বিশেষ করে গরিব দেশগুলোর মানুষ, এই জীবনদায়ী ওষুধটি কম দামে পাচ্ছে।

আরও কী করেন তিনি?

শুধুমাত্র ওষুধ নয়, Jay Keasling এমন জ্বালানি (fuel) তৈরির পদ্ধতিও নিয়ে কাজ করছেন যা পরিবেশবান্ধব। যেমন, তিনি এমন সব উপায়ে কাজ করছেন যাতে আমরা পেট্রোল বা ডিজেলের পরিবর্তে গাছ বা অন্য প্রাকৃতিক জিনিস থেকে তৈরি জ্বালানি ব্যবহার করতে পারি। এতে আমাদের পৃথিবীর বাতাস দূষণ কম হবে এবং আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী রেখে যেতে পারব।

কেন আমরা Jay Keasling-এর কাছ থেকে শিখব?

Jay Keasling-এর গল্প আমাদের শেখায় যে:

  • কখনো আশা ছেড়ো না: তিনি অনেক বছর ধরে গবেষণা করেছেন এবং অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি।
  • ছোট জিনিসও অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে: তোমরা যেমন ছোট্ট একটি বীজ থেকে বড় গাছ হয় দেখো, তেমনি Jay Keasling ছোট ছোট অণুজীবদের দিয়ে বড় বড় সমস্যার সমাধান করছেন।
  • বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে সহজ ও সুন্দর করে: তিনি বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে মানুষের অনেক কষ্ট দূর করছেন এবং আমাদের পৃথিবীকে আরও ভালো জায়গায় পরিণত করছেন।

তোমার মধ্যেও আছে এই ক্ষমতা!

বন্ধুরা, Jay Keasling-এর মতো বিজ্ঞানীরা আমাদের দেখিয়েছেন যে, বিজ্ঞান কতটা শক্তিশালী এবং কতটা মজাদার হতে পারে। তোমরা যারা এই লেখাটি পড়ছো, তোমাদের মধ্যেও হয়তো লুকিয়ে আছে এমন কোনো প্রতিভা। তোমরা আজ থেকেই বিজ্ঞান নিয়ে ভাবতে শুরু করো, প্রকৃতির নিয়মগুলো বোঝার চেষ্টা করো। হয়তো tomorrow-এর কোনো বড় বিজ্ঞানী হবে তুমি, যে আমাদের পৃথিবীর জন্য আরও অনেক নতুন নতুন আবিষ্কার নিয়ে আসবে!

সুতরাং, চলো আমরা সবাই মিলে বিজ্ঞানকে ভালোবাসি এবং আমাদের চারপাশের জগতকে আরও সুন্দর করার স্বপ্ন দেখি!


Jay Keasling Named 2025 Department of Energy/National Academy of Inventors Innovator of the Year


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-06-25 19:01 এ, Lawrence Berkeley National Laboratory ‘Jay Keasling Named 2025 Department of Energy/National Academy of Inventors Innovator of the Year’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন