
ব্রিটিশ সরকার একটি ফান্ডের মাধ্যমে কার্বন ক্যাপচার প্রকল্পে বিনিয়োগ ঘোষণা করেছে, জাপানি কোম্পানিগুলোও অংশীদার
তথ্যসূত্র: জাপান ট্রেড প্রোমোশন অর্গানাইজেশন (JETRO) প্রকাশের তারিখ: ৯ই জুলাই, ২০২৫, সকাল ৫:৩০
ভূমিকা:
সম্প্রতি, ব্রিটিশ সরকার একটি যুগান্তকারী ঘোষণা করেছে যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তারা একটি বিশেষ ফান্ড গঠন করে কার্বন ক্যাপচার, ইউটিলাইজেশন এবং স্টোরেজ (CCUS) প্রকল্পে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উদ্যোগে জাপানি কোম্পানিগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য, যা দুই দেশের মধ্যে পরিবেশগত প্রযুক্তিতে সহযোগিতার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। JETRO-এর প্রকাশিত এই সংবাদটি বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সচেতনতা এবং সবুজ প্রযুক্তির প্রসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করছে।
CCUS কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
কার্বন ক্যাপচার, ইউটিলাইজেশন এবং স্টোরেজ (CCUS) হলো একটি প্রযুক্তি যা শিল্প প্রক্রিয়া এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) ধরে ফেলে এবং এটিকে পরিবেশে নির্গত হতে বাধা দেয়। ধরা পড়া কার্বন ডাই অক্সাইডকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন – নতুন পণ্য তৈরি বা বিদ্যমান প্রক্রিয়া উন্নত করা (ইউটিলাইজেশন), অথবা এটিকে ভূগর্ভস্থভাবে নিরাপদে সংরক্ষণ করা (স্টোরেজ)।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো বায়ুমণ্ডলে গ্রীনহাউস গ্যাসের, বিশেষ করে কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধি। CCUS প্রযুক্তি শিল্পোন্নত দেশগুলির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তাদের কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং প্যারিস চুক্তির মতো আন্তর্জাতিক জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়তা করে।
ব্রিটিশ সরকারের পদক্ষেপ:
ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত নতুন ফান্ডটি CCUS প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে। এই ফান্ডের মাধ্যমে তারা কার্বন ক্যাপচার প্ল্যান্ট নির্মাণ, CO2 পরিবহনের পরিকাঠামো তৈরি এবং কার্বন সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত স্থান সনাক্তকরণ ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে। এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র পরিবেশ সুরক্ষাই নয়, বরং নতুন সবুজ শিল্প এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাপানি কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ:
এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে জাপানি কোম্পানিগুলির অংশগ্রহণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। JETRO-এর তথ্য অনুযায়ী, একাধিক জাপানি প্রতিষ্ঠান এই ফান্ডে অংশীদার হিসেবে বিনিয়োগ করছে। জাপানের প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা CCUS প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়ক হবে। জাপানি কোম্পানিগুলি সাধারণত উন্নত ইঞ্জিনিয়ারিং, রাসায়নিক প্রযুক্তি এবং নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে সুপরিচিত। তাদের এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়া ব্রিটিশ সরকারের জন্য একটি বড় সুযোগ, যা প্রযুক্তির আদান-প্রদান এবং যৌথ গবেষণার পথ খুলে দেবে।
প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাব:
- জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা: এই বিনিয়োগের ফলে কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে, যা বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলায় সহায়ক হবে।
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন: নতুন সবুজ শিল্পের প্রসার ঘটবে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
- প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন: CCUS প্রযুক্তির আরও উন্নয়ন ও পরিশীলিতকরণে এই বিনিয়োগ নতুন মাত্রা যোগ করবে।
- আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: জাপান ও ব্রিটেনের মধ্যে পরিবেশগত প্রযুক্তিতে এই সহযোগিতা অন্যান্য দেশকেও অনুরূপ উদ্যোগে উৎসাহিত করতে পারে।
উপসংহার:
ব্রিটিশ সরকারের কার্বন ক্যাপচার প্রকল্পে বিনিয়োগের ঘোষণা এবং এতে জাপানি কোম্পানিগুলির অংশগ্রহণ একটি অত্যন্ত ইতিবাচক এবং দূরদর্শী পদক্ষেপ। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই ধরনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিশ্বজুড়ে সবুজ প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে এবং একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহায়ক হবে। আশা করা যায়, এই প্রকল্পগুলি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
英政府、ファンド通じたCCSプロジェクトへの投資発表、日系企業も出資
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-09 05:30 এ, ‘英政府、ファンド通じたCCSプロジェクトへの投資発表、日系企業も出資’ 日本貿易振興機構 অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।