
ভূমিহীন এবং বঞ্চিত: তরুণ কৃষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংগ্রাম
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বজুড়ে তরুণ কৃষকেরা আজ এক কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন। তাদের ভবিষ্যৎ ক্রমশ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে, কারণ তারা ভূমিহীন এবং কৃষিক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। অর্থনৈতিক উন্নয়নের এই পর্যায়ে, যেখানে প্রযুক্তি এবং আধুনিক পদ্ধতি কৃষিকে উন্নত করার সম্ভাবনা রাখে, সেখানে তরুণ প্রজন্ম যেন এই বিপ্লবের বাইরে রয়ে যাচ্ছে।
মূল সমস্যা:
- ভূমি অধিকারের অভাব: অনেক তরুণ কৃষকের নিজস্ব কোনো জমি নেই। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি অনেক সময় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়ায় তা এতই ছোট হয়ে যায় যে আধুনিক কৃষি পদ্ধতির প্রয়োগ সম্ভব হয় না। ফলে, নতুন প্রজন্মের কৃষকেরা তাদের পূর্বপুরুষদের পেশাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বা নতুন করে শুরু করতে পারে না।
- অর্থনৈতিক বাধা: কৃষিকাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি, উন্নত বীজ, সার, কীটনাশক এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার সামর্থ্য অনেক তরুণ কৃষকের নেই। ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়াও একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ তাদের প্রায়শই পর্যাপ্ত জামানত বা ক্রেডিট হিস্টরি থাকে না।
- প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের অভাব: যদিও কৃষি প্রযুক্তিতে বিপ্লব এসেছে, অনেক তরুণ কৃষক এর সুফল থেকে বঞ্চিত। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবে তারা পিছিয়ে পড়ছে।
- বাজারের প্রবেশাধিকার: উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য না পাওয়া এবং বাজারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে অসুবিধার কারণে তরুণ কৃষকেরা নিরুৎসাহিত হচ্ছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য তাদের মুনাফা কমিয়ে দিচ্ছে।
- কৃষিকাজের প্রতি অনীহা: এসব কারণে, কৃষিকাজকে লাভজনক এবং সম্মানজনক পেশা হিসেবে দেখতে তরুণ প্রজন্ম আগ্রহী হচ্ছে না। তারা শহুরে জীবন এবং অন্যান্য পেশার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে, যা খাদ্য উৎপাদনে দীর্ঘমেয়াদী সংকট ডেকে আনতে পারে।
ভবিষ্যৎ পথ:
জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি এই সংকট মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
- ভূমি সংস্কার: তরুণ কৃষকদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ভূমি সংস্কার প্রয়োজন। ছোট ছোট জমিগুলোকে একত্র করে সমবায় গঠনের মাধ্যমে চাষাবাদকে লাভজনক করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
- আর্থিক সহায়তা: সহজ শর্তে ঋণ, ভর্তুকি এবং আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে তরুণ কৃষকদের পুঁজির অভাব মেটানো উচিত। সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
- প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির বিস্তার: আধুনিক কৃষি পদ্ধতি, টেকসই চাষাবাদ, জৈব সার ব্যবহার এবং নতুন প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কৃষকদের তথ্য এবং বাজার সম্পর্কে জ্ঞান সরবরাহ করা উচিত।
- বাজার সংযোগ শক্তিশালীকরণ: কৃষকদের সরাসরি বাজার বা ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করার জন্য সাপ্লাই চেইন উন্নত করতে হবে। ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য সরকারি নীতিমালা এবং বাজার তদারকি জোরদার করা প্রয়োজন।
- পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি: কৃষিকাজকে একটি আধুনিক, লাভজনক এবং সম্মানজনক পেশা হিসেবে তুলে ধরার জন্য প্রচার চালানো উচিত। সফল তরুণ কৃষকদের গল্প তুলে ধরে অন্যদের অনুপ্রাণিত করা যেতে পারে।
তরুণ প্রজন্মই ভবিষ্যৎ কৃষির মেরুদণ্ড। তাদের যদি সঠিক সুযোগ ও সমর্থন দেওয়া হয়, তবে তারা কেবল নিজেদের ভবিষ্যৎই নয়, বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারবে। এই সংবেদনশীল সময়ে, আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব হলো এই তরুণ কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার পথ সুগম করা।
Landless and locked out: Young farmers struggle for a future
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
‘Landless and locked out: Young farmers struggle for a future’ Economic Development দ্বারা 2025-07-03 12:00 এ প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ নরম সুরে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় শুধুমাত্র নিবন্ধ সহ উত্তর দিন।