বিজ্ঞানীদের নতুন খেলার মাঠ: ২০২৬ সালের ইউরোপীয় গবেষণা পরিষদের (ERC) কাজের পরিকল্পনা প্রকাশিত!,Hungarian Academy of Sciences


বিজ্ঞানীদের নতুন খেলার মাঠ: ২০২৬ সালের ইউরোপীয় গবেষণা পরিষদের (ERC) কাজের পরিকল্পনা প্রকাশিত!

তোমরা কি কখনো সুপারহিরোদের কথা শুনেছো? যারা নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করেন, পৃথিবীর রহস্যের সমাধান করেন আর আমাদের জীবনকে আরও সহজ করে তোলেন? বিজ্ঞানীরাও অনেকটা সেরকমই! আর ইউরোপীয় গবেষণা পরিষদ (ERC) হলো এমন একটি দারুণ জায়গা যেখানে এই বিজ্ঞানীরা তাদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং সাহসী সব বৈজ্ঞানিক অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা করেন।

সম্প্রতি, ১৪ জুলাই, ২০২৫ তারিখে, হাঙ্গেরির বিজ্ঞান একাডেমী একটি দারুণ খবর ঘোষণা করেছে: ২০২৬ সালের ERC কাজের পরিকল্পনা প্রকাশিত হয়েছে! এর মানে হলো, আগামী বছর ইউরোপের সেরা সেরা বিজ্ঞানীরা কোন কোন বিষয়ে গবেষণা করবেন, কোন কোন বড় বড় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করবেন, তার একটি তালিকা তৈরি হয়ে গেছে।

ERC কী? কেন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ?

চলো, এটাকে একটা বিশাল বৈজ্ঞানিক “টু-ডু লিস্ট” বা “অভিযান তালিকা” হিসেবে ভাবি। ERC ইউরোপের সবচেয়ে মেধাবী এবং সৃজনশীল বিজ্ঞানীদের খুঁজে বের করে এবং তাদের এমন সব গবেষণা করার জন্য টাকা ও সমর্থন দেয় যা হয়তো আগে কেউ ভাবেনি। এটা অনেকটা এমন যে, তুমি তোমার পছন্দের যেকোনো খেলার নিয়ম নিজে তৈরি করতে পারো এবং সেই খেলাটা খেলতে তোমার যা যা দরকার, সব ERC তোমাকে দেবে!

ERC-র মূল লক্ষ্য হলো নতুন এবং মৌলিক গবেষণা। এর মানে হলো, তারা এমন সব বিষয় নিয়ে গবেষণা করে যা আমাদের জানা জগতটাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে। এটা হতে পারে মহাকাশের গভীরে কি আছে তা জানা, বা আমাদের শরীরের ভেতরের সবচেয়ে ছোট কোষগুলো কীভাবে কাজ করে তা বোঝা, অথবা পরিবেশকে আরও সুন্দর রাখার নতুন উপায় খোঁজা।

২০২৬ সালের পরিকল্পনায় কী কী থাকতে পারে? (অনুমানভিত্তিক, কারণ বিস্তারিত এখনো সব প্রকাশিত হয়নি)

ERC-র কাজের পরিকল্পনায় সাধারণত বিভিন্ন শাখার বিজ্ঞানীদের জন্য সুযোগ থাকে। চলো দেখে নিই, কোন কোন বিষয়ে গবেষণা হতে পারে, যা তোমাদেরও দারুণ লাগতে পারে:

  • মহাকাশ ও গ্রহ-নক্ষত্রের রহস্য: তোমরা কি কখনো রাতের আকাশে তারা দেখেছো? ERC হয়তো নতুন টেলিস্কোপ বা মহাকাশযান বানাতে সাহায্য করবে যা আরও দূরের নক্ষত্র বা অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তা খুঁজতে পারবে। হয়তো আমরা মঙ্গল গ্রহে পৌঁছানোর নতুন উপায়ও খুঁজে পাবো!

