
শান্তির অন্বেষণে এক জাপানি ভলান্টিয়ারের প্রথম অনুভব: অন্যের প্যাশন আমাকে অনুপ্রাণিত করে
জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবক (UN Volunteer) হিসেবে কাজ করাটা অনেকের কাছেই এক রোমাঞ্চকর এবং আত্মত্যাগের এক অসাধারণ যাত্রা। এই যাত্রার এক অনন্য উদাহরণ হলেন জাপানের একজন তরুণ স্বেচ্ছাসেবক, যার হৃদয় জয় করে নিয়েছে শান্তির জন্য মানুষের অদম্য প্রচেষ্টা। জাতিসংঘের সংবাদ সংস্থা (UN News) কর্তৃক ২০২৫ সালের ৫ই জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই স্বেচ্ছাসেবক তার ব্যক্তিগত অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন, যা বিশ্বজুড়ে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনে তার দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কিভাবে এই জাপানি স্বেচ্ছাসেবক জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রকল্পে যুক্ত হয়ে শান্তির অন্বেষণে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের আস্থা অর্জন করেছেন এবং তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তার চোখে-মুখে লেগে থাকা আন্তরিকতা এবং মানুষের প্রতি সহানুভূতি তাকে অনেকের কাছেই প্রিয় করে তুলেছে।
তার এই কাজে অনুপ্রাণিত হওয়ার মূল কারণ কি? তিনি নিজেই জানিয়েছেন, “অন্যদের প্যাশন আমাকে অনুপ্রাণিত করে।” এই সহজ স্বীকারোক্তিটি গভীর অর্থ বহন করে। যখন তিনি দেখেন যে শত শত মানুষ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এবং একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করছেন, তখন তার নিজের ভেতরের শক্তি আরও বেড়ে যায়। তিনি অনুভব করেন যে তিনি একা নন, বরং বিশ্বজুড়ে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা একই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছেন। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা তাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে এবং তার কাজে নতুন উদ্দীপনা জোগায়।
এই স্বেচ্ছাসেবকের কাজ শুধুমাত্র যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহ বা পুনর্গঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার এবং পরিবেশ সুরক্ষার মতো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই লক্ষ্যগুলি অর্জিত হলে তবেই বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনা, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই – এই সমস্ত কিছুই তার কাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তার এই যাত্রাপথে তিনি অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করেছেন। কখনো প্রতিকূল পরিবেশ, কখনো ভাষার সমস্যা, আবার কখনো রাজনৈতিক অস্থিরতা তার কাজকে কঠিন করে তুলেছে। কিন্তু তিনি দমে যাননি। বরং প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে তিনি নতুন কিছু শেখার সুযোগ হিসেবে দেখেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে ধৈর্য এবং অধ্যবসায় যেকোনো বাধাকে অতিক্রম করতে সাহায্য করে।
এই জাপানি স্বেচ্ছাসেবকের গল্পটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে শান্তি ও উন্নয়ন একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। শুধুমাত্র সরকার বা বড় সংগঠন নয়, প্রতিটি ব্যক্তি তার নিজের জায়গা থেকে এই উদ্যোগে অবদান রাখতে পারে। তার মতো স্বেচ্ছাসেবকদের নিঃস্বার্থ কাজ এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা বিশ্বকে আরও সুন্দর ও শান্তিময় করে তোলার পথে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
জাতিসংঘের এই তরুণ স্বেচ্ছাসেবক, যিনি অন্যদের প্যাশন থেকে শক্তি আহরণ করেন, তিনি বিশ্বজুড়ে অগণিত মানুষকে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অনুপ্রাণিত করবেন, এই আশা করাই যায়। তার এই যাত্রা কেবল একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়, বরং এটি শান্তির অন্বেষণে মানবজাতির এক সম্মিলিত অঙ্গীকারের প্রতিচ্ছবি।
First Person: Japanese UN volunteer ‘motivated by the passion of others’ to support peace
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
‘First Person: Japanese UN volunteer ‘motivated by the passion of others’ to support peace’ SDGs দ্বারা 2025-07-05 12:00 এ প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ নরম সুরে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় শুধুমাত্র নিবন্ধ সহ উত্তর দিন।