ব্রেইনওয়াশিং: ‘দ্য ম্যানচুরিয়ান ক্যান্ডিডেট’-এর মতো কি সত্যি সম্ভব?,Harvard University


ব্রেইনওয়াশিং: ‘দ্য ম্যানচুরিয়ান ক্যান্ডিডেট’-এর মতো কি সত্যি সম্ভব?

সময়: 2025-06-16, 17:35 প্রকাশক: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়: ব্রেইনওয়াশিং – ‘দ্য ম্যানচুরিয়ান ক্যান্ডিডেট’-এর মতো কি সত্যি সম্ভব?

তোমরা কি কখনো ‘দ্য ম্যানচুরিয়ান ক্যান্ডিডেট’ সিনেমার কথা শুনেছো? এটি একটি পুরনো কিন্তু খুবই জনপ্রিয় সিনেমা। এই সিনেমায় এমন কিছু সৈনিকের গল্প বলা হয়েছে যাদের বিশেষ কিছু প্রযুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যেন তারা রোবট। তারা কী করবে, কখন করবে, সবকিছুই অন্য কেউ ঠিক করে দেয়! ভাবা যায়?

এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই মজার কিন্তু একটু ভয়ের প্রশ্নটা নিয়েই গবেষণা করেছেন। তারা জানতে চেয়েছেন, ‘দ্য ম্যানচুরিয়ান ক্যান্ডিডেট’-এর মতো ব্রেইনওয়াশিং কি আসলেই সম্ভব?

ব্রেইনওয়াশিং কী?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ব্রেইনওয়াশিং হলো কারও চিন্তাভাবনা, বিশ্বাস এবং আচরণকে পরিবর্তন করে দেওয়ার একটি চেষ্টা। এটি সাধারণত জোর করে বা অন্য কোনো কৌশলের মাধ্যমে করা হয়। অনেক সময় মানুষ মনে করে তারা নিজেরাই কিছু ভাবছে বা করছে, কিন্তু আসলে তাদের সেই চিন্তা বা কাজগুলো অন্য কারও দ্বারা প্রভাবিত।

‘দ্য ম্যানচুরিয়ান ক্যান্ডিডেট’ কী দেখায়?

এই সিনেমায় দেখানো হয় যে, কিছু সৈনিককে এক বিশেষ ধরনের সম্মোহনের মাধ্যমে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় যে তারা একটি নির্দিষ্ট সংকেত পেলেই নির্দেশ পালন করতে বাধ্য হয়। তারা আসলে কী করছে তা পর্যন্ত বুঝতে পারে না। যেন তাদের মনটা অন্য কারও দখলে চলে গেছে।

হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা কী বলছেন?

হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা এই সিনেমার ধারণাটিকে বিজ্ঞানের চোখে দেখেছেন। তারা বলছেন, ‘দ্য ম্যানচুরিয়ান ক্যান্ডিডেট’-এর মতো অতটা সরাসরি এবং শক্তিশালী ব্রেইনওয়াশিং, যেখানে একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণভাবে রোবটের মতো কাজ করে, সেটা বাস্তবে এখনই সম্ভব নয়। কারণ মানুষের মন এত সহজ নয়।

তবে, বিজ্ঞানীরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন:

  • মনোযোগ ও প্রভাবিত করা: আমরা সবাই অন্য মানুষের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারি। বিশেষ করে যখন আমরা কোনো বিষয়ে অনেক মনোযোগ দেই বা কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে থাকি। সিনেমা, বিজ্ঞাপন, বা বন্ধুদের কথা – এসবই আমাদের চিন্তাভাবনাকে অনেক সময় বদলে দেয়।
  • তথ্য বিকৃতি: অনেক সময় কিছু মানুষ ভুল তথ্য বা অর্ধসত্য দিয়ে অন্যদের মনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। যদি কেউ এই ভুল তথ্যগুলো সত্যি বলে বিশ্বাস করে, তাহলে তার চিন্তাভাবনা বদলে যেতে পারে।
  • ভয়ের ব্যবহার: কিছু মানুষ ভয় দেখিয়ে বা ভয় তৈরি করে অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ভয়ের কারণে মানুষ অনেক সময় যুক্তিসঙ্গতভাবে চিন্তা করতে পারে না এবং সহজে প্রভাবিত হয়ে পড়ে।
  • প্রযুক্তি ও মন: বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদিও সরাসরি রোবট বানানোর মতো ব্রেইনওয়াশিং সম্ভব নয়, তবে নতুন নতুন প্রযুক্তি, যেমন – উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা বা নির্দিষ্ট কিছু মানসিক উপাদানের ব্যবহার করে মানুষের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে এটি অনেক জটিল এবং এখনো গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে।

বিজ্ঞান কি আমাদের আরও জানতে সাহায্য করছে?

হ্যাঁ! হার্ভার্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন এই ধরনের বিষয় নিয়ে গবেষণা করে, তখন আমরা আমাদের মন এবং তার কাজ সম্পর্কে আরও অনেক কিছু শিখতে পারি।

  • মনোবিজ্ঞান: এই গবেষণাগুলো আমাদের মন কীভাবে কাজ করে, আমরা কেন কিছু বিশ্বাস করি, এবং কেন আমরা নির্দিষ্ট কিছু আচরণ করি – এসব বুঝতে সাহায্য করে।
  • সমাজবিজ্ঞান: কীভাবে সমাজ বা গোষ্ঠীগত চাপ আমাদের প্রভাবিত করে, বা কীভাবে ভুল তথ্য সমাজে ছড়িয়ে পড়ে – এসবও আমরা জানতে পারি।
  • প্রযুক্তি: ভবিষ্যতে আমরা হয়তো এমন প্রযুক্তি দেখতে পাব যা আমাদের মনকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে, কিন্তু সেই প্রযুক্তি যেন ক্ষতিকর না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

তোমাদের জন্য প্রশ্ন:

তোমরা কি কখনো এমন কিছু দেখেছো বা শুনেছো যা তোমাদের মনে হয়েছে যে এটি আসলে তোমার নিজের চিন্তা নয়, বরং অন্য কেউ তোমাকে এটা ভাবতে বাধ্য করছে?

‘দ্য ম্যানচুরিয়ান ক্যান্ডিডেট’-এর মতো হয়তো এখন ব্রেইনওয়াশিং সম্ভব নয়, কিন্তু আমাদের নিজেদের মনকে বোঝা এবং কোন তথ্য সত্যি বা মিথ্যা তা যাচাই করা খুব জরুরি। বিজ্ঞান আমাদের এই শেখার পথেই এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই, সবসময় প্রশ্ন করো, জানার চেষ্টা করো, এবং নিজের মনকে বিকশিত করো!


Brainwashing? Like ‘The Manchurian Candidate’?


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-06-16 17:35 এ, Harvard University ‘Brainwashing? Like ‘The Manchurian Candidate’?’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন