
ট্রাম্পের নতুন আঘাত: কানাডার উপর ৩৫% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি, বিশ্ব বাণিজ্যে উদ্বেগ
টোকিও, ১১ জুলাই, ২০২৫ – জাপানের বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থা (JETRO) সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার উপর ৩৫% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণা বিশ্ব বাণিজ্য জগতে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে কানাডা ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই নতুন শুল্ক আরোপের ফলে কানাডায় রপ্তানি হওয়া আমেরিকান পণ্যের দাম বাড়বে, যা কানাডিয়ান ভোক্তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। একই সাথে, আমেরিকার পক্ষ থেকেও কানাডিয়ান পণ্যের উপর এই অতিরিক্ত শুল্কের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে কৃষি, অটোমোবাইল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের মূল কারণ কী?
যদিও JETRO-এর প্রকাশিত খবরে শুল্ক আরোপের সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি, তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পূর্বের বাণিজ্য নীতি এবং বক্তব্য থেকে ধারণা করা যায় যে এটি সম্ভবত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং আমেরিকায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করার একটি প্রয়াস। ট্রাম্প প্রশাসন প্রায়শই “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতি অনুসরণ করে, যার অংশ হিসেবে তারা বাণিজ্য অংশীদারদের উপর শুল্ক আরোপ করে নিজেদের দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। এর আগে, তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন এবং মেক্সিকোর উপরও বিভিন্ন শুল্ক আরোপ করেছিলেন।
কানাডার উপর এর প্রভাব কী হতে পারে?
কানাডা আমেরিকার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। এই ৩৫% অতিরিক্ত শুল্ক কানাডার অর্থনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।
- রপ্তানি হ্রাস: কানাডিয়ান পণ্য আমেরিকার বাজারে আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে, ফলে রপ্তানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি কানাডার উৎপাদন খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
- আমেরিকার বিনিয়োগ হ্রাস: কানাডায় আমেরিকান বিনিয়োগকারীরা শুল্কের কারণে তাদের ব্যবসায়িক মডেল পুনর্বিবেচনা করতে পারে, যা কানাডার অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে।
- ভোক্তাদের উপর চাপ: আমদানিকৃত আমেরিকান পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কানাডিয়ান ভোক্তাদের উপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়বে।
- প্রতিশোধমূলক শুল্ক: কানাডা সম্ভবত আমেরিকার পণ্যের উপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করতে পারে, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও তিক্ত করবে।
বিশ্ব বাণিজ্য জগতে প্রতিক্রিয়া:
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে। বহু দেশ তাদের বাণিজ্য নীতি নিয়ে নতুন করে ভাবছে এবং সুরক্ষাবাদের দিকে ঝুঁকছে। এই ধরনের একতরফা শুল্ক আরোপ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) নিয়মাবলীর সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহযোগিতাকে দুর্বল করতে পারে।
ভবিষ্যৎ কী?
আগামী দিনগুলিতে কানাডা সরকার কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করে এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা কোন দিকে মোড় নেয়, তা দেখার বিষয়। তবে, এটি স্পষ্ট যে এই ৩৫% অতিরিক্ত শুল্কের ঘোষণা বিশ্ব বাণিজ্য, বিশেষ করে উত্তর আমেরিকার বাণিজ্য সম্পর্কের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। জাপান সহ অন্যান্য দেশও এই ঘটনার উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে, কারণ এর প্রভাব আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলকেও প্রভাবিত করতে পারে।
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-11 06:00 এ, ‘トランプ米大統領、カナダに35%の追加関税を通告’ 日本貿易振興機構 অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।