ওতারু শহরের এক ঐতিহাসিক উৎসবের হাতছানি: 令和7年度恵美須神社例大祭 – এক আনন্দময় ভ্রমণ,小樽市


অবশ্যই, ওতারু শহরের তথ্য অনুযায়ী 2025 সালের 27 থেকে 29 জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘令和7年度恵美須神社例大祭…お祭り編(6/27~29)’ উপলক্ষ্যে একটি বিস্তারিত নিবন্ধ নিচে দেওয়া হলো:

ওতারু শহরের এক ঐতিহাসিক উৎসবের হাতছানি: 令和7年度恵美須神社例大祭 – এক আনন্দময় ভ্রমণ

ওতারু, জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের এক মনোমুগ্ধকর বন্দর নগরী, তার সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, ঐতিহাসিক ভবন এবং সুস্বাদু সামুদ্রিক খাবারের জন্য পরিচিত। এই শহরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন উৎসব, যা প্রতি বছর বহু পর্যটককে আকর্ষণ করে। এরই মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় একটি উৎসব হলো 恵美須神社例大祭 (এবিসু জিনজা রেইতাইসাই), যা ওতারু শহরের এবিসু神社-তে অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি, 2025 সালের 1 জুলাই, 7:47 মিনিটে, ওতারু শহর কর্তৃক এই উৎসবের ‘祭り編 (মাৎসুরি হেন)’ বা উৎসবের অংশটি 27 থেকে 29 জুন, 2025 পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণা স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

恵美須神社例大祭 কী?

恵美須神社 (এবিসু জিনজা) জাপানের অন্যতম প্রধান দেবতা এবিসুর প্রতি উৎসর্গীকৃত একটি মন্দির। এবিসু জাপানের সাত সৌভাগ্যবান দেবীর একজন এবং বাণিজ্য, সমৃদ্ধি ও শ্রমিকদের রক্ষাকর্তা হিসেবে পূজিত হন। এবিসু神社গুলিতে অনুষ্ঠিত বার্ষিক প্রধান উৎসব (例大祭 – রেইতাইসাই) হলো সেই মন্দিরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাসনা এবং এটি সেই দেবতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি বিশেষ উপলক্ষ। ওতারু শহরের এবিসু জিনজা রেইতাইসাই কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয়, এটি ওতারু শহরের অধিবাসীদের জন্য এক মিলনমেলা এবং ঐতিহ্যের উদযাপন।

2025 সালের উৎসবের আকর্ষণ:

ওতারু শহর কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, 2025 সালের এই বিশেষ উৎসবের মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হবে 27 থেকে 29 জুন পর্যন্ত। যদিও এই সীমিত তথ্যে উৎসবের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়নি, তবে ঐতিহাসিকভাবে এই ধরনের উৎসবে নিম্নলিখিত আকর্ষণগুলো আশা করা যেতে পারে:

  • ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা (神輿 – মিকoshi): উৎসবের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো মিকoshi বহনকারী শোভাযাত্রা। এই বিশাল, সজ্জিত পালকিতে মন্দিরের বিগ্রহ স্থাপন করে শহরের বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে বহন করা হয়। এটি এক জাঁকজমকপূর্ণ দৃশ্য, যেখানে ভক্তরা ধর্মীয় মন্ত্র উচ্চারণ করে এবং উৎসাহের সাথে পালকি বহন করে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই শোভাযাত্রা শহরের শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে।

  • লোকনৃত্য ও সঙ্গীত (祭り囃子 – মাৎসুরি বয়াশি): উৎসবের পরিবেশকে মুখরিত করে তোলে ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং সঙ্গীত। বিশেষ করে, ড্রাম, বাঁশি এবং অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে পরিবেশিত মাৎসুরি বয়াশি এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করে।

  • স্টল ও খাবার (屋台 – ইয়াতাই): উৎসবের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো পথে পথে সাজানো বিভিন্ন ইয়াতাই বা স্টল। এখানে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের জাপানি স্ট্রিট ফুড, যেমন – টাকোইয়াকি (অক্টোপাস বল), ইয়াকিটোরি (গ্রিলড স্কিউয়ার), ইয়াঙ্গোকি (এক ধরনের মিষ্টি প্যানকেক) এবং বিভিন্ন মৌসুমী ডেজার্ট। এছাড়াও, খেলনার স্টল এবং স্থানীয় হস্তশিল্পের দোকানও থাকে।

