
ট্রাম্পের “নেট সাপোর্ট রেটিং” সর্বনিম্ন, কেন? (জাপান ট্রেড প্রমোশন অর্গানাইজেশন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী)
জাপান ট্রেড প্রমোশন অর্গানাইজেশন (JETRO) তাদের ওয়েবসাইটে ২৬ জুন, ২০২৫ তারিখে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের “নেট সাপোর্ট রেটিং” তার কার্যকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই তথ্যটি বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। আসুন এই প্রতিবেদনটির মূল বিষয়বস্তু এবং এর সম্ভাব্য কারণগুলো সহজভাবে বোঝার চেষ্টা করি।
নেট সাপোর্ট রেটিং কি?
নেট সাপোর্ট রেটিং হলো একটি জনমত সমীক্ষার পরিমাপক, যা দেখায় যে একটি দেশের বা অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা নীতিকে সমর্থন করে এবং কত শতাংশ বিরোধিতা করে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যতজন মানুষ কোনো নেতার পক্ষে, তাদের থেকে যতজন মানুষ বিপক্ষে, সেই সংখ্যা বাদ দিলে যা থাকে, সেটিই নেট সাপোর্ট রেটিং। উদাহরণস্বরূপ, যদি ৫০% মানুষ সমর্থন করে এবং ৩০% মানুষ বিরোধিতা করে, তাহলে নেট সাপোর্ট রেটিং হবে +২০%। যদি ৩০% সমর্থন করে এবং ৫০% বিরোধিতা করে, তবে নেট সাপোর্ট রেটিং হবে -২০%।
JETRO-এর রিপোর্টের মূল বিষয়:
JETRO-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেট সাপোর্ট রেটিং তার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। এর মানে হলো, যারা তাকে সমর্থন করেন তাদের তুলনায় যারা তাকে বিরোধিতা করেন তাদের সংখ্যা অনেক বেশি। এই তথ্যটি কয়েকটি ভিন্ন জনমত সমীক্ষার গড় ফলাফল থেকে এসেছে, যা আমেরিকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিত্র তুলে ধরে।
কেন এই রেটিং কমেছে? সম্ভাব্য কারণগুলো কী?
ট্রাম্পের নেট সাপোর্ট রেটিং কমে যাওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। যদিও JETRO-এর প্রতিবেদন নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি, তবে সাম্প্রতিক আমেরিকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কিছু সম্ভাব্য কারণ অনুমান করা যেতে পারে:
- রাজনৈতিক বিতর্ক ও বিভেদ: ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির সময়কাল শুরু থেকেই নানা রাজনৈতিক বিতর্ক এবং দেশে বিভেদ দ্বারা চিহ্নিত হয়েছে। তার নীতি, বক্তব্য এবং আচরণ প্রায়শই জনগণের একটি বড় অংশের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
- অর্থনৈতিক বিষয়: যদিও কিছু অর্থনৈতিক সূচক ইতিবাচক ছিল, তবে মুদ্রাস্ফীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য নীতি নিয়ে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ থাকতে পারে। বিশেষ করে, কিছু বাণিজ্য নীতি যা নির্দিষ্ট শিল্প বা গোষ্ঠীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তা বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি: ট্রাম্পের “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতি এবং কিছু দেশের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন আন্তর্জাতিকভাবে আমেরিকার ভাবমূর্তি এবং দেশের অভ্যন্তরেও কিছু ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
- অভ্যন্তরীণ নীতি ও সামাজিক সমস্যা: অভিবাসন নীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের মতো বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের নীতি এবং তা বাস্তবায়নের পদ্ধতি জনগণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে।
- মিডিয়া কভারেজ: মিডিয়াতে ট্রাম্পের কার্যক্রমের ব্যাপক কভারেজ প্রায়শই তার বিতর্কিত দিকগুলোর উপর আলোকপাত করে, যা জনগণের ধারণাকে প্রভাবিত করতে পারে।
- অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উত্থান: সম্ভাব্য বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের উত্থান এবং তাদের প্রচারও ট্রাম্পের সমর্থনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এই রিপোর্টের তাৎপর্য কী?
একটি প্রেসিডেন্টের নেট সাপোর্ট রেটিং কমে যাওয়া তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, আগামী নির্বাচন এবং তার নীতির গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেয়। JETRO-এর এই প্রতিবেদনটি আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক জনমতের একটি প্রতিচ্ছবি। এটি ভবিষ্যতে আমেরিকার নীতি নির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে।
উপসংহার:
JETRO-এর এই প্রতিবেদনটি আমেরিকার বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে। ট্রাম্পের নেট সাপোর্ট রেটিং সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকা এটাই প্রমাণ করে যে তার প্রতি জনসমর্থনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যা আমেরিকার অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। আগামী দিনগুলোতে এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে কিনা, তা দেখার বিষয় হবে।
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-06-26 01:10 এ, ‘トランプ米大統領の「純支持率」が就任以来最低値に、世論調査’ 日本貿易振興機構 অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।