
মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (NIH) কর্তৃক গবেষণা প্রকাশনা খরচের উপর নতুন নীতি: ২০২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর
ভূমিকা:
আমেরিকার জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (NIH), যা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জৈবচিকিৎসা গবেষণা অর্থায়নকারী সংস্থা, তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা করেছে। এই পরিবর্তনটি গবেষণা প্রকাশনার ব্যয় নিয়ন্ত্রণের সাথে জড়িত এবং ২০২৬ অর্থবছর থেকে এটি কার্যকর হবে। এই নতুন নীতি কার্যকর হওয়ার ফলে NIH-এর অনুদানে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল প্রকাশনার জন্য NIH একটি নির্দিষ্ট ব্যয়সীমা নির্ধারণ করবে। এটি মূলত গবেষণার স্বচ্ছতা, কার্যকারিতা এবং জাতীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার একটি প্রচেষ্টা। এই নিবন্ধে আমরা NIH-এর এই নতুন নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব, এর পেছনের কারণগুলি খতিয়ে দেখব এবং এর সম্ভাব্য প্রভাবগুলি বিশ্লেষণ করব।
নীতিটির মূল বিষয়বস্তু:
NIH-এর এই নতুন নীতি অনুযায়ী, ২০২৬ অর্থবছর (যা ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হবে) থেকে NIH-এর অনুদানে পরিচালিত কোনো গবেষণার ফলাফল প্রকাশনার জন্য প্রতিষ্ঠানটি একটি নির্দিষ্ট আর্থিক সীমা নির্ধারণ করে দেবে। এর অর্থ হলো, গবেষকদের তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশনার জন্য NIH থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি অর্থ ব্যয় করা যাবে না। এই ব্যয়সীমা মূলত জার্নাল সাবস্ক্রিপশন, ওপেন অ্যাক্সেস ফি (যেমন আর্টিকেল প্রসেসিং চার্জ বা APC), এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক প্রকাশনা সংক্রান্ত খরচগুলির উপর প্রযোজ্য হবে।
নীতিটির পেছনের কারণ:
NIH এই নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য সাধন করতে চাইছে:
-
ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা, বিশেষ করে ওপেন অ্যাক্সেস মডেলের প্রসার এবং এর সাথে জড়িত আর্টিকেল প্রসেসিং চার্জ (APC) দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। NIH মনে করে, এই ব্যয়গুলির উপর একটি নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রয়োজন যাতে তারা তাদের সীমিত বাজেটকে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে এবং বৃহত্তর সংখ্যক গবেষণা প্রকল্পকে অর্থায়ন করতে পারে।
-
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: NIH তাদের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণাগুলির যেন সর্বজনীনভাবে সহজলভ্য (openly accessible) হয়, তা নিশ্চিত করতে চায়। তবে ওপেন অ্যাক্সেস মডেলের কিছু ক্ষেত্রে উচ্চ APC গবেষকদের জন্য একটি বাধা হতে পারে। এই নীতি সেই বাধাগুলি কমানোর এবং প্রকাশনা ব্যয়কে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার একটি পদক্ষেপ।
-
ন্যায্য প্রবেশাধিকার: অনেক সময় উচ্চ প্রকাশনা ব্যয়, বিশেষ করে কিছু ব্যয়বহুল জার্নালে, গবেষণার ফলাফল সাধারণ মানুষের এবং অন্যান্য গবেষকদের নাগালের বাইরে রাখে। NIH এই নীতি কার্যকর করার মাধ্যমে সর্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে এবং জ্ঞান ভাগাভাগি প্রক্রিয়াকে আরও সুগম করতে চাইছে।
-
বাজারের উপর প্রভাব: জার্নাল প্রকাশনা শিল্পে, বিশেষ করে ওপেন অ্যাক্সেস মার্কেটপ্লেসে, APC-এর মূল্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। NIH-এর মতো একটি বৃহৎ অর্থায়নকারী সংস্থার এই ধরনের নীতি গ্রহণ বাজারে একটি প্রভাব ফেলতে পারে এবং APC-এর মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বা কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
সম্ভাব্য প্রভাব:
এই নতুন নীতি কার্যকর হওয়ার ফলে বিভিন্ন পক্ষের উপর কিছু প্রভাব পড়তে পারে:
