
চীনের নতুন নীতি: নির্দিষ্ট মূল্যের বেশি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরকারি ক্রয়ে EU কোম্পানি ও পণ্যের প্রবেশাধিকার সীমিত
জাপান ট্রেড প্রমোশন অর্গানাইজেশন (JETRO)-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চীন সরকার তাদের দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম সরকারিভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)-এর কোম্পানি এবং EU-এর অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্যগুলোর প্রবেশাধিকার সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নীতিটি মূলত “প্রাধান্যমূলক ক্রয়ের নীতি” (Preferential Procurement Policy) নামে পরিচিত, যা স্থানীয় শিল্পকে সমর্থন এবং জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।
নীতিটির মূল উদ্দেশ্য:
চীনের এই নতুন নীতিটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারকদের বাজার সম্প্রসারণে সহায়তা করা এবং একই সাথে জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জামগুলির সরবরাহ শৃঙ্খলকে সুরক্ষিত রাখা। উচ্চ মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জামগুলির জন্য অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিদেশী নির্ভরতা কমানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
নীতিটির প্রভাব:
এই নীতিটি EU-ভিত্তিক চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। বিশেষ করে, যে সকল কোম্পানি চীনের সরকারি হাসপাতাল বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের কাছে উচ্চ মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করে, তাদের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা হবে। এর ফলে EU কোম্পানিগুলির চীনে তাদের বাজারের অংশীদারিত্ব হ্রাস পেতে পারে।
অন্যদিকে, চীনা অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারকদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তারা সরকারি ক্রয়ে অগ্রাধিকার পাবে, যা তাদের উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
EU-এর প্রতিক্রিয়া:
JETRO-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই নীতির বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, এই ধরনের নীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়মের পরিপন্থী হতে পারে এবং মুক্ত ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। EU সম্ভবত চীনের কাছে এই নীতি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানাবে এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনায় এই বিষয়টি উত্থাপন করবে।
বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্য:
যদিও এই নীতিটি সরাসরি বাংলাদেশের উপর প্রভাব ফেলবে না, তবে এটি বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা সরঞ্জাম বাজারের উপর একটি পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে পারে। চীনের অভ্যন্তরীণ বাজারের উপর যদি EU কোম্পানিগুলির উপস্থিতি কমে যায়, তবে তারা অন্যান্য বাজারে তাদের বাজার প্রসারিত করার চেষ্টা করতে পারে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলি, যারা উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানির উপর নির্ভরশীল, তারা হয়তো বিকল্প উৎস থেকে সরবরাহের সুযোগ পেতে পারে অথবা বিদ্যমান সরবরাহকারীদের দামের উপর কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে।
ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি:
এই নীতির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নির্ভর করবে এটি কিভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং EU-এর পক্ষ থেকে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া আসে তার উপর। চীন সরকার যদি এই নীতিতে নমনীয়তা প্রদর্শন না করে, তবে এটি চীন এবং EU-এর মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ শৃঙ্খল এবং বাজার কৌশলের উপরও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে।
এই ঘটনাটি ইঙ্গিত দেয় যে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতিগুলি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং দেশগুলি তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার জন্য নতুন নীতি প্রণয়ন করছে। অন্যান্য দেশগুলিও চীনের এই পদক্ষেপের উপর নজর রাখবে এবং তাদের নিজস্ব নীতি নির্ধারণে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে।
中国、一定額以上の医療機器の政府調達でEU企業・EU域内製品の参入を制限
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-09 02:00 এ, ‘中国、一定額以上の医療機器の政府調達でEU企業・EU域内製品の参入を制限’ 日本貿易振興機構 অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।