
আফ্রিকায় ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনা: উন্নতি ও চ্যালেঞ্জ (একটি সাহিত্য পর্যালোচনা)
২০২৫ সালের ৩রা জুলাই সকাল ৯টা ১৯ মিনিটে জাপানের ন্যাশনাল ডায়েট লাইব্রেরির কারেন্ট অ্যাওয়ারনেস পোর্টালে “আফ্রিকাにおけるオープンアクセス出版:改善点と課題(文献紹介)” শিরোনামে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এই নিবন্ধটি আফ্রিকার মহাদেশে ওপেন অ্যাক্সেস (OA) প্রকাশনার বর্তমান অবস্থা, সেখানে অর্জিত অগ্রগতি এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেছে। ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনা বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়, যা গবেষণা, উদ্ভাবন এবং উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আফ্রিকা মহাদেশের জন্য, যেখানে অনেক গবেষকের তথ্যের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনা জ্ঞান ভাগাভাগি এবং মহাদেশের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
এই নিবন্ধটি আফ্রিকার ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো:
১. গবেষণা প্রকাশনার বৃদ্ধি: বিগত কয়েক বছরে আফ্রিকান গবেষকদের দ্বারা প্রকাশিত ওপেন অ্যাক্সেস জার্নালের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক আফ্রিকান বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান এখন তাদের নিজস্ব ওপেন অ্যাক্সেস রিপোজিটরি স্থাপন করছে, যেখানে তাদের গবেষকদের কাজ সহজেই পাওয়া যায়।
২. নীতিগত সমর্থন: কিছু আফ্রিকান দেশ ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনার জন্য নীতিগতভাবে সমর্থন প্রদান করছে। এই নীতিগুলো গবেষকদের তাদের কাজ ওপেন অ্যাক্সেসে প্রকাশ করতে উৎসাহিত করে এবং সরকারিভাবে অর্থায়নকৃত গবেষণার ফলাফলগুলি উন্মুক্ত করার উপর জোর দেয়।
৩. পরিকাঠামোগত উন্নয়ন: অনেক আফ্রিকান দেশে বর্তমানে ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনার জন্য পরিকাঠামো উন্নত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিগুলোর ভূমিকা বৃদ্ধি, ওপেন অ্যাক্সেস জার্নাল প্রকাশের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান এবং সম্পাদনা ও প্রকাশনা প্রক্রিয়ায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
তবে, এই অগ্রগতির পাশাপাশি আফ্রিকায় ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও বিদ্যমান, যা নিবন্ধটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে:
১. অর্থায়নের অভাব: ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনার জন্য প্রায়শই আর্টিকেল প্রসেসিং চার্জ (APC) প্রয়োজন হয়, যা অনেক আফ্রিকান গবেষক এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বড় বাধা। সরকারি তহবিল সীমিত হওয়ায় এবং অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও APC প্রদানের জন্য প্রস্তুত না থাকায় এটি একটি প্রধান সমস্যা।
২. প্রযুক্তিগত পরিকাঠামোর দুর্বলতা: কিছু আফ্রিকান অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগের অভাব এবং প্রযুক্তিগত পরিকাঠামোর দুর্বলতা ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনা প্ল্যাটফর্মগুলির ব্যবহার এবং অ্যাক্সেসকে সীমিত করে।
৩. গুণমান নিয়ন্ত্রণ এবং স্থায়িত্ব: কিছু ওপেন অ্যাক্সেস জার্নালের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে “predatory journals” বা শিকারী জার্নালগুলির উত্থান একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। এই জার্নালগুলি APC গ্রহণ করে কিন্তু উচ্চ মানের সম্পাদনা বা পর্যালোচনার নিশ্চয়তা দেয় না। এছাড়াও, অনেক ওপেন অ্যাক্সেস জার্নালের দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব অনিশ্চিত, কারণ তাদের অর্থায়নের উৎস প্রায়শই অস্থায়ী হয়।
৪. সাংস্কৃতিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিরোধ: কিছু ক্ষেত্রে, ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনার ধারণাটি এখনও অনেক আফ্রিকান একাডেমিয়াতে পুরোপুরিভাবে গ্রহণ করা হয়নি। ঐতিহ্যবাহী প্রকাশনা মডেলগুলির প্রতি পক্ষপাতিত্ব এবং ওপেন অ্যাক্সেসের সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব একটি সাংস্কৃতিক বাধা সৃষ্টি করে।
৫. তথ্যের অ্যাক্সেস এবং ব্যবহার: ওপেন অ্যাক্সেসে প্রকাশিত তথ্য সহজে উপলব্ধ হলেও, অনেক আফ্রিকান গবেষকের এই তথ্যগুলি কার্যকরভাবে খুঁজে বের করা, গ্রহণ করা এবং ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে।
উপসংহার:
“আফ্রিকাにおけるオープンアクセス出版:改善点と課題(文献紹介)” নিবন্ধটি আফ্রিকার ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী আলোচনা। এটি দেখায় যে মহাদেশটি এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যার মধ্যে রয়েছে:
- সরকারি এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি: ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনাকে সমর্থন করার জন্য তহবিল বাড়ানো প্রয়োজন।
- প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো উন্নয়ন: ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং ডিজিটাল পরিকাঠামো উন্নত করা অপরিহার্য।
- গুণমান নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচন নির্দেশিকা: শিকারী জার্নালগুলি সনাক্তকরণ এবং পরিহার করার জন্য শক্তিশালী নির্দেশিকা তৈরি করা।
- সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণ: ওপেন অ্যাক্সেসের সুবিধা সম্পর্কে গবেষক, প্রশাসক এবং নীতি নির্ধারকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণ প্রদান।
- সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব: আন্তর্জাতিক সংস্থা, প্রকাশক এবং আফ্রিকান প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
এই পদক্ষেপগুলি গ্রহণের মাধ্যমে, আফ্রিকা ওপেন অ্যাক্সেস প্রকাশনার পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে এবং মহাদেশের জ্ঞান ও উদ্ভাবনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই নিবন্ধটি আফ্রিকায় বৈজ্ঞানিক তথ্যের প্রসারে ওপেন অ্যাক্সেসের গুরুত্ব এবং এর ভবিষ্যৎ পথ নির্দেশ করে।
アフリカにおけるオープンアクセス出版:改善点と課題(文献紹介)
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-03 09:19 এ, ‘アフリカにおけるオープンアクセス出版:改善点と課題(文献紹介)’ カレントアウェアネス・ポータル অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।