  • আতশবাজি (花火 – হানাবি): অনেক জাপানি উৎসবে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে অনুষ্ঠিত উৎসবে, সন্ধ্যায় আতশবাজির আয়োজন করা হয়। এটি উৎসবের সমাপ্তি এবং আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে। যদিও 2025 সালের উৎসবের জন্য আতশবাজির নির্দিষ্ট ঘোষণা নেই, তবে এটি একটি সম্ভাব্য আকর্ষণ হতে পারে।

  • ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও বিনোদন: অনেক সময় স্থানীয় ক্লাব বা গোষ্ঠীগুলো ঐতিহ্যবাহী জাপানি খেলাধুলা বা বিনোদনমূলক কার্যকলাপের আয়োজন করে।

ভ্রমণের পরিকল্পনা:

ওতারু শহরের এই ঐতিহাসিক উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য যারা আগ্রহী, তাদের জন্য কিছু টিপস:

  • আগাম প্রস্তুতি: যেহেতু এটি একটি জনপ্রিয় উৎসব, তাই হোটেল এবং যাতায়াতের টিকিট আগেই বুকিং করে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। জুন মাস হোক্কাইডোতে ভ্রমণের জন্য একটি সুন্দর সময়, তাই অন্যান্য পর্যটকের আনাগোনাও বেশি থাকে।

  • যাতায়াত: ওতারু শহরটি হোক্কাইডোর প্রধান শহর সাপ্পোরো থেকে ট্রেনে সহজে যাতায়াতযোগ্য। সাপ্পোরো স্টেশন থেকে ওতারু পর্যন্ত প্রায় 30-40 মিনিটের ট্রেন যাত্রা। উৎসবের দিনগুলিতে পরিবহন ব্যবস্থা কিছুটা ব্যস্ত থাকতে পারে, তাই ধৈর্য ধরুন।

  • পোশাক: জুনের শেষ দিকে হোক্কাইডোতে আবহাওয়া মনোরম থাকে, তবে সন্ধ্যায় বা বৃষ্টির জন্য হালকা গরম কাপড় সঙ্গে নেওয়া যেতে পারে। আরামদায়ক জুতো পরা আবশ্যক, কারণ উৎসবে অনেক হাঁটতে হতে পারে।

  • স্থানীয় সংস্কৃতি: জাপানি উৎসবে যোগ দেওয়ার সময় স্থানীয় রীতিনীতি ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। উদাহরণস্বরূপ, মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করার সময় এবং নির্দিষ্ট স্থানে ছবি তোলার নিয়মাবলী জেনে নেওয়া ভালো।

  • খাবার: ওতারু তার সুস্বাদু সামুদ্রিক খাবারের জন্য বিখ্যাত। ইয়াতাই-এর পাশাপাশি, শহরের রেস্তোরাঁগুলিতেও স্থানীয় সুস্বাদু খাবার চেখে দেখার সুযোগ নিতে পারেন।

ওতারুর উৎসবের অন্য রূপ:

恵美須神社例大祭 কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি ওতারু শহরের জীবনযাত্রার একটি প্রতিচ্ছবি। এই উৎসবে আপনি ওতারুর আন্তরিকতা, ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার এক সুন্দর মেলবন্ধন দেখতে পাবেন। যখন আপনি মিকoshi-এর গম্ভীর ধ্বনি শুনবেন, সুস্বাদু স্ট্রিট ফুডের গন্ধ আপনার নাকে আসবে, এবং স্থানীয়দের আনন্দের উচ্ছ্বাস অনুভব করবেন, তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে এটি কেবল একটি ভ্রমণ নয়, এটি জাপানি সংস্কৃতির গভীরে ডুব দেওয়ার এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

2025 সালের জুন মাসের শেষ সপ্তাহে ওতারুর এবিসু神社-তে আয়োজিত এই বিশেষ উৎসবে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেলে আপনার ভ্রমণ এক অন্য মাত্রা পাবে। এই উৎসব ওতারু শহরের ঐতিহাসিক আত্মা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক জীবন্ত প্রমাণ, যা আপনাকে মুগ্ধ করতে প্রস্তুত। আপনার ওতারু ভ্রমণ আনন্দময় হোক!


令和7年度恵美須神社例大祭…お祭り編(6/27~29)


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-07-01 07:47 এ, ‘令和7年度恵美須神社例大祭…お祭り編(6/27~29)’ প্রকাশিত হয়েছে 小樽市 অনুযায়ী। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন যা সহজবোধ্য এবং পাঠকদের ভ্রমণে আগ্রহী করে তোলে।

মন্তব্য করুন