-
গবেষকদের উপর প্রভাব:
- ব্যয় ব্যবস্থাপনা: গবেষকদের এখন তাদের প্রকাশনা ব্যয়ের উপর আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে এবং নির্দিষ্ট ব্যয়ের মধ্যে সেরা জার্নালগুলি নির্বাচন করতে হতে পারে।
- জার্নাল নির্বাচন: কিছু অত্যন্ত ব্যয়বহুল জার্নালে প্রকাশনা কঠিন হতে পারে, ফলে গবেষকরা অপেক্ষাকৃত কম খরচে বা সাশ্রয়ী মূল্যের জার্নালে প্রকাশনার দিকে ঝুঁকতে পারেন।
- প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা: গবেষকদের তাদের গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রকাশনা ব্যয় আগে থেকে হিসাব করে রাখতে হবে এবং NIH-এর নির্ধারিত সীমা সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
-
জার্নাল প্রকাশকদের উপর প্রভাব:
- মূল্য নির্ধারণ: প্রকাশকরা APC-এর মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে NIH-এর সীমা দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন। এটি তাদের মূল্য নির্ধারণ কৌশল পরিবর্তন করতে বাধ্য করতে পারে।
- ওপেন অ্যাক্সেস মডেল: NIH-এর এই নীতি ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনা মডেলের প্রসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, তবে এটি প্রকাশকদের আয় মডেলের উপর কিছু চাপও সৃষ্টি করতে পারে।
-
বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের উপর প্রভাব:
- জ্ঞান ভাগাভাগি বৃদ্ধি: যদি এই নীতি APC-এর মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয় এবং ওপেন অ্যাক্সেস বৃদ্ধি করে, তাহলে বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের মধ্যে জ্ঞান ভাগাভাগি আরও দ্রুত ও সহজ হবে।
- গবেষণার প্রবেশযোগ্যতা: কম খরচে প্রকাশনার ফলে উন্নত মানের গবেষণাগুলির আরও বৃহত্তর সংখ্যক গবেষক ও সাধারণ মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ ও তথ্যের উৎস:
NIH তাদের এই নতুন নীতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য এবং নির্দিষ্ট ব্যয়সীমা শীঘ্রই প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। গবেষক এবং প্রকাশকদের এই পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে অবগত থাকতে NIH-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং সংশ্লিষ্ট যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে নজর রাখা উচিত।
উপসংহার:
NIH কর্তৃক গবেষণা প্রকাশনা খরচের উপর নতুন নীতি কার্যকর হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি শুধুমাত্র ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে না, বরং বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ভাগাভাগি এবং গবেষণার প্রবেশযোগ্যতা বৃদ্ধিতেও একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। এই পরিবর্তনগুলি বিশ্বজুড়ে জৈবচিকিৎসা গবেষণা অর্থায়ন এবং প্রকাশনা শিল্পে একটি নতুন ধারার সূচনা করবে বলে আশা করা যায়।
তথ্যসূত্র:
- ক্যারেন্ট অ্যাওয়্যারনেস-পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ:
- শিরোনাম: ‘米国国立衛生研究所(NIH)、NIHの助成を受けた研究成果の出版費用の上限を2026会計年度から設定すると発表’
- প্রকাশের তারিখ: 2025-07-14 08:40
- ওয়েবসাইট: current.ndl.go.jp/car/255431
(দ্রষ্টব্য: উপরের তথ্যগুলি প্রদত্ত URL-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। NIH কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ এবং সর্বাধিক সঠিক তথ্যের জন্য তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং প্রকাশনাগুলি দেখা অপরিহার্য।)
米国国立衛生研究所(NIH)、NIHの助成を受けた研究成果の出版費用の上限を2026会計年度から設定すると発表
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-14 08:40 এ, ‘米国国立衛生研究所(NIH)、NIHの助成を受けた研究成果の出版費用の上限を2026会計年度から設定すると発表’ カレントアウェアネス・ポータル অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।