উড়ন্ত কাঠবিড়ালির লেজের জাদু: রোবোটিক্সের নতুন দিশা,Swiss Confederation


উড়ন্ত কাঠবিড়ালির লেজের জাদু: রোবোটিক্সের নতুন দিশা

সুইস কনফেডারেশন, ২রা জুলাই, ২০২৫ – প্রকৃতির অপার বিস্ময় আমাদের চারপাশকে ঘিরে রেখেছে। প্রায়শই আমরা প্রকৃতির এই বিস্ময়গুলোর দিকে স্বাভাবিকভাবে তাকিয়ে যাই, কিন্তু এর গভীরে লুকিয়ে থাকা প্রযুক্তিগত সম্ভাবনাগুলো আমাদের নতুন করে ভাবাতে বাধ্য করে। তেমনই এক বিস্ময়কর জীব হলো ‘বিরল উড়ন্ত কাঠবিড়ালি’ (rare flying squirrel species)। এদের গাছ থেকে গাছে নিরাপদে ভেসে বেড়ানোর এক অত্যাশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে, যার মূল রহস্য হলো এদের বিশেষ ধরণের আঁশযুক্ত লেজ। আর এই লেজের জাদুকরী উপাদানের সূত্র ধরে সম্প্রতি রোবোটিক্স জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। সুইস কনফেডারেশন কর্তৃক ২রা জুলাই, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই কাঠবিড়ালির লেজ রোবট ডিজাইনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, যা ভবিষ্যতে অনেক কঠিন প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান করতে পারে।

উড়ন্ত কাঠবিড়ালি আসলে উড়তে পারে না, বরং এরা এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফ দিয়ে ডানা-সদৃশ ত্বকের (patagium) সাহায্যে বাতাসে ভেসে যায়। কিন্তু তাদের এই ভেসে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি নিছক ঝাঁপ নয়; বরং এটি এক নিখুঁত বায়োডাইনামিক (aerodynamic) কৌশল। আর এই কৌশলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো তাদের লেজ। সাধারণত কাঠবিড়ালির লেজ লম্বা এবং লোমশ হয়, যা ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। কিন্তু এই বিশেষ প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালির লেজটি একেবারেই ভিন্ন। এদের লেজটি আঁশযুক্ত এবং কিছুটা চ্যাপ্টা, যা বাতাসে ভেসে যাওয়ার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিজ্ঞানীদের মতে, এই আঁশযুক্ত লেজটি বাতাসের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দিক পরিবর্তন করতে কাঠবিড়ালিকে সাহায্য করে। অনেকটা বিমানের পাখার মতো, তবে এটি অনেক বেশি নমনীয় এবং জীবন্ত। এই লেজের সূক্ষ্ম নড়াচড়ার মাধ্যমে কাঠবিড়ালি বাতাসে ভেসে থাকার সময় তাদের শরীরের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, দ্রুত দিক বদলাতে পারে এবং অবতরণের সময়ও সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।

প্রকৃতির এই অসাধারণ অভিযোজনকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা এর পেছনের মূলনীতিগুলো বোঝার চেষ্টা করেছেন। তাদের গবেষণা মূলত এই লেজের গঠন, এর উপাদানের বৈশিষ্ট্য এবং বাতাসের সাথে এর মিথস্ক্রিয়া নিয়ে। এই কাঠবিড়ালির লেজে থাকা বিশেষ আঁশগুলো তাদের গতি এবং নিয়ন্ত্রণ উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এই আঁশগুলো বাতাসের বাধা কমাতে এবং একই সাথে বায়ুর উপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

এই আবিষ্কার রোবোটিক্স জগতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখন এমন রোবট তৈরির প্রচেষ্টা করছেন যা এই উড়ন্ত কাঠবিড়ালির লেজের নকশা এবং কার্যকারিতা অনুকরণ করতে পারবে। বিশেষত, যেসব রোবটকে জটিল এবং অনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে, যেমন – ঘন বন, পাথুরে ভূমি অথবা ঝুঁকিপূর্ণ উদ্ধার অভিযানগুলোতে কাজ করতে হবে, তাদের জন্য এই প্রযুক্তি অত্যন্ত মূল্যবান হতে পারে।

এই ধরণের রোবটগুলো শুধুমাত্র ভারসাম্য রক্ষার কাজেই দক্ষ হবে না, বরং এরা বাতাসের সূক্ষ্ম পরিবর্তনগুলোকেও কাজে লাগাতে পারবে। এর ফলে, রোবটগুলো অনেক বেশি শক্তি সাশ্রয়ী হবে এবং আরও সহজে ও দ্রুত বিভিন্ন স্থানে চলাচল করতে পারবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি রোবটগুলো দুর্যোগ-কবলিত এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমে, পরিবেশগত পর্যবেক্ষণ এবং দুর্গম এলাকায় সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।

তবে এই গবেষণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কাঠবিড়ালির লেজের নকশা এবং এর কার্যকারিতা পুরোপুরিভাবে রোবোটিক্সে অনুকরণ করতে এখনো অনেক গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। বিজ্ঞানীরা এই আঁশগুলোর উপাদানের বৈশিষ্ট্য বোঝার চেষ্টা করছেন এবং কীভাবে এই বৈশিষ্ট্যগুলো কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছেন।

প্রকৃতি সবসময়ই আমাদের সেরা শিক্ষক। উড়ন্ত কাঠবিড়ালির লেজের মতো একটি জীবের ক্ষুদ্র অথচ গুরুত্বপূর্ণ অংশ থেকে এমন যুগান্তকারী প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সম্ভাবনা রোবোটিক্সের ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে। এই বিরল জীবটি শুধু প্রকৃতির এক বিস্ময়ই নয়, বরং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত উন্নতির এক অনুপ্রেরণাদায়ক উৎসও বটে। এই প্রযুক্তি সফল হলে, তা নিঃসন্দেহে মানবজাতির জন্য এক নতুন অধ্যায় উন্মোচন করবে।


Rare flying squirrel species inspires robotics: Safely navigating treetops thanks to a scaly tail


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:

‘Rare flying squirrel species inspires robotics: Safely navigating treetops thanks to a scaly tail’ Swiss Confederation দ্বারা 2025-07-02 00:00 এ প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ নরম সুরে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় শুধুমাত্র নিবন্ধ সহ উত্তর দিন।

মন্তব্য করুন