USA:প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প কর্তৃক ‘জিনিয়াস অ্যাক্ট’ স্বাক্ষর: আমেরিকার উদ্ভাবনী ভবিষ্যতের পথে এক নতুন অধ্যায়,The White House


প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প কর্তৃক ‘জিনিয়াস অ্যাক্ট’ স্বাক্ষর: আমেরিকার উদ্ভাবনী ভবিষ্যতের পথে এক নতুন অধ্যায়

ভূমিকা: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প ১৮ই জুলাই, ২০২৫ তারিখে ‘জিনিয়াস অ্যাক্ট’ (GENIUS Act) স্বাক্ষর করে আইন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের এক তথ্যপত্রীতে এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাটি প্রচারিত হয়। এই আইনটি আমেরিকার উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে, যা একদিকে যেমন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত (STEM) ক্ষেত্রে গবেষণাকে ত্বরান্বিত করবে, তেমনই নতুন প্রজন্মের উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করবে। এই আইনটিকে আমেরিকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

‘জিনিয়াস অ্যাক্ট’ এর মূল উদ্দেশ্য: ‘জিনিয়াস অ্যাক্ট’ এর প্রধান লক্ষ্য হলো আমেরিকার উদ্ভাবনী ক্ষেত্রকে আরও উন্নত করা। এর মাধ্যমে উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন গবেষণা ও উন্নয়নে (R&D) বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হবে। বিশেষ করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বায়োটেকনোলজি, এবং নবায়নযোগ্য শক্তির মতো অত্যাধুনিক ক্ষেত্রগুলিতে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে। আইনটির মাধ্যমে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে, যার ফলে জ্ঞান ও প্রযুক্তির আদান-প্রদান সহজ হবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরই উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির প্রসারে আগ্রহী। তিনি বিশ্বাস করেন যে, আমেরিকার অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন। ‘জিনিয়াস অ্যাক্ট’ স্বাক্ষর করার পর হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত তথ্যপত্রীতে বলা হয়েছে যে, এই আইনটি আমেরিকার অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতামূলকতা বৃদ্ধি করবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আমেরিকার অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতে, এই আইন আমেরিকার কর্মীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এবং দেশের প্রযুক্তিগত নেতৃত্বকে অক্ষুণ্ণ রাখবে।

আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্য: ‘জিনিয়াস অ্যাক্ট’ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো:

  • গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি: STEM ক্ষেত্রগুলিতে গবেষণার জন্য সরকারি অনুদান এবং অর্থায়ন বাড়ানো হবে।
  • উদ্ভাবকদের জন্য সহায়তা: নতুন উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তাদের জন্য মেন্টরশিপ, প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
  • শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকীকরণ: স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে STEM শিক্ষা জোরদার করা হবে এবং শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করানো হবে।
  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: অন্যান্য দেশের সাথে প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং গবেষণার আদান-প্রদানের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে।
  • কৌশলগত শিল্পের সুরক্ষা: জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগুলি যাতে কোনো বিদেশী শক্তির হাতে না পড়ে, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রভাব ও প্রত্যাশা: ‘জিনিয়াস অ্যাক্ট’ আমেরিকার জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই আইন শুধু গবেষণার ক্ষেত্রেই নয়, বরং শিক্ষা, অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নতুন প্রজন্মের উদ্ভাবকদের অনুপ্রাণিত করে, আমেরিকা প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত হবে এবং বিশ্বজুড়ে নেতৃত্ব দেবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই উদ্যোগ আমেরিকার ভবিষ্যতের জন্য এক সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

উপসংহার: ‘জিনিয়াস অ্যাক্ট’ এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প আমেরিকার উদ্ভাবনী ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। এই আইনটি দেশের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আমেরিকার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করবে।


Fact Sheet: President Donald J. Trump Signs GENIUS Act into Law


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:

‘Fact Sheet: President Donald J. Trump Signs GENIUS Act into Law’ The White House দ্বারা 2025-07-18 21:05 এ প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ নরম সুরে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় শুধুমাত্র নিবন্ধ সহ উত্তর দিন।

মন্তব্য করুন