চোখের আলো ফেরানোর নতুন আশা: ক্যান্সারের ওষুধ কি বাঁচাবে দৃষ্টি?,Harvard University


চোখের আলো ফেরানোর নতুন আশা: ক্যান্সারের ওষুধ কি বাঁচাবে দৃষ্টি?

কলকাতা, ২৪ জুন, ২০২৫ – হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একটি নতুন আবিষ্কার আমাদের ভাবতে বাধ্য করছে – ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য তৈরি ওষুধ কি আমাদের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে পারবে? হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছো! হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা এই অসম্ভবকে সম্ভব করার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছেন। তারা এমন এক নতুন পদ্ধতির খোঁজ পেয়েছেন যা অন্ধত্ব সৃষ্টিকারী চোখের রোগ, যেমন গ্লুকোমা বা ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, নিরাময়ের জন্য ক্যান্সারের ওষুধ ব্যবহার করতে পারে।

কেন এই গবেষণা?

আমাদের চোখ একটি অত্যাশ্চর্য অঙ্গ। এটি আমাদের চারপাশের জগতকে দেখতে সাহায্য করে, সবকিছুকে রঙিন করে তোলে। কিন্তু অনেক সময় কিছু রোগ, যেমন গ্লুকোমা, চোখের ভেতরের স্নায়ু বা নার্ভকে নষ্ট করে দেয়। এই স্নায়ুগুলো আসলে আমাদের মস্তিষ্কের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে, যার ফলে আমরা দেখতে পাই। একবার এই স্নায়ুগুলো নষ্ট হয়ে গেলে, এদের আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব। এই রোগের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ অন্ধত্ব বরণ করেন, যা তাদের জীবনকে অনেক কঠিন করে তোলে।

ক্যান্সারের ওষুধের জাদু?

এখানেই আসে ক্যান্সারের ওষুধের প্রসঙ্গ। তোমরা হয়তো জানো, ক্যান্সার হলো এমন একটি রোগ যেখানে আমাদের শরীরের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করে এবং আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা এই অস্বাভাবিক কোষগুলোকে থামানোর জন্য বা মেরে ফেলার জন্য ওষুধ তৈরি করেন।

হার্ভার্ডের গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন যে, কিছু ক্যান্সারের ওষুধ এমন এক উপায়ে কাজ করে যা আমাদের চোখের স্নায়ুগুলোকে রক্ষা করতে পারে। তারা দেখেছেন যে, যখন গ্লুকোমার মতো রোগে চোখের স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন কিছু বিশেষ ধরণের রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয় যা স্নায়ুগুলোর ক্ষতি করে। মজার ব্যাপার হলো, কিছু ক্যান্সারের ওষুধ ঠিক এই ধরণের রাসায়নিক পদার্থের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।

গবেষণার নতুন দিগন্ত

এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা একটি নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারের ওষুধকে (যেমন, একটি ঔষধ যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে) বেছে নিয়েছেন। তারা দেখেছেন যে, এই ওষুধটি চোখের স্নায়ু কোষগুলোকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে এবং বাইরের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারে।

গবেষণাটি প্রথমে ল্যাবরেটরিতে প্রাণীদের উপর করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে যে, এই ওষুধটি ব্যবহার করার পর চোখের স্নায়ু কোষগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ক্ষতির পরিমাণ কমে এসেছে। এটি একটি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল!

শিশুদের জন্য এর মানে কী?

ভাবো তো, যদি এই চিকিৎসা সফল হয়, তাহলে কত শিশু যারা দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছে বা যাদের দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে, তারা আবার স্বাভাবিকভাবে দেখতে পাবে! তারা স্কুলে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে, বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করতে পারবে এবং চারপাশের সুন্দর পৃথিবীটাকে উপভোগ করতে পারবে।

এই গবেষণা বিজ্ঞানকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। এটি দেখায় যে, কীভাবে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা একসাথে কাজ করে আমাদের জীবনের সমস্যা সমাধান করতে পারে। যেমন, ক্যান্সারের মতো একটি রোগের চিকিৎসা আমাদের চোখের রোগ সারাতেও সাহায্য করতে পারে – এটা সত্যিই এক দারুণ ব্যাপার!

ভবিষ্যতের পথ

অবশ্যই, এই গবেষণা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। মানুষের উপর এই চিকিৎসা প্রয়োগ করার আগে আরও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন। কিন্তু বিজ্ঞানীদের এই প্রচেষ্টা আমাদের একটি নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা সবসময় চেষ্টা করছেন আমাদের জীবনকে আরও উন্নত করতে। আর তোমাদের মতো ছোট ছোট বিজ্ঞানীরাই আগামী দিনে এই গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই, যদি তোমরাও চারপাশের জগতকে আরও ভালোভাবে বুঝতে চাও, নতুন কিছু আবিষ্কার করতে চাও, তাহলে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়াও। কে জানে, হয়তো তুমিই হবে আগামী দিনের সেই বিজ্ঞানী, যে লক্ষ লক্ষ মানুষের চোখে আলো ফিরিয়ে আনবে!

এই গবেষণা প্রমাণ করে দেয় যে, বিজ্ঞান আমাদের জন্য অনেক বিস্ময় লুকিয়ে রেখেছে। আর এই আবিষ্কার সেই বিস্ময়গুলোর মধ্যে একটি, যা একদিন আমাদের চোখের স্বাস্থ্যকে বদলে দিতে পারে।


What might cancer treatment teach us about dealing with retinal disease?


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-06-24 17:15 এ, Harvard University ‘What might cancer treatment teach us about dealing with retinal disease?’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন