
অবশ্যই! ‘হরিন-জি মন্দির-এগারো-মুখের কাননের স্থায়ী মূর্তি’ সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ নিচে দেওয়া হলো:
হরিন-জি মন্দিরের এগারো-মুখের কানন: শান্ত ও সৌম্য এক দেবীর মূর্তি
জাপানের নারা প্রদেশে অবস্থিত হরিন-জি (Horyu-ji) মন্দির শুধুমাত্র জাপানেরই নয়, বিশ্ব ঐতিহ্যের এক অমূল্য রত্ন। এই প্রাচীন মন্দির কমপ্লেক্সে স্থাপিত বিভিন্ন অমূল্য শিল্পকর্মের মধ্যে অন্যতম হলো ‘হরিন-জি মন্দির-এগারো-মুখের কাননের স্থায়ী মূর্তি’ (The Standing Statue of Eleven-Headed Kannon of Horyu-ji Temple)। এই মূর্তিটি জাপানি বৌদ্ধ শিল্পের এক उत्कृष्ट উদাহরণ এবং এর ঐতিহাসিক ও শৈল্পিক তাৎপর্য অপরিসীম।
মূর্তির পরিচয় ও পটভূমি:
- ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: এই মূর্তিটি আনুমানিক আনুমানিক ৭ম শতাব্দীর শেষভাগে বা ৮ম শতাব্দীর প্রথমভাগে তৈরি করা হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। এটি জাপানের আসুকা যুগের (Asuka period) শেষভাগের বা নারা যুগের (Nara period) প্রথমভাগের শিল্পকলার প্রতিনিধিত্ব করে। এই সময়কালে জাপানে বৌদ্ধধর্মের প্রসার ঘটে এবং এর সাথে সাথে উন্নত মানের বৌদ্ধ মূর্তিশিল্পের বিকাশ লাভ করে।
- সৃষ্টিকর্তা: যদিও মূর্তির প্রকৃত সৃষ্টিকর্তার নাম জানা যায়নি, তবে এটি সেই সময়ের অত্যন্ত দক্ষ কারিগরদের দ্বারা নির্মিত, যারা সেই সময়ের চীনা (তাং রাজবংশ) শিল্পকলার দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন।
- মূর্তির বিষয়বস্তু: এই মূর্তিটি কানন (Kannon) দেবীর এক বিশেষ রূপের প্রতিনিধিত্ব করে, যা ‘এগারো-মুখের কানন’ (Jūichimen Kannon) নামে পরিচিত। কানন হলেন বৌদ্ধ ধর্মে করুণা ও করুণার দেবী। তাঁর একশ এক বা হাজার হাত থাকতে পারে, যা সমস্ত প্রাণীকে রক্ষা করার জন্য তাঁর অসীম ক্ষমতা নির্দেশ করে। এখানে এগারোটি মুখ symbolizes করেন যে কানন দেবী সব দিক থেকে জগৎ পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সকল জীবের দুঃখ দূর করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত।
মূর্তির শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য:
- উপকরণ ও নির্মাণশৈলী: এই মূর্তিটি সাধারণত কাঠ দিয়ে খোদাই করা এবং তারপরে রং করা হয়েছে। এটি সেই সময়ের সুনির্দিষ্ট নির্মাণ কৌশল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে কাঠের ব্যবহার অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করা হতো। মূর্তির পৃষ্ঠে থাকা রং এবং অলঙ্করণগুলি সময়ের সাথে সাথে কিছুটা বিবর্ণ হলেও, এটি সেই সময়ের শিল্পীদের সূক্ষ্ম কারুকার্য এবং রঙের ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা দেয়।
- গঠন ও অঙ্গভঙ্গি: মূর্তিটি সাধারণত এক শান্ত এবং সৌম্য ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর মুখের অভিব্যক্তি অত্যন্ত প্রশান্ত এবং করুণাময়। প্রতিটি মুখের ভিন্ন ভিন্ন ভাব প্রকাশ করে – কিছু মুখ শান্ত, কিছু গম্ভীর, আবার কিছু মুখ নির্দেশনামূলক। এই একাধিক মুখ কানন দেবীর সর্বজ্ঞতা এবং সব ধরনের মানুষের জন্য তাঁর সহানুভূতিকে বোঝায়। মূর্তির পোশাক এবং অলঙ্কার সেই সময়ের রাজকীয় সাজসজ্জার আদলে তৈরি, যা দেবীর মহিমাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
- ঐতিহাসিক তাৎপর্য: এই মূর্তিটি জাপানে বৌদ্ধধর্মের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এটি কেবল একটি ধর্মীয় মূর্তিই নয়, বরং এটি সেই সময়ের শিল্প, সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসের একটি জীবন্ত প্রমাণ। হরিন-জি মন্দির নিজেও বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন কাঠের ভবনগুলির মধ্যে একটি, যা এটিকে ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে।
ভ্রমণকারীদের জন্য আকর্ষণ:
যারা জাপানের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং বৌদ্ধ শিল্পকলা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য হরিন-জি মন্দির এবং এখানকার ‘এগারো-মুখের কাননের স্থায়ী মূর্তি’ একটি অবশ্য দর্শনীয় স্থান।
- ঐতিহাসিক পরিবেশ: মন্দিরের শান্ত ও সৌম্য পরিবেশ আপনাকে অতীতের এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যাবে। প্রাচীন স্থাপত্য এবং চারপাশের প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য মনকে শান্তি এনে দেয়।
- শিল্পকলার অন্বেষণ: এই মূর্তির সূক্ষ্ম কারুকার্য এবং এর পিছনের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় তাৎপর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। জাপানি বৌদ্ধ শিল্পকলার এক অমূল্য নিদর্শন হিসেবে এটি আপনার স্মৃতিতে গেঁথে থাকবে।
- সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা: হরিন-জি মন্দির কেবল একটি মন্দির নয়, এটি জাপানি সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে এসে আপনি জাপানের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য, শিল্পকলা এবং ধর্মীয় রীতিনীতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কিভাবে যাবেন:
হরিন-জি মন্দির নারা শহরের কাছে অবস্থিত এবং এখানে যাতায়াত করা বেশ সহজ। নারা শহর থেকে বাসে করে সহজেই এখানে পৌঁছানো যায়। নারা শহরটি ওসাকা এবং কিয়োটো থেকে ট্রেন যোগে যাতায়াতযোগ্য, যা এটিকে পর্যটকদের জন্য আরও সুবিধাজনক করে তোলে।
উপসংহার:
হরিন-জি মন্দিরের ‘এগারো-মুখের কাননের স্থায়ী মূর্তি’ শুধুমাত্র একটি পাথর বা কাঠের খোদাই করা মূর্তি নয়, এটি একটি জীবন্ত ইতিহাস, শিল্প এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। যারা জাপানের গভীরে লুকিয়ে থাকা ঐতিহ্য এবং শিল্পকলার অন্বেষণ করতে চান, তাদের জন্য এই স্থানটি একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। এই মূর্তিটি আজও আমাদেরকে করুণা, শান্তি এবং সহানুভূতির বারতা বহন করে চলেছে।
হরিন-জি মন্দিরের এগারো-মুখের কানন: শান্ত ও সৌম্য এক দেবীর মূর্তি
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-07-04 09:41 এ, ‘হরিন-জি মন্দির-এগারো-মুখের কাননের স্থায়ী মূর্তি’ প্রকাশিত হয়েছে 観光庁多言語解説文データベース অনুযায়ী। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন যা সহজবোধ্য এবং পাঠকদের ভ্রমণে আগ্রহী করে তোলে। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।
63