মন শান্ত করার এক নতুন দিগন্ত: ধ্যান কি সবসময় ভালো?,Harvard University


মন শান্ত করার এক নতুন দিগন্ত: ধ্যান কি সবসময় ভালো?

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন গবেষণা বলছে, ধ্যানের উপকারিতা নিয়ে আমরা যা জানতাম, তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু আছে!

বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই এমন কাউকে দেখেছ বা শুনেছ যারা মনকে শান্ত রাখতে, চিন্তাগুলোকে গুছিয়ে নিতে প্রতিদিন ধ্যান বা মেডিটেশন করে। আমরা সাধারণত জানি যে ধ্যান আমাদের মনকে শান্ত করে, আমাদের মনযোগ বাড়ায় এবং আমাদেরকে আরও সুখী করে তোলে। কিন্তু হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি চমকপ্রদ গবেষণা করেছেন, যা ধ্যানের অন্য একটি দিক তুলে ধরেছে। তাদের প্রকাশিত এই নিবন্ধটির নাম হল – “Meditation provides calming solace — except when it doesn’t” (ধ্যান শান্ত স্বস্তি দেয় – ব্যতিক্রম ছাড়া যখন তা দেয় না)।

প্রথমে জেনে নিই, ধ্যান কী?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ধ্যান হল মনকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার একটি অভ্যাস। এটা হতে পারে তোমার শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনোযোগ দেওয়া, অথবা কোন সুন্দর দৃশ্য কল্পনা করা। এর ফলে আমাদের মস্তিষ্ক শান্ত হয় এবং আমরা অনেক আরাম অনুভব করি।

কিন্তু, সবসময় কি এটা ভালো?

হার্ভার্ডের এই গবেষণা বলছে, বেশিরভাগ সময়ই ধ্যান আমাদের জন্য খুব উপকারী। যখন আমরা ধ্যান করি, আমাদের মস্তিষ্কের কিছু অংশ, যা আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে, সেগুলো আরও ভালোভাবে কাজ করতে শুরু করে। এর ফলে আমরা সহজেই শান্ত হতে পারি এবং আমাদের দুশ্চিন্তা কমে যায়।

তবে, বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে, ধ্যানের ফল ঠিক উল্টো হতে পারে! ধরো, যদি তুমি খুব রেগে আছো বা খুব ভীত, তখন যদি তুমি জোর করে ধ্যান করতে যাও, তবে তোমার রাগ বা ভয় আরও বেড়ে যেতে পারে। কারণ, তখন তোমার মন অন্যান্য বিষয় থেকে সরে গিয়ে নিজের খারাপ অনুভূতির উপর বেশি মনোযোগ দিতে পারে।

ঠিক যেন একটি সাইকেল চালানোর মতো:

ভাবো তো, তুমি যখন সাইকেল চালানো শেখো, তখন প্রথম প্রথম একটু পড়ে যেতে পারো, তাই না? কিন্তু কিছুদিন চেষ্টা করার পর তুমি খুব সুন্দরভাবে সাইকেল চালাতে পারো। ধ্যানও অনেকটা তেমনই। এটি একটি অভ্যাস, যা সঠিক উপায়ে করলে অনেক লাভ হয়। কিন্তু ভুল সময়ে বা ভুলভাবে করলে, তা একটু সমস্যাও তৈরি করতে পারে।

বিজ্ঞানীদের কী বলছেন?

গবেষকরা দেখেছেন যে, যারা ধ্যানের মাধ্যমে নিজেদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেন, তারা সাধারণত আরও ভালো থাকেন। কিন্তু যারা ধ্যানে নতুন, অথবা যারা খুব শক্তিশালী নেতিবাচক অনুভূতির মধ্যে আছেন, তাদের ক্ষেত্রে একটু সাবধান থাকা দরকার।

তাহলে আমাদের কী করা উচিত?

যদি তুমি ধ্যান করতে চাও, তবে ভালো হয় যদি তুমি একজন অভিজ্ঞ শিক্ষকের সাহায্য নাও। তারা তোমাকে সঠিক পদ্ধতি শেখাতে পারবেন, যাতে তুমি ধ্যানের সম্পূর্ণ সুফল পেতে পারো। মনে রেখো, সব কিছুই সঠিক সময়ে এবং সঠিক উপায়ে করা উচিত।

বিজ্ঞান কেন এত মজার?

দেখলে তো, বিজ্ঞান কিভাবে আমাদের চারপাশের জিনিসগুলোকে নতুনভাবে দেখতে শেখায়! ধ্যান, যা আমরা শুধুমাত্র মন শান্ত করার উপায় বলে জানতাম, তারও একটি অজানা দিক আছে। এই গবেষণা আমাদের শিখিয়েছে যে, কোন কিছুই সাদা-কালো নয়, সবকিছুরই অনেক রঙ থাকে। বিজ্ঞান আমাদের সেই রঙগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করে।

যদি তোমরা এই ধরণের বিষয়গুলো জানতে আগ্রহী হও, তবে বিজ্ঞানের দুনিয়ায় প্রবেশ করো। এখানে লুকিয়ে আছে অজস্র রহস্য, যা তোমাদের কৌতূহলকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং তোমাদের ভাবনার জগৎকে আরও প্রসারিত করবে। তোমরাও একদিন এমনই নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারো!


Meditation provides calming solace — except when it doesn’t


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-07 16:02 এ, Harvard University ‘Meditation provides calming solace — except when it doesn’t’ প্রকাশ করেছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ সহজ ভাষায় লিখুন, যা শিশু ও শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, যাতে আরও বেশি শিশু বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়। অনুগ্রহ করে শুধু বাংলাতে নিবন্ধটি প্রদান করুন।

মন্তব্য করুন