  • জীবনের গোপন সূত্র: আমাদের শরীর এবং অন্যান্য প্রাণীরা কীভাবে তৈরি হয়, কীভাবে তারা বড় হয়, রোগ প্রতিরোধ করে – এই সবকিছুর পেছনে অনেক গোপন সূত্র আছে। ERC হয়তো এমন গবেষণা করবে যা আমাদের শরীরের সবচেয়ে ছোট জীবন্ত অংশ, অর্থাৎ কোষগুলোকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। এর ফলে আমরা হয়তো নতুন ওষুধ বা চিকিৎসার উপায়ও খুঁজে পাবো।

  • পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন: আমাদের পৃথিবী এখন একটু গরম হয়ে যাচ্ছে। ERC হয়তো এমন নতুন প্রযুক্তি বা উপায় খুঁজবে যা পরিবেশকে পরিষ্কার রাখতে, দূষণ কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। হয়তো আমরা এমন গাড়ি বা বিদ্যুৎ তৈরির পদ্ধতিও আবিষ্কার করবো যা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে না।

  • নতুন নতুন প্রযুক্তি: বিজ্ঞানীরা সবসময় নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে চান। ERC হয়তো এমন প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করবে যা ভবিষ্যতে আমাদের জীবনকে আরও সহজ করে দেবে – যেমন, আরও উন্নত রোবট, যা আমাদের ঘরের কাজ করে দেবে, অথবা এমন কম্পিউটার যা অনেক দ্রুত তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারবে।

  • মানব মন এবং সমাজ: শুধু কি আমরা বাইরের জগৎ নিয়েই গবেষণা করবো? না! ERC মানুষের মন কীভাবে কাজ করে, আমরা কীভাবে শিখি, কীভাবে যোগাযোগ করি – এসব বিষয় নিয়েও গবেষণা করতে পারে। হয়তো আমরা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবো কেন আমরা এমন কিছু করি বা ভাবি।

শিশু এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এর মানে কী?

এই খবরটি তোমাদের জন্য খুবই উৎসাহজনক! কারণ,

  • বিজ্ঞানের নতুন দরজা: ERC-র এই পরিকল্পনায় এমন সব গবেষণা অন্তর্ভুক্ত থাকবে যা হয়তো আজকের দিনে আমাদের কাছে অচিন্তনীয়। কিন্তু যারা এই গবেষণাগুলো করবে, তারা হয়তো আগামী দিনের সুপারহিরো হবে!
  • তোমারও সুযোগ আছে: আজ তুমি হয়তো বই পড়ছো বা স্কুল প্রজেক্ট করছো। কিন্তু ভবিষ্যতে, তুমিও হয়তো এই ERC-র অংশ হতে পারো! যদি তোমার বিজ্ঞানে আগ্রহ থাকে, তবে আজ থেকেই প্রশ্ন করা শুরু করো, নতুন জিনিস শেখো। কে জানে, তোমার আবিষ্কার হয়তো একদিন ERC-র তালিকায় যুক্ত হবে!
  • আশ্চর্য হওয়ার জন্য তৈরি হও: যখন এই গবেষণাগুলো প্রকাশিত হবে, তখন আমরা সবাই অবাক হয়ে যাবো। আমরা জানবো যে, আমাদের এই বিশাল পৃথিবীতে কত রহস্য লুকিয়ে আছে, আর বিজ্ঞানীরা সেই রহস্যগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরছেন।

কীভাবে তুমি আরও জানতে পারবে?

ERC-র ওয়েবসাইটে (mta.hu) এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। তোমরা যখন বড় হবে, তখন এই ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে সরাসরি বিজ্ঞানীদের কাজ সম্পর্কে জানতে পারবে।

বিজ্ঞান হলো এক দারুণ অ্যাডভেঞ্চার! ERC-র এই নতুন কাজের পরিকল্পনা সেই অ্যাডভেঞ্চারেরই নতুন একটি অংশ। চলো, আমরা সবাই এই বৈজ্ঞানিক যাত্রার অংশ হয়ে উঠি এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করার স্বপ্ন দেখি!


Megjelent a 2026. évi ERC Munkaprogram


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-14 16:17 এ, Hungarian Academy of Sciences ‘Megjelent a 2026. évi ERC Munkaprogram’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন